Connect with us

চট্টগ্রাম

সেন্ট মার্টিনগামী দুই জাহাজকে লাখ টাকা জরিমানা

Avatar of author

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী জেটিঘাট হয়ে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী দুটি জাহাজকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ‘বার আউলিয়া’ নামের জাহাজকে ১ লাখ টাকা এবং কর্ণফুলী জাহাজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে এ জরিমানা করা হয়।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সালেহ আহমেদ জানান, বার আউলিয়া জাহাজে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত আড়াই শ যাত্রী এবং কর্ণফুলী জাহাজে অতিরিক্ত এক শ যাত্রী ছিল। একই সঙ্গে বার আউলিয়া জাহাজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পর্যটকদের হয়রানি-নাজেহালের অভিযোগ ছিল। ফলে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।

কর্ণফুলী জাহাজের কক্সবাজারের ইনচার্জ ও জাহাজ মালিক সমিতির নেতা হোসাইন ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বার আউলিয়া নামের জাহাজের ধারণক্ষমতা ৮৫০ জন। সেখানে যাত্রী ছিল ১ হাজার ৭০ জন। কর্ণফুলী জাহাজের ধারণক্ষমতা ৭৫০ জন, যেখানে যাত্রী ছিল ৮৫০ জন।

হোসাইন আরও বলেন, মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ হয়ে সেন্ট মার্টিনগামী সব জাহাজ বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যটন মৌসুম এবং পর্যটকের চাপ রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পর্যটক আসছেন। যে কারণে কিছু অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে দিয়েছে কাউন্টারগুলো। তবে এখন থেকে এগুলো আর না করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

Advertisement

অপরাধ

এমপি আজীম হত্যা: খাগড়াছড়ি থেকে অন্যতম দুই আসামি গ্রেপ্তার

Published

on

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। হেলিকপ্টারে তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।

বুধবার (২৬ জুন) খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এর আগে তাদেরকে ধরতে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম দুপুর থেকে অভিযান চালায়।

সূত্র জানায়, ফয়সাল ও মোস্তাফিজের কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তাদের থেকে অনেক কিছু জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা।

ডিবি সূত্র বলছে, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুজনকে হন্য হয়ে খুঁজছিল ডিবি। দুজনের বাড়ি খুলনার ফুলতলায়। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

হোটেল ব্যবসার আড়ালে অস্ত্রের কারবার, গ্রেপ্তার ২

Published

on

হোটেল

কক্সবাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে অবৈধ অস্ত্র কারবারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে কক্সবাজারের পিএমখালী ও কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্টে এ অভিযান চালানো হয়। দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড থ্রি নট থ্রি রাইফেল এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

জামিলুল হক জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ধাওনখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র‌্যাবের একটিদল কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় অবস্থিত মেরিন ইকো রিসোর্ট নামে একটি হোটেলে অভিযান চালায়।

Advertisement

এসময় হোটেলের মালিক কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা কাজী জাফর সাদেক রাজুকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। হোটেলে রাজুর ব্যক্তিগত রুম থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মডিফাইড থ্রি নট থ্রি রাইফেল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জামিলুল হক আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজন দেশি-বিদেশি অস্ত্র কারবারে জড়িত। তারা অস্ত্র কারবারে জড়িত চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীক একটি সিন্ডিকেটের সদস্য।

খাগড়াছড়ি সীমান্ত থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এনে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে অস্ত্র দু’টি তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে বিক্রি করার জন্য এনেছিলো।

ইতিপূর্বে রাজু র‌্যাব পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, অস্ত্র কারবারে জড়িত এই সিন্ডিকেটের বাকী সদস্যদের ধরতে র‌্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

গোলাগুলি-বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

Published

on

গোলাগুলি

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে আবারও কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত।

বুধবার (২৬ জুন) ভোর থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সীমান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গোলাগুলির শব্দের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার মংডু, বুথেডং ও রাথেডংয়ের কয়েকটি গ্রামে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বিস্ফোরণে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ও শাহপরীরদ্বীপ, মিস্ত্রীপাড়া, জালিয়াপাড়া সাবারাং ইউনিয়নের আঁচার বনিয়া সিকদার পাড়া, ও সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, হাংকার ডেইল পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাইথ্যাং পাড়া খায়ুক খালীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এ দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা নাফ নদ ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে।

Advertisement

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সীমান্তে সকাল থেকে খুব বেশি গুলির শব্দ হচ্ছে বলে সীমান্তের লোকজনের কাছে শুনেছি। তবে ওপারে ঠিক কোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে এপারে নাফ নদ থাকায় সেটা বলা যাচ্ছে না।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে রাত থেকে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ গোলার শব্দ বিকট। এতে সীমান্তের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত