ব্যাংকিং ও বীমা
আসছে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে যেতে পারে। এর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ এবং খেলাপিমুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহ একটি রোডম্যাপ তৈরি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রস্তাব থাকবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঘোষিত মুদ্রানীতির বিবৃতি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির এক বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে এবারের মুদ্রানীতির বিবৃতিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়গুলো যুক্ত করেছে।
এতে ঋণ খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আইন করতে সরকারের কাছে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করলে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। কারণ ঋণখেলাপিদের অনেকেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে ঘুরে বেড়ান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।
ঋণখেলাপি হওয়ার পর তা থেকে মুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে ৫ বছর পর্যন্ত আর্থিক খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাতে থাকতে না পারেন সে বিধান করার কথাও বলা হয়েছে।
এটি হলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদের যে-সব পরিচালক বা সদস্য ঋণখেলাপি হবেন তারা খেলাপি ঋণ পরিশোধ করলেও ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে ৫ বছর থাকতে পারবেন না। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালক বা উদ্যোক্তাদের ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমবে।
মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এটি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচ্চ খেলাপি ঋণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ। এসব খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এখন আর পাড় পাবেন না।
একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, তহবিলের অপব্যবহার বা অবৈধভাবে বন্ধক রাখা সম্পদ হস্তান্তর-এসব অপরাধের বিষয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তালিকা করে ওই তালিকা ধরে তাদেরকে নানা আর্থিক খাতের সুবিধা দিতে বাধা দেওয়া হবে।
অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেলো বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঋণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
এ মুখপাত্র জানান, রিজার্ভে আইএমএফ এর ঋণের পাশাপাশি কেরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। এতে আজ মোট রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে গেলো ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের পর্ষদ সভায় তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন হয়। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) ৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির ২২ কোটি ডলার রয়েছে।
আই/এ
অর্থনীতি
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল-আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন বা ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ অর্থ আইএমএফ থেকে ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ-এ যোগ হবে।
সোমবার (২৪ জুন) আইএমএফ পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
এ মুখপাত্র জানান, এ অর্থ যোগ হলে মোট রিজার্ভ দাঁড়াবে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। ১৯ জুন পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।
আই/এ
ব্যাংকিং ও বীমা
সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ হারাচ্ছেন মতিউর!
রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান। চলতি সপ্তাহের মধ্যে পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও সোনালী ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
রোববার (২৩ জুন) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠেয় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মতিউর রহমান উপস্থিত থাকছেন না। আজ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ব্যাংকটির পর্ষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী।
সূত্রগুলো জানায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, মতিউর রহমান যেন পর্ষদে উপস্থিত না হন। ব্যাংকও মতিউর রহমানকে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং তিনিও তা মেনে নিয়েছেন।
এবার কোরবানির ঈদে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের ছেলে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন। মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মতিউর রহমান কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ছিলেন শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ; পুনর্নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি গেলো মাসে অবসরে গেছেন।
সূত্রগুলো জানায়, শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ যেহেতু মতিউর রহমানকে আগে থেকেই ভালো করে চিনতেন, সেহেতু তিনি তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু তৎকালীন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারের তদবির আর ফেলতে পারেননি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের পর সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ আর তাকে আটকায়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও সহজেই অনুমোদন দিয়ে দেয়। জানা গেছে, সাম্প্রতিক ছাগল কাণ্ডের পর মতিউর রহমানের সবকিছু উন্মোচিত হতে থাকলে ব্যাংকটির অন্য পরিচালকেরা বেঁকে বসেন। তারা আর মতিউর রহমানকে পর্ষদ বৈঠকে চাইছেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বর্তমানে আছেন বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক দৌলতুন্নাহার খানম, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোল্লা আবদুল ওয়াদুদ ও সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ (সিএ) প্রতিষ্ঠান বসু ব্যানার্জি নাথ অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা অংশীদার গোপাল চন্দ্র ঘোষ।
ব্যাংকের সূত্রে জানা যায়, পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বড় ধরনের ঋণ প্রস্তাব পর্ষদে উঠলে সেসব বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করতেন। পর্ষদের অন্য সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি সফল হতে পারতেন না। পরবর্তীকালে তিনি ছোট ছোট ঋণ প্রস্তাব পাস এবং পাস না করা নিয়ে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে মনোযোগী হন, যেগুলো পর্ষদে আসত না।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য কর্মকর্তারা জানান, সোনালী ব্যাংকের মানমর্যাদা রক্ষায় মতিউর রহমানকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে। আজ থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
টিআর/
- পর্যটন1 day ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম14 hours ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- আবহাওয়া3 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- অপরাধ23 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- টুকিটাকি2 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর2 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়2 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…