আইন-বিচার
‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল’
![হাইকোর্ট](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/03/News-Image-2-31.jpg)
গেলো বছর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি প্রজাতন্ত্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান। তাই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গেলো ১০ জানুয়ারি এ রায় দিয়েছিলেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক বিবেচনা করেছি এবং রেকর্ডটি পর্যবেক্ষণ করেছি। মামলার নথি থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বিচারিক আদালত সিডিটি দেখেছে এবং অভিযুক্ত আবেদনকারীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে এই মামলায়। তদুপরি, মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব সৃষ্টি না করে এখনও তদন্তাধীন থাকায় আমরা বলতে পারি যে, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এবং ওই বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের অভিযোগগুলো সত্যিই অত্যন্ত গুরুতর। প্রধান বিচারপতি প্রজাতন্ত্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান। তাই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে আমরা মনে করি।
রায়ে বলা হয়েছে, আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে অনেক দূরে ছিলেন। কিন্তু বরেন্দ্র কুমার ঘোষ এবং অন্যান্য মামলায় (প্রিভি কাউন্সিল, ২৩ অক্টোবর ১৯৪২) যা পোস্ট অফিস কেস নামে পরিচিত) সিদ্ধান্ত যে একজন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেয়ার কারণে দণ্ডবিধির ৩৪ ধারার অধীনে দায়বদ্ধ হতে পারে। এমনকি সেই প্ররোচনা দূরবর্তী স্থান থেকে হলেও। মেজর মো. বজলুল হুদা (আর্টিলারি) এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র মামলার ক্ষেত্রেও একই দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল। আমরা মনে করি যে একজন ব্যক্তি তার অনুসারীদের অনেক দূর থেকে আদেশ দিতে পারেন।
আদালত রায়ে বলেন, মামলার শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেছেন, আবেদনকারী অত্যন্ত অসুস্থ। এই দাবিটি এই দাবির বিরুদ্ধে যায় যে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছিলেন যা একজন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের অবশ্যই তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত না করে বলতে হবে যে তার জড়িত থাকার বিষয়ে কিছু অন্তর্নিহিত স্বীকারোক্তি রয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আবেদনকারী (মির্জা ফখরুল) দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছেন, যাকে তিনি জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন দাবি করে আসছেন। দুর্ভাগ্যবশত, বিগত কয়েক মাসে দেখা গেছে যে কথিত ওই ভোটাধিকারের দাবি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে যুক্ত হয়েছে। যাতে প্রাণহানি, অগ্নিসংযোগ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকারী সরকারি ও ব্যক্তিগত যানবাহন, পুলিশের গাড়িতে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে। সংক্ষেপে বলা যায়, কথিত আন্দোলনকারীরাই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা এসব অযৌক্তিক ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা বিবেচনায় নিয়েছি, যেগুলো দৃশ্যত দেশে আতঙ্ক তৈরি করেছে। বস্তুত দেশ ও দেশের জনগণকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, আবেদনকারী বিপর্যয়কর ও উচ্ছৃঙ্খল এসব ঘটনার পরিকল্পনাকারী বা তার কোনো ভূমিকা ছিল কি না, সে বিষয়ে কেবল সুষ্ঠু তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। তদন্তের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে এই পর্যায়ে তার মুক্তির জন্য জামিন দেয়া সহায়ক হবে না বলে আমরা মনে করছি। মামলায় কিছু ধারা আছে জামিন অযোগ্য। প্রজাতন্ত্র ও জনগণের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা রুলটি খারিজ করছি। তবে আবেদনকারী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো অসুস্থতায় ভুগলে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিচ্ছি।
এর আগে গেলো ১০ জানুয়ারি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে রায় দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
গেলো ৩ জানুয়ারি বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি পিছিয়ে ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
তার আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য গেলো বছরের ১৭ ডিসেম্বর ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ৭ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গেলো ৩ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার আগে ২২ নভেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই আদেশ দেন। ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
গেলো ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আইন-বিচার
কোটাবিরোধীদের যে অনুরোধ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
![অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/05/অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-এম-আমিন-উদ্দিন.jpg)
আদালত একটি আদেশ (কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা) দিয়েছেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে সরকার তো আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে, আদালতের প্রতি যে আন্দোলনটা , আমি মনে করি যে এটা না করাই উচিত হবে। বললেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সোমবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি এ অনুরোধ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তিনি সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলাটির হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা শুধু আইনগত বিষয়টা দেখছেন। কোটা রাখা না রাখা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এইখানে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে সেটাই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন। পরে এ বছর জুনে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারী করা সরকারি পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আই/এ
আইন-বিচার
ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের চিঠি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-136.jpg)
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকের তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশে ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ব্যাংকটির চট্টগ্রামের তিনটি শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেনামি ঋণের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামসর্বস্ব এসব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ঋণ সৃষ্টি করে আগের দায় সমন্বয় করা হয়েছে। ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসব ঋণ ফেরত অথবা খেলাপি করতে বলা হয়েছে।
আলোচিত ওই ঋণ কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের একটি সূত্র গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বিনিয়োগের অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার দায়-দায়িত্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং শাখা ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তায়।
সে সময় ইসলামী ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট, জুবিলী রোড শাখা থেকে ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও চাক্তাই শাখা থেকে মুরাদ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নির্বাহী কমিটির ১৯৫৯তম সভায় বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম করায় বকেয়া স্থিতি অবিলম্বে ১৫ দিনের মধ্যে আদায় করতে হবে। আর আদায় করতে না পারলে ক্ষতিজনক, মানে খেলাপি করে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে এ বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার সুপারিশ, অনুমোদন ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতেও ওই চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এএম/
আইন-বিচার
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/07/কাস্টমস-কমিশনার-এনামুল.jpg)
প্রায় ১০ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে।
জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেত্রে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহানে কমনস্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কি স্পেসহ ১৮৩৫ বর্গফুট ফ্ল্যাট। এর মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং রয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস। যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে। এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
জেএইচ
- ঢাকা6 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- ঢালিউড6 days ago
দীঘির বিয়ে? যা বললেন অভিনেত্রীর বাবা সুব্রত
- অন্যান্য6 days ago
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
- ফুটবল5 days ago
নির্ধারিত হলো কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দল ও সময়
- ফুটবল1 day ago
দেখে নিন ইউরোর সেরা ৪ দলের ম্যাচ সূচি
- অপরাধ6 days ago
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই
- বাংলাদেশ2 days ago
চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা যেদিন
- ক্রিকেট4 days ago
বিসিবির কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিন সাবেক ক্রিকেটার