Connect with us

সিলেট

ট্রাক থেকে ছুড়ে ফেলে মেয়েকে হত্যা করল বাবা!

Avatar of author

Published

on

মরদেহ

কন্যা শিশুকে ট্রাক থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির মা। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

হত্যা মামলা দায়েরের একদিন আগে গেলো মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের একটি ব্রিজের নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। পরে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে শিশুটিকে দাফন করা হয়।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির ছবি দেখে সন্তানকে চিনতে পারেন মা। শুক্রবার (০২ ফেব্রয়ারি) তিনি ইমরান ও তার ট্রাকের সহকারী বাদলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।

পুলিশ জানায়, ১৫ মাস বয়সী ওই কন্যাশিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের পরদিন থানায় এসে এক নারী জানিয়েছেন কন্যাশিশুটি তার সন্তান। তার স্বামী সন্তানকে ট্রাক থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তদন্তে জানা গেছে, ইমরান সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে ট্রাক নিয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে যাচ্ছিলেন। এ ট্রাকেই তিনি স্ত্রী ইয়াসমিন ও সন্তানকে নিয়ে আসেন। পথিমধ্যে কাগাপাশা এলাকার হাওরে এসে ১ মাসের কন্যা সন্তানটিকে ট্রাক থেকে ফেলে দিলে সেখানেই হয়ত শিশুটির মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তাই মামলা নেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সারিঘাট এলাকার ট্রাকচালক ইমরান আহমদ তিন বছর আগে জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার গর্দান গ্রামের ইয়াসমিন বেগমকে (৩০) বিয়ে করেন। ইয়াসমিনের আগের স্বামীর সংসারে তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। এদিকে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পর ইয়াসমিনের এক মেয়ে হয়, যার নাম রাখা হয় অ্যানি (১৫ মাস)।

Advertisement

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিতো প্রায় সময়ই। এক পর্যায়ে কয়েক মাস আগে ইমরান তালাক দেন ইয়াসমিনকে। স্থানীয় মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় মেয়ের ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ইয়াসমিনকে দুই হাজার টাকা দিতে রাজি হন ইমরান। সে অনুযায়ী ইমরান প্রতি মাসে এই টাকা দিয়ে আসছিলেন।

মেয়েকে-হত্যা-করল-বাবা

গেলো মাসে মেয়ের ভরণপোষণের টাকা না দেয়ায় গেলো ২৯ জানুয়ারি ইয়াসমিন মুঠোফোনে ইমরানকে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানান। ইমরান তখন জানান, সন্তানকে তিনি নিজে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। সে অনুযায়ী গেলো সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় ইমরান সিলেটের শাহপরান থানার দাসপাড়া এলাকা থেকে ইয়াসমিন বেগম ও তার দুই সন্তানকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রাকে তোলেন। ইমরান নিজেই ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাদল নামের এক সহকারী। ট্রাক নিয়ে অচেনা পথে যাওয়া দেখে ইয়াসমিনের সন্দেহ হয়। এ নিয়ে তিনি ইমরানের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন।

একপর্যায়ে ইমরান মায়ের কোলে থাকা শিশু অ্যানিকে ছিনিয়ে নিয়ে জানালা দিয়ে ছুড়ে মারেন। পরে দ্বিতীয় শিশু সাফিকে (আগের স্বামীর সন্তান) ফেলে দিতে চান। তবে ইয়াসমিন হাতে–পায়ে ধরে ওই শিশুকে রক্ষা করেন। পুলিশের কাছে ইয়াসমিন দাবি করেন, ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে একটি সেতুর কাছে এই ঘটনা ঘটে। রাত বেশি হওয়ায় জায়গাটি তিনি চিনতে পারেননি। পরে ইমরান ট্রাকে করে ভোরের দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকায় তাকে ফেলে চম্পট দেন।

শিশুটির মা ইয়াসমইন জানান, ওই দিন সকালে সিলেটের শাহপরান থানায় গিয়ে তিনি পুরো ঘটনা জানালেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। পরে ফেসবুক ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারেন শিশুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি। পরে বাধ্য হয়ে বানিয়াচং থানায় মামরা দায়ের করেন।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুর মায়ের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাটি বানিয়াচং থানার এসআই সাদরুল ইসলাম তদন্ত করছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

তিনি জানান, লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Advertisement

জাতীয়

‘জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’

Published

on

জঙ্গিরা সারাদেশে একদিনে একযোগে আক্রমণ করে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছিল। পুলিশ জঙ্গিদের সেই ধৃষ্টতা ও অবস্থানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বলছি না যে জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গিবাদ নির্মূলে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেই সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যারা অনেক বেশি কাজ করে তাদের ভুলত্রুটিও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে।

দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার আলোকেই দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। অতীতেও পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে। সবার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Advertisement

এর আগে সিলেটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা

Published

on

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ (কীটনাশক) খাইয়ে বাবা-মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গেলো শুক্রবার (১৭ মে) রাতে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিণয় ভূষণ।

ওসি জানান, দুই বছরের শিশু সন্তান ফারিয়া জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে চলাফেরা করতে পারতো না। তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে এক সময় অধৈর্য হয়ে পড়ে।  ১৭ মে বিকেলের দিকে শিশু ফারিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়।

বিণয় ভূষণ জানান, শিশুটি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে এক পর্যায়ে বাবা-মা শিশু সন্তানকে  শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তবে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।

তিনি জানান, বাড়িতে এসে জানাজার সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ যাওয়ার আগেই মৃত শিশুটির বাবা মা ও নানি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় শিশুর নানা ওয়াসিফ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

বাবার সামনেই বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু

Published

on

মৃত্যু

বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রেদোয়ান আহমদ (১২) নামের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃত রেদোয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাবার সঙ্গে রেদোয়ান ও তার আরেক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত রেদোয়ানের শরীরে আঘাত করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রেদোয়ান নামের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আর কেউ আহত হননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত