Connect with us

বাংলাদেশ

আগুনে পুড়ছে রোজার জন্য রাখা এক লাখ টন চিনি

Avatar of author

Published

on

আগুনে পুড়ছে এস আলম গ্রুপের আমদানিকৃত এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি। আগুন নেভাতে একে একে যুক্ত হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট। সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। রোজা উপলক্ষে অপরিশোধিত চিনি গুলো ব্রাজিল থেকে আমদানি করেছিলো এস আলম গ্রুপ।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট যোগ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম।

কারখানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রমজানে বাজারে সরবরাহ করতে পরিশোধনের জন্য কমবেশি এক লাখ মেট্রিক টন কাচামাল গুদামটিতে মজুদ করা ছিল। আগুনে প্রায় সব চিনি পুড়ে গেছে। কী কারণে অগ্নিকাণ্ডর সূত্রপাত, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। তবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন কারখানার কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, শুরু থেকেই  আগুন যাতে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন যাতে মূল কারখানা এবং ফিনিশড সুগার যেখানে রাখা হয়েছে, সেখান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, মিলটিতে চার লাখ মেট্রিক টন ক্যাপাসিটি আছে। কারখানার ইউনিট-ওয়ানের গুদামে আগুন লেগেছে। সেখানে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল। গোডাউন সংলগ্ন মূল কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে রমজানে তাদের পক্ষে বাজারে চিনি সরবরাহ দেয়া সম্ভব হবে না।

প্রসঙ্গত, গত দুইদিন আগে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন একটি কোল্ড স্টোরেজে আগুন লেগেছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

Advertisement

 

Advertisement

জাতীয়

তামাকের নেশা মাদক সেবনেরও প্রবেশ পথ : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা প্রাণঘাতী। ধূমপান মাদক সেবনেরও প্রবেশ পথ। তামাক ও মাদকের কুফল থেকে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্ব সচেতন হতে হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তামাক আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণের এই কৌশল অনুসরণ করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে ২০২৪ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজার রাসায়নিক রয়েছে, যার মধ্যে ২৫০টি মারাত্মক ক্ষতিকর এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী। তামাক ও ধূমপানের নেশায় আসক্তদের অর্ধেক মানুষই ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি (সিওপিডি), অ্যাজমা এবং ধমনি ও শিরার প্রদাহজনিত বিরল রোগে (বার্জার্স ডিজিস) মারা যায়। স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশ্বখ্যাত জার্নাল ল্যানসেটে বলা হয়েছে, তামাকের কারণে পৃথিবীতে বছরে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ মারা যায়, যার মধ্যে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ অধূমপায়ী অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। তামাকজনিত রোগে বাংলাদেশে এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাকের ব্যবহার হ্রাস করার লক্ষ্যে ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল’ (এফসিটিসি) প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। এফসিটিসির আলোকে সরকার ২০১৩ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ এর সংশোধনী পাস করেছে। জাতিসংঘ তামাককে উন্নয়নের হুমকি বিবেচনায় নিয়ে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) প্রণয়ন করেছে। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টিকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুক্ত করেছে। সর্বোপরি, ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশীয় স্পিকার্স সামিটে আমরা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ৩০০টি সিগারেট তৈরির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ কাটা পড়ছে। তামাক চাষ ও তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার জন্য বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে দুই লাখ হেক্টর বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের ক্ষতিকর রাসায়নিক মাটি ও পার্শ্ববর্তী জলাশয়ের পানি দূষণ করছে। ফলে মাটি, বায়ু ও পানি নির্ভর জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং কৃষিব্যবস্থা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। অন্যদিকে তামাক প্রক্রিয়া,সিগারেট ও বিড়ির ধোঁয়ায় বায়ুর বিষমাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় তামাকের মতো বহুমাত্রিক ক্ষতিকর ফসলের চাষ কমিয়ে যার যেখানে যতটুকু পতিত জমি আছে, তা চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।

বাণীতে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রাখে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হচ্ছেন নাঈমুল ইসলাম খান

Published

on

দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এমিরেটাস এডিটর মোঃ নাঈমুল ইসলাম খানকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসন এ. কে. এম. মনিরুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গেলো মঙ্গলবার (২৮ মে) চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এমিরেটাস এডিটর মোঃ নাঈমুল ইসলাম খানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল পর্যন্ত অথবা তাঁর সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে সচিব পদমর্যাদায় নির্ধারিত বেতন ও সরকারি অন্যান্য সুবিধাদিসহ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, মোঃ নাঈমুল ইসলাম খানকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুর পর থেকেই এই পদটি শূণ্য ছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করলে নাঈমুল ইসলাম খানের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নাঈমুল ইসলাম খান দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

Published

on

সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়া ও বন্যার কারণে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হলো- গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল ও বিছানাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং জৈন্তাপুরের লালাখাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়।

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উপজেলার ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটন ঘাটসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

জাফলং পর্যটন স্পট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বুধবার (৩০ মে) এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত