Connect with us

স্বাস্থ্য

ভারত ও ভুটান থেকে আমাদের দেশে রোগী আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

আমাদের চিকিৎসকদের যে ভালো মেধা আছে তার অসংখ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এরকম নয়, ভারত থেকেও আমাদের দেশে অসংখ্য রোগী আসছে। বললেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি  অনুষ্ঠানে  তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং ভালো চিকিৎসা প্রদান করা যায়।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে দেশে জোড়া শিশুর অপারেশন করা হয়েছে। এসময়ে তিনি দেখেছেন বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেয়া হয়,তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি,পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।

চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই তারা খুশি’।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখন কেউ রোগে আক্রান্ত হয়,সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

রোগব্যাধি

ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

Published

on

এডিস মশা, ডেঙ্গু

বৃষ্টি শুরুর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে রাজধানীতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়েও বেশি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪’ এবং ‘মৌসুমপরবর্তী এডিস সার্ভে ২০২৩’ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে গেলো ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক-বর্ষা জরিপটি চালানো হয়।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা তার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো তাই ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো– ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো– ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩নং ওয়ার্ড।

Advertisement

উল্লেখ্য, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১২নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩নং ও ২০নং ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১নং ও ৩২নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭নং ও ৩৩নং ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২নং ও ৫৪নং ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। আর ৩নং, ৫নং, ১৫নং, ১৭নং এবং ২৩নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মৌসুম পূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ পরিচালনা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের ২১টি টিমের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রোগব্যাধি

মস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গগুলি কী, কেন হয়?

Published

on

মাথার যন্ত্রণা এখন ঘরে ঘরে, জনে জনে সমস্যা। কোনও আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ এটি হানা দেয়। ওষুধ খাওয়ার পর অবশ্য ধীরে ধীরে ব্যথা মিলিয়েও যায়। দু’দিন যেতে না যেতেই ফের যন্ত্রণা ফিরে আসে। শুধু যে মাথাব্যথা, তা তো নয়। সঙ্গে বমি, চোখের সামনে অন্ধকার দেখার মতো লক্ষণও থাকে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মস্তিষ্কে টিউমার হলে এমন হতে পারে।

তবে রোগ শনাক্ত করার জন্য আগে উপসর্গগুলি জানতে হবে।

উপসর্গগুলি কী?

১. এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ তীব্র মাথার যন্ত্রণা। তবে টিউমার হলে মাথাব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা করে।

২. জ্বর বা অন্য কোনও কারণ ছাড়া হঠাৎ হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছুক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। হজমের সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ বমি পায়।

Advertisement

৩. খুব সাধারণ ও সাম্প্রতিক ঘটনার কথা বেমালুম ভুল হয়ে যাওয়াও রোগের একটি লক্ষণ। কিছুতেই মনে পড়ে না। সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঝিমুনি থাকে, আলস্য লাগে।

৪. মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। যেমন, সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দেখতে অসুবিধে হয়। অন্যত্র হলে অন্য সমস্যা তৈরি হয়।

কেন হয় টিউমার?

নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই ব্রেন টিউমারের। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল ও ইয়ার ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু রাসায়ানিকের প্রভাবেও ক্যানসার-যুক্ত ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়েটে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও এই রোগ ডেকে আনতে পরে। এ ছাড়া, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্র দিচ্ছে সরকার

Published

on

প্রতিবন্ধী

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় কানে শোনার যন্ত্র ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস’ দিচ্ছে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট।

জানা গেছে, বিনামূল্যে বা আংশিক মূল্যে সার্জারির মাধ্যমে এই ডিভাইস প্রতিবন্ধী শিশুর কানে দেয়া হবে। এ জন্য আগ্রহী অভিভাবকদের আগামী ১৩ জুনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাকারিয়া সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটিতে (জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট) শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সার্জারির মাধ্যমে সরকারি অর্থে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান করা হবে।

আগামী ১৩ জুনের মধ্যে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিভাগ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়েছে, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসটি বরাদ্দ পাওয়া ও সার্জারির মাধ্যমে কানে স্থাপনের জন্য আগ্রহী শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু রোগীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। ৫ বছরের নিচের শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বিনামূল্যে অথবা আংশিক মূল্যে এই ডিভাইসটি দেয়া হবে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত