Connect with us

আইন-বিচার

ফাঁসির সেলে ১১ মাসের শিশু নিরাপদে আছে: হাইকোর্টে প্রতিবেদন

Avatar of author

Published

on

ল্যাবএইড

হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১১ মাসের শিশু মাহিদা নিরাপদে আছে। কারাগারে শিশুদের দেখভালের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার, শিশু খাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে। সিলেট কারা কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গেলো ১৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১০ মাসের শিশু মাহিদা থাকার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিশুটি ফাঁসির সেলে কি অবস্থায় আছে, শিশুকে কি কি সুবিধা দেয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আইজি প্রিজন্স ও হবিগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।

গেলো ৩০ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় মায়ের সঙ্গেই ফাঁসির সেলে বন্দী আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নিহত গৃহবধূ আয়েশা আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামিরা হলো- চুনারুঘাট থানার সাদেকপুর গ্রামের নিহত আয়েশা আক্তারের স্বামী রাসেল মিয়া, রাসেল মিয়ার মা তাহেরা খাতুন, ভাই কাউছার মিয়া, বোন রুজি আক্তার ও হুছনা আক্তার। মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জাহিদুল হক। আসামি কাউছার মিয়া পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সঙ্গেই আদালতে এসেছিল ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে। হত্যাকাণ্ডের সময় হুছনা কলেজে লেখাপড়া করত। প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

জেল কোডের ৭৩৫ বিধিতে সেলের কথা বলা হলেও এর আয়তন কি, তার উল্লেখ নেই। তবে জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগারে ৬ ফুট বাই ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে মহিলা বন্দীদের জন্য দুটি সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে ফাঁসির সেলের আয়তন প্রায় ১০ ফুট বাই ১০ ফুট। দুটি সেলের একটিতে রয়েছে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ষাটোর্ধ্ব তাহেরা খাতুন, তার মেয়ে রুজি আক্তার, হুছনা আক্তার ও হুছনা আক্তারের ১০ মাসের কন্যা মাহিদা আক্তার। তাদের সেলের উত্তর দিকে একটি জানালা, আয়তন প্রায় ৩ ফুট বাই ৩ ফুট। তাও একাধিক টিন দিয়ে শক্ত করে সাটানো, বন্ধ করে দেওয়া। কক্ষের দক্ষিণ দিকে অন্তত ১২ মিলিমিটার পুরুত্বের ১৪ শিকের (রডের) গেট। সেলে কোনো দরজা নেই। কক্ষ ঘেঁষে ছোট আয়তনের একটি বাথরুম। বাথরুমের সামনে প্রায় ৪ ফুট উচ্চতার দেওয়াল। বাথরুমের সামনে একটি ভাঙা দরজা। দরজাটা লাগানো যায় না। লোহার শিকের বাইরে থেকে বড় একটি তালা ঝুলানো। দিনে সূর্যের আলো, জেল কোডের ৯৮৪ বিধি মোতাবেক রাতে থাকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক আলো। বৈদ্যুতিক বাতি নেভানোর কোনো বিধান নেই। ফাঁসির সেলে বন্দীদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন কারারক্ষীরা।

হবিগঞ্জ কারাগারের ওই সেলে সরাসরি পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ছোট বালতিতে করে পানি পাওয়া যায়, তাও সবসময় নয়, ওই পানিতেই চলতে হয় তাদের। একজন সশ্রম কারাবন্দি যে হারে খাবার পান ফাঁসির সেলে বন্দীদের একই নিয়মে খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দেড় ঘণ্টার জন্য ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জানান, সাধারণ বন্দিদের মতোই সেলে বন্দিরা খাবার পেয়ে থাকেন। মায়ের সঙ্গে সেলে থাকা শিশু মাহিদার জন্য দুধ ও ডিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখা শিশু মাহিদা দিন দিন নুইয়ে যাচ্ছে। মাহিদার স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় একমাসের ব্যবধানে মাহিদার ওজন কমেছে প্রায় ২ কেজি। সদ্য দাঁত উঠতে শুরু করা মাহিদাকে কোনো ফলমূল পিষিয়ে খাওয়ানোর কোনো সুযোগ নেই, সুযোগ নেই কাঁদলেই তার মুখে তুলে দেওয়ার মতো অন্য খাবার। একটি নির্জন কক্ষে দিনে রাতে সমানতালে কামড়ায় মশা। মশারি বা কয়েল ব্যবহারেরও কোনো অনুমতি নেই কারাগারে।

একজন গৃহবধূ জানিয়েছেন- ১০/১১ মাস বয়সী একটি শিশুর প্রতিদিন কমপক্ষে ২০/২৫টি ছোট কাঁথার প্রয়োজন হয়। নিয়মিত তা ধৌত করতে হয়, শুকাতে হয়। কারাগারে এসব সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, মা বাবার সহাবস্থান একটি শিশুকে পরিপূর্ণ করতে পারে। শিশুরা দেখে বেশি শিখে, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ শিশুকে বেশি প্রভাবিত করে। একজন শিশুর শুরু থেকেই কনফিডেন্স তৈরি হয়। ফাঁসির সেলের যে বর্ণনা জানা গেছে, তাতে কোনোভাবেই একজন শিশু পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠবে না, তার মানসিক বিকাশ নষ্ট হয়ে যাবে, কনফিডেন্স নষ্ট হয়ে যাবে, দীর্ঘদিন ফাঁসির সেলে থাকার কারণে যেকোনো শিশু মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

Advertisement

আইন-বিচার

গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যু, মালিক পলাতক

Published

on

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানা একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গাড়ির মালিক মফিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তিনি সাবেক বিআইডব্লিউটির ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান।

নিহত ফজলুল হক ১৯/এ,১৯/১ পূর্ব রাজাবাজারের বাসাটিতে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, পূর্ব রাজাবাজারের সেই বাসার মালিক গাড়ি বের করার সময় দারোয়ান ফজলুল হক গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গ্যারেজের দরজায় ধাক্কা লাগে। গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফজুলল হকের ওপরে এ সময় গাড়িটি উঠে যায়, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় উঠে এসেছে। মালিক পলাতক রয়েছেন।

মফিদুল ইসলামের গাড়ির চালক গণমাধ্যমে বলছেন, গাড়ির ব্রেকপ্যাড ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। স্যার সেটা চেক করতে গাড়িতে উঠে পা দিয়ে একসেলেটর চাপ দেন, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি হয়তো থামাতে গিয়ে ব্রেকে পা না দিয়ে ভুলে একসেলেটরে আরও জোরে চাপ দেন। এতে গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গেট ভেঙে বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায়।

Advertisement

উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি ভুক্তভোগীর স্ত্রী করেছেন। এতে একমাত্র আসামি হলেন গাড়ির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মফিদুল। তবে এখনো পলাতক থাকায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আদালতের পেশকার জনি ৩ দিনের রিমান্ডে

Published

on

বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) পেশকার খন্দকার মোজাম্মেল হক জনির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে আটকের নির্দেশ দেন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় জনিকে। বৃহস্পতিবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের হেফাজতে পাঠান আদালত।

উল্লেখ্য, আদালতের আদেশের পর জনিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় জালিয়াতির মামলা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড : তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

Published

on

এমপি-আজীম

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় তিন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এ তিন আসামী হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইঁয়া।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে আসামী গ্যাস বাবুর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, এ বক্তব্য কাজী কামাল আহমেদ বাবুর  ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলানো হয়েছে। মূলত মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন কোনো মামলায় আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি জনসম্মুখে প্রকাশ করার একটা বাধা রয়েছে। কারণ এটা হচ্ছে প্রাইভেট ডকুমেন্টস। এটা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন জানান, শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ মর্মে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গেলো  ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত