Connect with us

টলিউড

মাহিয়া মাহির পাশে শবনম ফারিয়া

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

যুবলীগ নেতা রাকিবের সঙ্গে বিয়ের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। গত শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজেই বিচ্ছেদের কথা জানান। এতে ভক্তরা অবাক হন।

এঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। একাধিক বিচ্ছেদের ঘটনায় কেউ কেউ মাহির সমালোচনা করেন। তবে সমালোচনার পাশাপাশি মাহির পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি ও সাহস যুগিয়েছেন অনেকে। সেলিব্রেটিদেরও কেউ কেউ এই নায়িকার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছোটপর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন  শবনম ফারিয়া। ওেই পোস্টে অভিনেত্রী মাহির নাম উল্লেখ না করলেও স্ট্যাটাসটি যে তাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট। বায়ান্ন টিভির পাঠকদের জন্য শরবনম ফারিয়ার ওই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

`পর্দার সামনে কিংবা পিছনে, যে যেই ক্ষেত্রেই কাজ করে, সবাই মানুষ। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে একভাবেই বানিয়েছে।

যিনি ব্যাংক এ কাজ করেন, শিক্ষিকতা করেন, কর্পোরেট কাজ করেন কিংবা চিকিৎসক, তার হাত-পা কাটলে যেমন ব্যথা পায়, যারা পর্দার সামনে কাজ করে তারাও সেইম ব্যথা পায়।

Advertisement

সবার পৃথিবীতে আসার প্রসেসটা সেইম, মৃত্যুর পর মুসলিম হলে কবর, অন্য ধর্ম হলে সেই অনুযায়ী শেষকৃত্য হয়।

সৃষ্টিকর্তা এমন কোনো নিয়ম রাখেননি যে, ওমক পেশায় কাজ করলে তার কবর হবে না, কিংবা ভিন্ন নিয়মে কবর হবে!

পর্দার সামনে কিংবা যেকোন পেশায় কাজ করলেও সবার একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে, সেখানে অনেক উঠা নামা থাকে! একটা মানুষ কত স্বপ্ন, আশা নিয়ে কারো সাথে সংসার শুরু করে জানেন? যখন কোনো কারণে সংসার করা সম্ভব হয় না সেইটা কত কষ্টের জানেন?

বিশ্বাস করেন , সবার পরিবার থাকে! পর্দার সামনে যারা কাজ করে তারা কেউ সমাজ বা পরিবারের বাইরের না !

ধরেন কোন কারণে আপনার বোন এর সংসার টিকলো না, আর আশেপাশের মানুষ না জেনে তাকে আজেবাজে কথা বলছে, আপনার মার কিংবা আপনার কেমন লাগবে?

Advertisement

বিশ্বাস করেন , সবার মা ভাই/বোনদেরও সেইম লাগে !

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমারটা বলতে পারি, ২০২০ পর্যন্ত অভিনয়ই ছিল আমার পেশা, আমার পরিবারের হাজারটা বাঁধার পরেও আমি অভিনয় করেছি, কারণ কাজটা আমি ভালোবাসি। ভালো একটা স্ক্রিপ্ট আসলে এক্সাইটমেন্ট এ আমার রাতে ঘুম হয় না! যদিও লাস্ট দুই বছর আমি আর আগের মতো কাজ করি না কিংবা বিভিন্ন কারণে খুব কম কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি !

কিন্তু যখন কাজ করতাম , এইটা আমার কাছে আর ১০টা কাজের মতোই ছিল, সকালে উঠে শুটিং এ যেতাম, রাতে বাসায় আসতাম , শুক্র শনি খুব আর্জেন্ট না হলে শুটিং করতাম না ! পার্থক্য একটাই ছিল, অন্যরা ৯-৫ কাজ করে, আমাদের ১১-১১ টা কাজ করতে হয়!

এখন কাজের ধরনের জন্য আপনারা পর্দার সামনের মানুষদের চেনেন, কাউকে আপনাদের ভালো লাগে , কাউকে কম ভাললাগে, কাউকে হয়তো ভালো লাগেই না!

সেইটা স্বাভাবিক। কিন্তু একটা মানুষ তার কষ্টের কথা বলছে, আর আপনার হাতে একটা ফোন আছে তাই আপনি যা ইচ্ছা বলে দিলেন , এইটা খুব খুব খারাপ একটা প্রাকটিস!

Advertisement

শুধু শুধু কাউকে কষ্ট দেয়া একটা অপরাধের সমান !

এইসব আর করবেন না প্লিজ, কারো কষ্ট কমাতে না পারলে কষ্ট বাড়ানোর কাজে ভূমিকা রাখবেন না ।

বিশ্বাস করেন, কেউ ইচ্ছা করে কারো সংসার ভাঙে না !

যে যেই পেশাই থাকে সবাই স্বামী/সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চায়।’

প্রসঙ্গত, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সংসার জীবনের নাটকীয় গল্পের শুরু ২০১৬ সালের ২৪ মে। এদিন হুট করে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী। পাঁচ বছরের সেই সংসারের ইতি টানেন ২০২১ সালের  মে মাসে। বিচ্ছেদের চারমাস  না পেরুতেই আবারও গাটছড়া বাধেন মাহিয়া মাহি।

Advertisement

২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর  মাহির ফেসবুক ওয়ালে ভেসে ওঠে একটি ছবি। এতে দেখা যায়, বিয়ের সাজ-পোশাকে নিবন্ধন বইয়ে সই করছেন মাহি, পাশে বসা নতুন বর রাকিব সরকার। ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহি লেখেন, ‘আজ ১৩ সেপ্টম্বর, রাত ১২টা ০৫ মিনিটে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো। এর আগের সব কথা আসলেই গুজব ছিল। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, এটাই একমাত্র চাওয়া।’এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

Advertisement

টলিউড

আমার প্রথম প্রেম, প্রথম মনভাঙা, কার কথা বললেন দেবলীনা?

Published

on

সসপ্যান-এ টগবগ করে ফুটছে দুধ। তৈরি হচ্ছে চা। শহর কলকাতার রাস্তার ধারে এই চিত্রটা নিত্যদিনের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই ভাঁড়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। সম্প্রতি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে এভাবেই কোনও এক বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করতে করতে চায়ে চুমুক দিতে দেখা গেলো দেবলীনা কুমারকে।

পরনে পিওর সিল্ক শাড়ি, সঙ্গে দড়ি বাঁধা হল্টার নেক ব্লাউজ, পায়ে স্নিকার্স, চোখে রোদচশমা। একপ্রকার খোলা পিঠে শাড়ির আঁচল ফেলে ট্রাম ডিপো সংলগ্ন এলাকা ধরে হাঁটতে দেখা গেলো দেবলীনা কুমারকে। তারপর টুক করে উঠে পড়লেন ট্রামে। গালে হাত দিয়ে ট্রামের জানালার বাইরে দিয়ে তাকাতে তাকাতে উদাস হয়ে পথ চলা। ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে রবীন্দ্রনাথের ‘আমার মন মানে না’ গান জুড়েছেন দেবলীনা কুমার।

কলকাতা বেড়ানোর এই ভিডিওটি পোস্ট করে দেবলীনা লিখেছেন, ‘আমার শহর কলকাতা My city Kolkata জানে আমার প্রথম প্রেম, প্রথম মনভাঙা, আমার সুখ-দুঃখ সবকিছুর সাক্ষী আমার এই শহর।’

দেবলীনার এই ভিডিওর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। দেবলীনার রূপে মুগ্ধ বহু নেটনাগরিক। অনেকেই আবার অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পীর শাড়িটির প্রশংসা করেছেন। তবে তারই মধ্যে কিছু ট্রোলার তো সর্বত্র বিরাজমান। একজন লিখেছেন, ‘এমা ব্লাউজ পরেননি।’ কেউ আবার শুধুই হেসেছেন।

উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারের মেয়ে হলেন দেবলীনা কুমার। তবে রাজনীতির দিকে পা বাড়ননি তিনি। বরং বিনোদনের দুনিয়ায় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তবে দেবলীনার আরেক পরিচয় হল তিনি নৃত্যশিল্পী। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র নৃত্যেরই অধ্যাপক তিনি। বেশকিছুদিন আগে PhD-ও কমপ্লিটও করেছেন দেবলীনা। ব্যক্তিগত জীবনে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী তিনি, অর্থাৎ উত্তমকুমারের বাড়ির বউমা।

Advertisement

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টলিউড

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব নিয়ে যা বললেন ঋতুপর্ণা

Published

on

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। আসছে ৫ জুন অভিনেত্রীকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসে বেলা ১১টায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে অভিনেত্রীকে।

এখন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

হঠাৎই দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণার নাম আসায় অবাক হয়েছেন অভিনেত্রীর ভক্ত অনুরাগীরা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ইডির অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে।

২০১৯ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে শুধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নন, ডাক পড়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু একসময় বেশ কিছু বাংলা সিনেমার প্রযোজনা করেছিলেন। তাতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎ-সহ একাধিক শিল্পী। আর সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইডি অফিসে। এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ইডির কর্মকর্তারা। সেই রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে ঋতুপর্ণা কীভাবে যুক্ত, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

Advertisement

বর্তমানে আসন্ন সিনেমা অযোগ্য’র মুক্তি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ইডির তলবের বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি এ বিষয় কিছুই জানি না। রেশন দুর্নীতি কী? সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। আমার কলকাতার বাড়িতেও কোনও চিঠি আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে নতুন ছবি আসছে। তার মাঝে এই খবর। আমার সম্মানহানি হল। একজন অভিনেত্রী যিনি সারা জীবন পরিশ্রম করে চলেছেন, তার সম্পর্কে হঠাৎ এমন বলে দেওয়া অন্যায়।’

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টলিউড

প্রখ্যাত বাঙালি নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবস আজ

Published

on

ঋতুপর্ণ ঘোষ বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত ও বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন। তাঁর বৈচিত্র্যময় জীবন অনেকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, অনেকের কৌতূহলের খোরাক জুগিয়েছে। আবার অনেকে আড়চোখে তাকিয়ে বা দূরে থেকে সমালোচনা করেছেন। কিংবদন্তী এই নির্মাতার ১১ তম প্রয়াণ দিবস আজ।  ২০১৩- এর ৩০ মে স্বনামধন্য তাঁর জীবনাবসান হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিনেমা ‘হিরের আংটি’। দ্বিতীয় ছবি ‘উনিশে এপ্রিল’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

এরপর একে একে ‘শুভ মহরত’ (২০০৩), ‘রেইনকোট’ (২০০৪), ‘অন্তরমহল’ (২০০৫), ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’ (২০০৭), ‘খেলা’ (২০০৮), ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০০৯), ‘নৌকাডুবি’ (২০১০), ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২), ‘জীবনস্মৃতি’ (২০১২) ছবি পরিচালনার মধ্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তি পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া বার্লিন, লোকার্নো, শিকাগো, বুসান, বোম্বে প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেন গুনী এই নির্মাতা।

সিনেমা পরিচালনা ছাড়াও ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রথম অভিনয় করেন হিমাংশু পারিজা পরিচালিত ওড়িয়া ছবি ‘কথা দেইথিল্লি মা কু’তে। ২০১১ সালে তিনি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আরেকটি প্রেমের গল্প এবং সঞ্জয় নাগের ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া তাঁর পরিচালিত ও মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’তেও তিনি অভিনয় করেন।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত