Connect with us

শিক্ষা

নানা আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

Published

on

কুমিল্লা শহর থেকে ৯ কি.মি পশ্চিমে কুমিল্লার ময়নামতি সংলগ্ন লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতির আপনকোলে সবুজের অভয়ারণ্যে অবস্থিত দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬বছর পেরিয়ে ১৭তম বর্ষে পদার্পণ করেছে লাল পাহাড়ের সবুজ ক্যাম্পাস। শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও কবুতর উড়ানোর মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অংশ নিতে দেখা যায়নি শাখা ছাত্রলীগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের। ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর লাল পাহাড়ের সবুজ ক্যাম্পাস নামে খ্যাত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ শনিবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ ও সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও কবুতর অবমুক্ত করণ ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

এসময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২' উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন 'শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, নেতৃত্ব ও উচ্চচিন্তার হবে।'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমরা জাকঁজমকপূর্ণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে আমরা জাঁকজমক আয়োজন করতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় কোনো ঘাটতি ছিল না। আজকে যারা উপস্থিত হয়েছেন এবং যারা হতে পারেননি সবাইকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Advertisement

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে একাডেমিক ও গবেষণামূলক কাজ করা। অমুকের চামড়া তুলে নিবো আমরা এসবের পিছনে সময় নষ্ট না করে সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে। আমাদের কাজ হবে কিভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে পারি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। আমি প্রথমদিন থেকে বলেছি এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে উন্নতমানেরর বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা যেন দেশের মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পর্যায়ে যেতে পারি সে চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমি দেখি গুটিকয়েক শিক্ষক-শিক্ষার্থী কাদাঁ ছুড়াছুড়ি করে। আমরা সে কাদাঁ ছুড়াছুড়িতে যে সময় নষ্ট করি তা যদি শিক্ষায়, গবেষণার পেছনে ব্যয় করি তাহলে নিউটন যে সূত্র দিয়েছিল তার বিকল্প দু'টি সূত্র আবিষ্কার করে ফেলতাম। আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক আছে, শিক্ষার্থীরা আছে, যারা কাজ করতে পারেনা।

তিনি আরও বলেন, এখানে শিক্ষার মান হবে বিশ্বমানের। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাডেমিক অনুশীলন করবে। জ্ঞান নিয়ে চর্চা করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমি বলব না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক। আমি বলব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী,  বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

Advertisement
Advertisement

শিক্ষা

ঢাবির ক্যান্টিনে খাসির মাংসের মধ্যে মিললো ১০ টাকা

Published

on

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে খাসির মাংসের তরকারিতে ১০ টাকার একটি নোট পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী শামীম ক্যান্টিনে খাবার খেতে গিয়ে খাসির মাংসের তরকারিতে ১০ টাকার নোটটি পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্যান্টিন পরিচালক ওই ছাত্রের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে কাজী শামীম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ দুপুরে খেতে গিয়ে খাসির মাংস অর্ডার করি। খাবার পাওয়ার পর হাত দিয়েই দেখি ভেতরে একটি ১০ টাকার নোট। পরে পরিচালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি ‘সরি’ বলে খাবার রিপ্লেস করে দেন। এটা যেভাবে ছিল মনে হয়েছে টাকাসহ রান্না করা হয়েছে।

মজার ছলে তিনি বলেন, খাসির মাংসের সাথে মসলাস্বরূপ দশ টাকার এ নোট রন্ধনশিল্পে নতুন এক রেসিপি। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান কাজী শামীম।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার পরিকল্পনা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, সার্বজনীন মানসম্পন্ন শিক্ষা চায় সরকার। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করা হবে। সুষম-জনকল্যাণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৫ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Advertisement

এর আগে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও শিক্ষার্থী ১২৬ জনের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।

এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।

এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’।

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত