Connect with us

বাংলাদেশ

মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় যোগ্যতা অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৭ মার্চ ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে আরও বলেন, শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরে পৌঁছেছে। প্রবৃদ্ধি, শিক্ষার হার বেড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে যুবসমাজের হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে কম্পিউটার ও প্রযুক্তি তুলে দেওয়া হয়েছে। নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিক ও কর্মমুখী করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রয়েছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রায় কার্যকর হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছি। জঙ্গিবাদ ও হরতালের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের সাথে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছি। গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হচ্ছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৮টির অধিক হাই-টেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২, গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মাসেতু, এলএনজি টার্মিনাল, এক্সপ্রেসওয়ে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।”

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল নাগরিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতার জীবন ও কর্ম আপামর জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে মার্চ ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২০ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘মুজিববর্ষ’। 

Advertisement

তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি এবং পচাঁত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কিংবদন্তীর নাম। ছাত্র অবস্থায় কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও ১৯৪৬ সালে কলকাতায় দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে তরুণ শেখ মুজিব সহপাঠী-সহকর্মীদের নিয়ে জীবনবাজি রেখে উপদ্রুত এলাকায় আর্তমানবতার সেবায় আত্ননিয়োগ করেন। দেশ-বিভাগের পর কলকাতা থেকে ফিরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সদ্য স্বাধীন পাকিস্তনের শাসকগোষ্ঠীর পূর্ব বাংলার প্রতি বিমাতামূলভ আচরণ তাঁকে আহত করে।

এরমধ্যেই আসে মাতৃভাষার ওপর আঘাত। বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৮ সালে তাঁর প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত তিনবার কারাবন্দি হন। ১৯৪৯ থেকে একটানা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বন্দি থাকেন। কখনও জেলে থেকে কখনও বা জেলের বাইরে থেকে জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির বিয়োগান্তক ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অন্তরীণ অবস্থায় অনশন করেন। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ‘৫৮-র আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ‘৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬-র ছয়দফা, ৬৮-র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ‘৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০-র নির্বাচন এবং ‘৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সন্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র মুক্তিযুদ্ধ জাতিকে একসুত্রে গ্রথিত করেছিল। যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিকাশ ঘটেছে বাঙালি জাতিসত্তার। জাতির পিতা শুধু বাঙালি জাতিরই নন, তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক।’

গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুর কেটেছে অন্তত ৩০৫৩ দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বলা যায় কারাগার ছিল তাঁর দ্বিতীয় আবাসস্থল। তিনি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে সুসংহত করে গড়ে তুলতে ১৯৫৭ সালে স্বেচ্ছায় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। বিশ্ব শান্তিতে অনবদ্য অবদান রাখায় জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত হন।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার বিচক্ষণ নেতৃত্বে স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনী স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে। ১২৬টি রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি তদানীন্তন বিশ্ব বাস্তবতার চেয়েও অগ্রবর্তী থেকে সমুদ্রসীমা আইনসহ রাষ্ট্রপরিচালনায় নানা আইন প্রণয়ন ও অধ্যদেশ জারি করেন। তাঁর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে মাত্র ১০ মাসে প্রণীত হয় একটি অসাম্প্রদায়িক, সমঅধিকার সমুন্নতকারী-সংস্কারমুক্ত সংবিধান। সদ্য স্বাধীন দেশে জনবান্ধব ও ভারসাম্যমূলক প্রশাসন, যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো সচলকরণ, নির্যাতিত মা-বোন ও শরণার্থী পুনর্বাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের ফেরত আনা, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরদের রাহুমুক্ত করে পুনগঠন ইত্যাদি প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো তিনি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেন।

তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করেন। ভারতের সাথে স্থল সীমানা সমস্যা সমাধানে সীমান্ত চুক্তি করেন। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে উন্নীত হয়। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে সামিল করেন। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ -এই পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-সহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু যখন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের সদস্যসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডে যেন বিচার না হয় সেজন্য প্রণীত হয় দায়মুক্তির কালাকানুন- ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স। দীর্ঘ ২১ বছর পর জনগণের রায়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এই কালাকানুন বাতিল করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু করে। এ হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়।

রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যম্ক্তু ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা দৃঢ় সঙ্কল্পে আবদ্ধ হই-বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বসভায় আরো উচ্চাসনে নিয়ে যাবো, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত করবো।

শুভ মাহফুজ

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

Published

on

-ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল  ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি— ভূমিকম্পটি ৫.৪ মাত্রার ছিল। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৩৯ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পের সর্বশেষ আঘাত

Advertisement

সর্বশেষ গেলো ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

র‌্যাবের নতুন ডিজি ব্যারিস্টার হারুন

Published

on

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ। তিনি বর্তমান মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ৫ জুন হারুন অর রশিদ তার দায়িত্ব নিবেন।

আজ বুধবার (২৯ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।  আলাদা আরেক আদেশে বর্তমান ডিজি খুরশীদ হোসেনকে অবসর দেয়া হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তার (হারুন অর রশিদ) বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে তিনি পুলিশ সদরদপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) পদে কর্মরত। তার আগে তিনি পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। হারুন অর রশিদ ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী হারুন অর রশীদের বাবা আহম্মেদ আলী ছিলেন ব্যবসায়ী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ।

হারুন অর রশিদ ১৯৯৫ সালে ১৫ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকুরি করেছেন। পুলিশ সদরদপ্তরে ডিআইজি লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হন। কর্মজীবনে পুলিশি সেবা আধুনিকায়ন যেমন- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, অনলাইন জিডি, বিডি পুলিশ হেল্প লাইন এবং সিআইএমএস-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি থাকাকালীন তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম পেয়েছেন।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এড়ানোর সুযোগ নেই: দুদক চেয়ারম্যান

Published

on

অভিযোগ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলযোগ্য হলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ মে) তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগ দেখি নাই; দেখি, তারপরে বলব।

তিনি বলেন, সব ধরনের অভিযোগ আমলে নেয়া হবে। দুদকের শিডিউলভুক্ত কোনো অপরাধ যদি থাকে তাহলে তো সেটা আমলে নেয়া ছাড়া বিতর্ক কিছু নাই। আমরা পরীক্ষা করে তারপরে বলব।

এর আগে, বুধবার (২৯ মে) দুপুরে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

এতে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’ ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুর্নীতি দমন কমিশন এত বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরেও অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা। ওই বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল।

Advertisement

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান জানান, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইন অনুযায়ী অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে আবেদন করেছেন তিনি। দুদক ব্যবস্থা না নিলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করবেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত