ঢাকা
রান্না নিয়ে জবির ছাত্রী হলে মারামারি, অভিযুক্ত ছাত্রীর সিট বাতিল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে রান্না ঘরে ডিম ভাজাকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্রীর মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সঙ্গীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্রী তাসমিম সানজানা সৃষ্টিকে স্থায়ীভাবে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৮মার্চ) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ড. দীপিকা রানী বলেন, এমন ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি আসলে কোনভাবেই কাম্য নয়। আমাদের সবাইকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। পাশে একটা চুলা ছিল চাইলে তারা পরিবর্তন করে অন্য চুলায় রান্না করতে পারত। শৃঙ্খলা কমিটিতে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হলে রান্না করাকে কেন্দ্র করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে মারধর করেন ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। এ ঘটনায় ছাত্রী হলের হাউস টিউটর ও প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ইতি খাতুন। পরবর্তীতে পাল্টা অভিযোগ দেন তাসমিম সানজানা সৃষ্টি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ইতি খাতুন বলেন, ‘আমি রান্না করছিলাম। পরে চুলা ফাঁকা থাকায় সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চাইলে চুলা ছেড়ে দেই। কিন্তু রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় ও আমার ক্লাসের সময় হওয়ায় আপুকে দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। কিন্তু আমি জুনিয়র বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন আপু। আমার মরা বাপ তুলেও গালি দেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারে তিনি। পরের ঘটনা আমার মনে নেই, আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।’
অভিযুক্ত তাসমিম সানজানা সৃষ্টি বলেন, ‘জুনিয়র হয়ে ইতি বেয়াদবি করেছিল। এজন্য আমি কি বসে থাকব? আমিও মাইর খাইছি, আমিও অভিযোগ দিছি।’
ঢাকা
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বন কর্মচারীদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৮
গাজীপুরে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জেরে বন বিভাগের ৮ কর্মচারীদের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এতে ৮ জন কর্মচারী আহত হন। এর মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর খাজার টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরে রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের আওতাধীন কালামপুর খাজার টেক এলাকায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় বন বিভাগ। এসময় কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম লোকজন নিয়ে এসে হঠাৎ বন বিভাগের কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়।
কাউন্সিলর আবুল কাশেম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। বন বিভাগের লোকজন দোকানপাট ভাঙচুর করছে এ কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি বন বিভাগের লোকজনের উপর জনগণ হামলা করেছে। এ অবস্থা দেখে বন বিভাগের লোকদের সেভ করার চেষ্টা করি।
আপনার লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ এই ওয়ার্ডের সবাই তো আমার লোক, সে হিসাবে আমার লোকজন হামলা করেছে।
বন বিভাগের চন্দ্রা বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জের ধরে কাউন্সিলর আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তার লোকজন হঠাৎ আক্রমণ করেন। আমরা কোন রকম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করি। তবে আমাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় যাচ্ছি।
কালিয়াকৈর রেঞ্জের কর্মকর্তা মনিরুল করিম বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম তার দলবল নিয়ে আমাদের কর্মচারীদের ওপর হালমা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এএম/
ঢাকা
কাউন্সিলরের নির্দেশে বন কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮
গাজীপুরে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জেরে বন বিভাগের কর্মচারীদের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বন বিভাগের ৮ কর্মচারী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর খাজারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মনিরুল করিম।
বন বিভাগ জানায় , বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াকৈরে রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের আওতাধীন কালামপুর খাজারটেক এলাকায় বনভূমি দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় বন বিভাগ। এসময় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম লোকজন নিয়ে এসে হঠাৎ বন বিভাগের কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। এতে ৮ জন কর্মচারী আহত হন। এর মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বন প্রহরী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জের ধরে কাউন্সিলর আবুল কাশেম তার লোকজন নিয়ে হঠাৎ আমাদের ওপর আক্রমণ করেন। আমরা কোন রকম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করি। তবে তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর রেঞ্জের কর্মকর্তা মনিরুল করিম বলেন,এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আই/এ
ঢাকা
ধান বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
পৈতৃক জমির তিন টন ধান ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মোট ৯২৩ টন ধান কিনবে সরকার। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০৮ কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচিত কৃষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন টন বোরো ধান বিক্রি করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে দ্বিতীয় দফায় উৎপাদিতে এ ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি অনাবাদি হিসেবে পড়েছিল। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এমন নির্দেশনা অনুযায়ী । প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই গেলো মৌসুম থেকে সমবায়ভিত্তিতে বোরো আবাদ শুরু হয় ওই জমিতে। সেখানের চাষ দেখে প্রতিবেশীরাও পুবের বিলের অনাবাদি জমিতে চাষাবাদে আগ্রহী হন।
তিনি বলেন গত মৌসুমে পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মন ধান পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ধান সংগ্রহ শুরু হয় । আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেজিপ্রতি ৩২ টাকা ও প্রতি মণ ১২৮০ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার।
আই/এ
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি