আন্তর্জাতিক
রিলায়েন্সের বেশি শেয়ারের মালিক কে এই কোকিলাবেন আম্বানি
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একটি ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানী। জ্বালানি, পেট্রোকেমিক্যালস, টেক্সটাইল, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবসায় জড়িত এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে আছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তিনি বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর একজন।
তবে বিজনেস টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক মুকেশ-নীতা দম্পতি ও তাদের তিন সন্তান আকাশ, ইশা ও অনন্ত আম্বানির কেউ নন।
রিলায়েন্সের সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক মুকেশ আম্বানির মা কোকিলাবেন আম্বানি। তিনি রিলায়েন্সের শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক। তাঁর শেয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৫৭ লাখ। এ–সংখ্যক শেয়ার নিয়ে তিনি কোম্পানির বৃহত্তম ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডার।
এছাড়া ৭৫ লাখ (শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ) শেয়ারের একক মালিক মুকেশ। তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আকাশ, ইশা ও অনন্ত প্রত্যেকে রিলায়েন্সের শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ করে শেয়ারের মালিক।
এশিয়া
মার্কিন শিক্ষার্থীদের প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার চিঠি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত ফিলস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অবস্থান সঠিক বলে উল্ল্যেখ করে একটি চিঠি লিখেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি । গাজায় নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্যই এ চিঠি লিখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নিজের টুইটার (এক্স) একাউন্টে এ চিঠি লিখেন খামেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা চিঠিতে বলেন,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আমি এই চিঠিটি সেই তরুণদের উদ্দেশে লিখছি যাদের জাগ্রত বিবেক তাদেরকে গাজার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় তরুণ শিক্ষার্থীরা! এটি তোমাদের প্রতি আমার সহানুভূতি এবং সংহতির বার্তা। বর্তমানে যে ইতিহাস রচিত হচ্ছে তাতে তোমরা সঠিক পক্ষে অবস্থান নিয়েছ।
তোমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের একটা অংশ গড়ে তুলেছ এবং দখলদার ও নির্দয় ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য সমর্থক মার্কিন সরকারের নিষ্ঠুর চাপের মধ্যে থেকেও একটা সম্মানজনক সংগ্রাম শুরু করেছ।
তোমরা যে উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়ে সংগ্রাম করছ ঠিক সেই উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়েই তোমাদের থেকে অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে বিশাল এক প্রতিরোধ ফ্রন্ট বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামের লক্ষ্য হলো- প্রকাশ্য জুলুম বন্ধ করা যা ‘জায়নবাদী’ (ইহুদিবাদী) নামক সন্ত্রাসী ও নির্দয় নেটওয়ার্ক ফিলিস্তিনি জাতির উপর বহু বছর ধরে চালিয়ে আসছে এবং তাদের দেশ দখল করার পর তাদের ওপরই চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্ণবাদী ইসরাইল আজ যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা গত কয়েক দশক ধরে চলমান চরম জুলুম ও নিষ্ঠুরতারই ধারাবাহিকতা।
মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে গঠিত একটি জাতির স্বাধীন ভূখণ্ড হলো ফিলিস্তিন এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের পর জায়নবাদী নেটওয়ার্কের পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় ধীরে ধীরে কয়েক হাজার সন্ত্রাসীকে এই ভূখণ্ডে নিয়ে আসে; তারা শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা অথবা তাদেরকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে বাধ্য করে। তারা সেখানকার মানুষের কাছ থেকে তাদের বাড়িঘর, বাজার ও ক্ষেত-খামার কেড়ে নেয় এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘ইসরাইল’ নামে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করে।
প্রথম ব্রিটিশ সাহায্যের পরে এই দখলদার সরকারের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা দখলদারদেরকে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ক্ষমার অযোগ্য অসাবধানতার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ খুলে দিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সাহায্য করে যাচ্ছে।
প্রথম দিন থেকেই জায়নবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে ‘লৌহ মুষ্টি’ নীতি অবলম্বন করেছে। তারা সব ধরণের বিবেক-বিবেচনা এবং মানবীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে দিন দিন বর্বরতা, সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন সরকার ও অন্য সহযোগীরা এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ভ্রুকুটিও প্রদর্শন করেনি। এখনও গাজায় চলমান ভয়াবহ অপরাধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কিছু বক্তব্য অবাস্তব এবং ভণ্ডামিপূর্ণ।
এমনি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাজনক পরিবেশ থেকে প্রতিরোধ ফ্রন্টের উদ্ভব হয় এবং ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার পর তা এই ফ্রন্টকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করে তোলে। আন্তর্জাতিক জায়নবাদের নেতারা এই মানবিক ও সাহসী প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ বলে ঘোষণা করেছে। আর এই জায়নবাদী নেতারাই আমেরিকা ও ইউরোপের বেশিরভাগ মিডিয়া কোম্পানির মালিক অথবা এসব কোম্পানিতে তাদের অর্থ ও ঘুষের প্রভাব রয়েছে। যে জাতি ইহুদিবাদী হানাদারদের অপরাধের মোকাবেলায় নিজ ভূমিতে আত্মরক্ষা করে সে কি সন্ত্রাসী?! আর এমন জাতিকে মানবিক সাহায্য দেওয়া এবং তাদের হাতকে শক্তিশালী করা কি সন্ত্রাসবাদের প্রতি সাহায্য বলে বিবেচিত হতে পারে?
বিশ্ব আধিপত্যবাদের বিদ্বেষী নেতারা সবচেয়ে মৌলিক মানবিক ধারণাগুলোকেও বিকৃত করছে। তারা এমন ভান করে যে, নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ইসরাইল আত্মরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে; আর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাস করছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে। আমি তোমাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রকমের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিশ্বব্যাপী অনেক বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং সত্য প্রকাশ পাচ্ছে।প্রতিরোধ ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে।
তোমরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। তোমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগিতা ও সমর্থন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ঘটনা যা সরকারের পুলিশি পদক্ষেপের তীব্রতা ও চাপের মোকাবেলায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক। আমি তোমাদের প্রতি অর্থাৎ তরুণদের প্রতি সহানুভূতি জানাই এবং তোমাদের দৃঢ়তাকে সম্মান করি। আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য কুরআনের শিক্ষা হলো সত্যের পথে অবিচল থাকা: ‘কাজেই আপনি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছেন তাতে অবিচল থাকুন’ (সূরা হুদ, আয়াত ১১২ একাংশ)। আর মানব সম্পর্কের বিষয়ে কোরানের শিক্ষা হলো-‘অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৯ একাংশ)। এই আদেশসহ এ ধরণের আরও শত শত আদেশ রপ্ত করার পাশাপাশি সেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ফ্রন্ট এগিয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় অর্জন করবে।
আমি তোমাদেরকে কুরআনের সাথে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
আন্তর্জাতিক
বৃষ্টির আশায় করাচিবাসী
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাকিস্তান। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে করাচির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী ১ জুনের আগে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বৃহম্পতিবার (৩০ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জুন দেশটিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন একটু গরম কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর তবে তার আগে আগামী ২৪ ঘণ্টা তীব্র গরম থাকবে।
দেশটির প্রধান আবহাওয়াবিদ সরদার সরফরাজ জানিয়েছেন, আগামী দুইদিন ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে দশটিতে।
এর আগে গেলো সোমবার (২৭ মে) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের ঐতিহাসিক শহর মোহেঞ্জোদারোর তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দৈনিক তাপমাত্রার রেকর্ড ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৭ সালের দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এসি//
আন্তর্জাতিক
ইরান সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত
পাকিস্তানীদের বহন করা একটি গাড়িতে ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পাকিস্তানের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে, বুধবার (২৯ মে) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান রাজ্যের মাসকেল গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
রাজ্য সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাহেবজাদা আসফান্ড বলেন, ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহনী কী কারণে ওই গাড়িতে গুলি চালিয়েছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহত চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুই দেশের নিরাপত্তাবাহিনী এই অঞ্চলে চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য প্রায়ই অপারেশন পরিচালনা করে। এ বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় এতে নয়জন নিহত হয়। ইরানও পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে।
কেএস/
- বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
- বলিউড3 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১