আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ কোটি লোকের হাতে ৩৯ কোটি বন্দুক!
আবারও বন্দুক সহিংসতায় রক্তাক্ত হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য। কিংসিটির একটি আবাসিক ভবনে এক অনুষ্ঠানে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় বন্দুকধারীরা।কেড়ে নেয় চার জনের প্রাণ।আহত করে বেশ কয়েক জনকে।এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই রাজ্যের হান্টিংটন পার্ক এলাকায় বন্দুক হামলায় ঝরে যায় ৪ প্রাণ। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ধর দেশটিতে কেন বারবার বন্দুক হামলা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা যাক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলিতে মারা যাচ্ছে কেউনা কেউ।হাসপাতালে ছটফট করছেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কাজ করা ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ নামের একটি সংস্থার ওয়েব সাইট বলছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬৮টি বন্দুক হামলা হয়েছে।আর বন্দুক দিয়ে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এছাড়া বন্দুকের গুলিতে ১১৬টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
যেসব বন্দুক সহিংসতায় চারজন বা তার বেশি বেশি লোক নিহত হন সেটিকে ম্যাস শুটিং বা গণহত্যা বলা হয়। ওই সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতায় ২ হাজার ৭১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৮১ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও কিশোরের সংখ্যা ২৪৪ জন। আর আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫শত।
গত বছরে বন্দুক হামলা ও সহিংসতার চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ। মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে আমেরিকায় বন্দুক সহিংসতায় ৪০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিদিন দেশটিতে ঝরছে ১১৮জনের প্রাণ। নিহতদের মধ্যে ২৭৬ জনশিশু ও ১ হাজার ৩০৬ জন কিশোর। শুধুমাত্র বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সাড়ে ২২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক।
যুক্তরাষ্ট্রে কেন বারবার ঘটছে বন্দুক হামলা? গান ভায়োলেন্সের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির ৩৩ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি বন্দুক রয়েছে।সেদেশে আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ।বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন একারনেই এসব ঘটনা ঘটেছে। তারা বলছেন, এসব ঘটনার মূলকারণ বিনামূল্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার সুবিধা। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠলেও অস্ত্রপ্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীদের কারণে তা টেকেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে নাগরিকরা আইনত প্রকাশ্যে বা গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতেপারে। দেশটির ১২টি রাজ্য লাইসেন্স বা অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্যে গোপন অস্ত্র বহন করার স্বাধীনতা রয়েছে। ৩০টি রাজ্যে প্রকাশ্যে হ্যান্ডগান বহনের অধিকা রয়েছে।বর্তমানে ৪৫টি রাজ্যে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি রয়েছে। মাত্র সাতটি রাজ্যে মানুষকে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার প্রয়োজনীয়তা দেখাতে হয়। এসব কারণে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা কোনোভাবেই থামছেনা।
বন্দুক সহিংসতা কমানোর আরেকটি ধাপ হলো-আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণকরা। বাইডেন প্রশাসন এর আগে কয়েকবার বন্দুকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও প্রত্যেকবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনেটিটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা।
বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে বাইডেন প্রশাসন নতুন দপ্তর খোলার ঘোষণা দিলেও এখনও কার্যক্রম শুরু হয়নি।বন্দুক হামলার লাগাম টানতে ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জো বাইডেন চান, অ্যাসল্ট ওয়েপনস নিষিদ্ধ করা, অস্ত্রের জন্য আবেদনকারীর অতীত বৃত্তান্ত বিস্তারিত খতিয়ে দেখা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। বাইডেন বলেন, বন্দুক হামলায় স্তব্ধ দেশ’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আর কত প্রাণের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র আইন পরিবর্তন আসবে?
আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ায় মানুষের মল ও আবর্জনা পাঠাল উত্তর কোরিয়া
২৬০টি বেলুনে করে দক্ষিণ কোরিয়ায় মল ও আবর্জনা ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। এই ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশটির নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর- বিবিসি
অন্যদিকে দেশটির সেনাবাহিনী নাগরিকদের বেলুনগুলো স্পর্শ না করার জন্য সতর্ক করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নয়টি রাজ্যের মধ্যে ৮টিতে এই বেলুন পাওয়া গেছে। বেলুনগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর দেশ দুটি একে ওপরের বিরুদ্ধে প্রচারণার অংশ হিসেবে বেলুন ব্যবহার করে আসছে।
সীমান্ত এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাকটিভিস্টদের লিফলেট ও ময়লা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নেওয়া হবে— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলো উত্তর কোরিয়া। আর হুমকির কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটলো।
এনএস/
আন্তর্জাতিক
জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে: এরদোয়ান
গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতার বিষয়ে পশ্চিমা নেতা ও জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তাদেরকে ইসরায়েলের চালানো নৃশংসতার সহযোগী বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, নিরবতা পালনের মাধ্যমে ইসরায়েলের ভ্যাম্পাইরিজমের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় সরকারপ্রধানরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরদোয়ান জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, যদি একুশ শতাব্দীতে এসে এটি গণহত্যা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে এই সংস্থার ভালো দিক কি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ এমনকি তার নিজেদের কর্মীদেরও রক্ষা করতে পারে না। আপনি কিসের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন? গাজায় জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে।
এনএস/
আন্তর্জাতিক
হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র দিলো ইরান
ইরানের কাছ থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পেলো ইয়েমেনের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহী। ইরান এই মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম দিয়েছে ‘গদর’
বুধবার (২৯ মে) ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থাটি দাবি করেছে, ইয়েমেন ও এর আশপাশের অঞ্চলে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি প্রভাবের ক্ষেত্রে এসব ক্ষেপণাস্ত্র বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গেলো নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মানদাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে চলাচলরত ইসরায়লি জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।
এনএস/
- অপরাধ7 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- টুকিটাকি6 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- বাংলাদেশ1 day ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড2 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড2 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ4 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া1 day ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস