বাংলাদেশ
ভাল থাকুক শখের ক্যামেরাটি
শখের ফটোগ্রাফার ওয়াহিদুল হুদা ডালটন। পেশায় ব্যাংকার হলেও সময় পেলেই বেরিয়ে পরেন ক্যামেরা হাতে। এই সেদিন ঝুম বৃষ্টিতে বেরিয়েছিলেন ক্যামেরা নিয়ে বৃষ্টি ভেজা কিছু পাখির ছবি তুলবেন বলে। কিন্তু ক্যামেরাটা হাতে নিয়েই বেজায় মন খারাপ, নতুন লেন্সের উপর ফোঁটা ফোঁটা পানির দাগ, মনটা একেবারে বিগড়ে গেল তার। আর সঙ্গে ফটোগ্রাফির দফা-রফা যাকে বলে। ঘুরতে যাওয়ার তাড়াহুড়োতে এখন বোধহয় মোবাইল ক্যামেরাতেই ফটোগ্রাফিটা সেরে ফেলতে হবে।
কিন্তু সব সময় কি মোবাইল ক্যামেরায় সব রকম ফটোগ্রাফি হয় বলুন? সেই জন্যই তো ক্যামেরার আর লেন্সের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আর এ বর্ষার মরশুমে তো ক্যামেরা আর লেন্স দুটিকেই স্যাঁতসেতে পরিবেশ আর ফাংগাসের হাত থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। তাই কিছু পদ্ধতিগ মেনে চললে ক্যামেরা কিন্তু কখনও আপনাকে নিরাশ করবে না। মনের লেন্সেই শুধু নয় ক্যামেরার লেন্সেই ধরে রাখতে পারবেন সুন্দর মুহূর্তগুলোকে। এজন্য রইল প্রয়োজনীয় কয়েকটি ঘরোয়া টিপস-
ক্যামেরা আর তার সঙ্গে ব্যবহৃত লেন্সের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাগ রাখাটাই বিশেষভাবে প্রয়োজন। ব্যাগগুলো যাতে ওয়াটারপ্রুফ এবং প্যাডেড হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।
ব্যাগের মধ্যে অবশ্যই রাখুন সিলিকা জেল। কী এই সিলিকা জেল? সিলিকা জেল হল সোডিয়াম সিলিকেট থেকে কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতিকৃত সিলিকন ডিওক্সাইডের একটি রূপ যা ভঙ্গুর, কাচের ন্যায় স্বচ্ছ এবং ছিদ্রযুক্ত একটি পদার্থ । এটি একটি নিরাপদ রাসায়নিক যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে জলীয় আদ্রর্তা থেকে বিশেষভাবে সাহায্য করে। মাঝে মাঝেই লক্ষ করা যায় ক্যামেরার কাচটা স্যাঁতসেতে হয়ে যাচ্ছে, বার বার মোছামুছি করলেও জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা কিছুতেই যাচ্ছে না। এইক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হচ্ছে সিলিকা জেল। যা আপনার ক্যামেরা থেকে অতিরিক্ত আদ্রর্তা শোষণে সক্ষম এবং ক্যামেরার লনজিভিটিও অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিতে পারবে।
ক্যামেরার ব্যাগটিকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করাও প্রয়োজন, এজন্য ব্যবহার করুন নানা রকম ইনসেক্টিসাইড, বাইরে থেকে একটু ক্যামেরার ব্যাগের গায়ে স্প্রে করে দিলেই এড়ানো যায় এধরণের সমস্যা ।
ক্যামেরা বাইরে নিয়ে বেরোলে তাতে ধুলোবালি লাগবেই। কিন্তু বাড়িতে এসে ধুলো-বালিসহ ক্যামেরাটিকে ব্যাগে তুলে রাখাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মনে রাখবেন ক্যামেরার সঠিক যত্ন নেয়া কিন্তু বিশেষভাবেই প্রয়োজন। নয়তো যে কোনও সময় আপনার এ বন্ধুটি আপনাকে টা-টা করে দেবে। তাই বাইরে থেকে এসে ক্যামেরাটিকে ভাল কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। কী কাপড় ব্যবহার করবেন? অবশ্যই কটন জাতীয় কাপড়ই ব্যবহার করা উচিত। তাতে ক্যামেরার গ্লাস আর লেন্স দুটিই বিশেষভাবে সুরক্ষিত থাকে। খুব ভাল হয় যদি মাইক্রোফাইবার ক্লথ ব্যবহার করেন। যেকোনও ক্যামেরা অ্যাকসেসরিজের দোকানেই মিলবে এ বিশেষ ক্লথ। ক্যামেরা যত্নের ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বাইরে বেরোনের সময় ক্যামেরাটিকে ভাল করে কাপড়ে মুড়ে নেবেন, এতে ক্যামেরার লেন্স বাইরের আঘাত বা অন্য কোনও রকম স্ক্র্যাচ পড়ার হাত থেকে বিশেষভাবে সুরক্ষিত থাকবে।
কখনও কখনও এমনটা হয়, প্রবল বৃষ্টিও আপনার ফটোগ্রাফির নেশা পুরোপুরি মিইয়ে দিতে পারে না। বৃষ্টির মধ্যে ফটো তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন রেন প্রোটেক্টর। এতে আপনার ক্যামেরা তো সুরক্ষিত থাকবেই আর ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও থাকবে না কোনও বাধা।
মাঝে মাঝে কিন্তু ক্যামেরার লেন্সকে উপযুক্ত সলিউশন দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কাচ পরিষ্কারের সলিউশনে তুলোর বল ডুবিয়ে সূক্ষ্মতার সঙ্গেই ক্যামেরার কাচ পরিষ্কার করা সম্ভব। এতে যেমন ঝকঝকে ছবি উঠবে তেমনি বাড়তি কোনও সমস্যাও হবে না বলে ধরে নেয়া যায়।
এতক্ষণ ধরে তো ক্যামেরা আর লেন্সের যত্নের কথা বললাম, যাতে ছবিগুলো ভাল ভাবে আসে। কিন্তু এত সুন্দর ছবিগুলো তো ঠিক মতো সংরক্ষণও করতে হবে, আপনার ফটোগ্রাফির চমক দুটো লোক না দেখলে কি চলে? তাই ক্যামেরা ব্যবহারের পর ক্যামেরার ব্যাটারি খুলে রাখুন। তাতে ক্যামেরার লনজিভিটি বাড়বে। একই সঙ্গে ক্যামেরার মেমোরি কার্ড পাল্টানোর সময় ক্যামেরা যাতে অন না থাকে সেই দিকেও নজর রাখতে হবে। ক্যামেরার ফরম্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা রাখুন, নইলে আপনার তোলা পরম যত্নের ফটোগুলো নিমেষে গায়েব হয়ে যেতে পারে।
তো এবার এগুলো মেনে চললেই বেড়াতে গেলেও খোশ মেজাজেই চলতে থাকবে আপনার ফোটোগ্রাফির নেশা।
অনন্যা চৈতী
অর্থনীতি
মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ছাড়িয়েছে তিন লাখ টাকা
এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩৫ ডলার বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা ( ১ ডলার= ১০৯ টাকা ৯৭ পয়সা হিসেবে ধরা হয়েছে।) এর ফলে প্রথমবারের মতো দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেলো।
সোমবার (২০ মে) প্রকাশিত এক হিসাবে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো টাকার অংকে মাথাপিছু গড় আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু গড় আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) চূড়ান্ত হিসেবে টাকায় মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২ হাজার ৭৮৪ টাকা।
এদিকে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। বিবিএস এর হিসেব অনুযায়ি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হবে। যেটি আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায়। গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিলো ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। তবে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খাবে বলেও সতর্ক করেছে বিবিএস। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ি শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। গত অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ছিলো ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
শিল্পখাতের পাশাপাশি কৃষি খাতেও প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানিয়েছে বিবিএস। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ি, কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। গত অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে সরকারি এ সংস্থাটি।
বিবিএস বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে। আগের বছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিলো ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে, বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ।
এমআর//
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের জন্মদিন আজ
আজ (২১ মে)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির জন্মদিন। ১৯৮০ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন তারুণ্যের শক্তিকে সংঘবদ্ধ করা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের সন্তান ববি আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করছে। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ং বাংলা’র মাধ্যমে কাজ করছেন তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ববি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্ন্যান্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপেরেটিভ পলিটিকস বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ববির দুই বছরের ছোট বোন টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেয়া ছিলো নিষিদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে এভাবে বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে ফেলার স্বাক্ষী হয়ে আছেন আশির দশকে ঢাকায় শৈশব পার করা বঙ্গবন্ধুরই দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ তৎকালীন প্রজন্ম।
নিজের শৈশবের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে ববি বলেন, “স্কুলে অনেকেই তখন নানার নামই শোনেনি। আমার বন্ধুরা বলতো, ‘কে তোমার এই বঙ্গবন্ধু নানা?’ স্কুলে আমার শিক্ষকরা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটা শুনলে অনেক ঘাবড়ে যেতেন। আমাকে বলতো, ‘বঙ্গবন্ধু বলতে হয়না স্কুলে’।” শিশু রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সে সময় বুঝতে পারতেন না কেনো তার নানাকে কেউ চেনেন না, যিনি বাংলাদেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছেন তাকে কেনো চিনবে না বন্ধুরা!
আর এ কারণেই বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের স্বপ্ন দেখতেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তাঁর পরিকল্পনায় শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত হয় গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। ১০ পর্বের গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটিকে যেনো বাস্তবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশে নির্মিত ডকুড্রামা ‘হাসিনা: এ ডটারর্স টেল’ এর নির্মাণের পেছনেও বড় ভূমিকা রেখেছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। মূলত ১৯৭৫ সালের নিজ পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়ে যেভাবে জাতির পিতার দুই কন্যা বেঁচে ছিলেন এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এই ডকুড্রামার মাধ্যমে। এটি নির্মাণের পেছনেও মূল কারণ ছিলো তরুণদের আকৃষ্ট করা।
পর্দার আড়ালে থেকে তরুণদের জন্য কাজ করে যাওয়া রাদওয়ান মুজিব গণমাধ্যমের সামনেও খুব একটা আসেন না। কিন্তু তার দুর্দান্ত সব কার্যক্রমের কল্যাণে দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলার’ মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৩১৫টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ইয়াং বাংলার সদস্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি।
২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে তার নেতৃত্বে ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ও জয় বাংলা কনসার্ট সহ আরও নানা আয়োজন। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, তরুণদের দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সহজে পরিচিতি ঘটাতে এবং দেশ গঠনে তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতেই এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা হয়।
২০২১ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আসলে আমাদের শুধু বললেই হবে না। এখন সময় এসেছে তরুণদের হাতে আরও দায়িত্ব তুলে দেয়ার। সকল সেক্টরে তরুণদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে, সেটা ব্যবসা, রাজনীতি, এনজিও থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে।
বাস্তবতা হলো, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক শুধু তরুণদের দায়িত্ব দিতে বলেননি। তিনি তরুণদের কাধেই সকল দায়িত্ব অর্পন করেছেন। আর তাদের পাশে সর্বদা ইয়াং বাংলার মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
সিআরআই থেকে প্রকাশিত নীতি-নির্ধারণী ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব। তার হাত ধরে গড়ে ওঠা তরুণদের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তার হাত ধরেই দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারছে তরুণ প্রজন্ম।
২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৭ সালে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ‘ফ্রস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-খ্যাত স্যার ডেভিডকে যে সাক্ষাৎকার দেন, যা বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
এমআর//
জাতীয়
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানালেন সিইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। বললেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার তেমন ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই পর্যন্ত ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি। বুধবার (২২ মে) পুরো বিষয় জানা যাবে।
সিইসি বলেন, ভোটের সময় বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাল ভোটের অপরাধে ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আই/এ
- ক্রিকেট6 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- জাতীয়7 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- বলিউড5 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- বলিউড4 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
- আইন-বিচার6 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- আইন-বিচার6 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
- ঢাকা3 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
- আইন-বিচার7 days ago
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করে নিপুণের রিট