Connect with us

সিলেট

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

Avatar of author

Published

on

সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দূর করা, রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলা থেকে শ্রমিকদের মুক্তি ও ২০২১ সালে নগরীর চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ছয়টা থেকে পুরো জেলায় এ ধর্মঘট শুরু হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

আজকের মধ্যে এ দাবি মেনে না নিলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে পুরো বিভাগজুড়ে ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

এর আগে মঙ্গলবার সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, সিলেটের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে প্রতি মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখ আসার পর গ্যাসের লিমিট শেষ হওয়ার কথা বলে বন্ধ রাখা হয়। এতে বিপাকে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদেরকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে সিলেট নগরের চৌহাট্টা স্ট্যান্ড নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই ঘটনা আপস-মীমাংসার পরও মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া পরিবহন শ্রমিকদের বিনা অপরাধে রাজনৈতিক মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই শ্রমিকদের এখনো জামিন দেয়া হচ্ছে না। আমরা এসব সমস্যার সমাধান চাই।

Advertisement
Advertisement

সিলেট

সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে বিজিবি

Published

on

সিলেটে টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় বিজিবি এ উদ্ধার কার্যক্রম চালায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান,  বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন তারা। এ সময় বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করেন তাঁরা।

তিনি জানান, বন্যায় পানিবন্দি দুই শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের জন্য ৪৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেট, প্রস্তুত সেনাবাহিনী

Published

on

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের চারটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সুরমা, কুশিয়ারা, ডাউকি, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে নামতে প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী। বন্যায় প্লাবিত এলাকা রেকিও করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদী কানাইঘাটে, কুশিয়ারা অমসিদে, সারি নদী সারিঘাটে, ডাউকি জাফলংয়ে, সারিগাঙ্গ গোয়াইনঘাট বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগিল, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’

তবে তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে; তারপর নেমে যাবে।’

জানা যায়, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ এখন পানিবন্দি। এ ছাড়া উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং বেশি প্লাবিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।’

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।’

Advertisement

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে। দ্রুত উদ্ধার অভিযান চলছে। সেনাবাহিনীও ইতোমধ্যে রেকি করেছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে যোগ দেবে।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

সিলেটে বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদীর পানি

Published

on

তলিয়ে গেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা, কুশিয়ারা, ডাউকি, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে সুরমা নদী কানাইঘাটে, কুশিয়ারা অমসিদে, সারি নদী সারিঘাটে, ডাউকি জাফলংয়ে, সারিগাঙ্গ গোয়াইনঘাট বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগিল, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এ দিকে গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ এখন পানিবন্দি। এ ছাড়া উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং বেশি প্লাবিত হয়েছে।

Advertisement

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।

তবে তিনি আশা প্রকাশ করে আরও জানান, এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে; তারপর নেমে যাবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত