স্বাস্থ্য
প্রথমবারের মতো দেশে হয়ে গেলো পিএইচএ গ্লোবাল সামিট
প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হয়ে গেলো ৯ দিনের প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিট-২০২৪। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহত এই সম্মেলন আয়োজন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিকিৎসক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংগঠন-পেডিয়াট্রিক এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল(পিইডিএসআই)।
সম্মেলনে দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ও পরের দিন (১৮ ফেব্রুয়ারি) পিএইচএ গ্লোবাল সামিট, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর ডিএইচএস-এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ পিইডিএসআই অফিসে, ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজানে, ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরের দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আরও বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয় এই সামিট।
সম্মেলনে বক্তা হিসেবে ছিলেন ৫০ জন প্রবাসী চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও বেশি খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। নয় দিনের সম্মেলনে ছিল ৩০টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন আয়োজন করা হয়। দেশের বৃহৎ কয়েকটি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত লাইভ সেশনগুলো দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে নবীন চিকিৎসকরা নানা জটিল বিষয়ে হাতে কলমে শেখার সুযোগ পান।
বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংগঠন পিএইচএ গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
২০১২ সাল থেকে পিইডিএসআই গ্লোবাল হেলথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে আসছে। বিনামূল্যে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA)-অধিভুক্ত বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএস)এবং পেডিয়াট্রিক অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট (পিএএলএস) কোর্সগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফোকাস দারুন সফল হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সামিট আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিইডিএসআই।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সামিট সফল হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস এর সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষ, পরিচালক ও বর্তমান সভাপতিকে তাদের প্রচেষ্টার জন্য পিইডিএসআই গ্লোবাল হেলথ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডাক্তার মাকসুদ চৌধুরী আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জরিপ চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এটি গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এবং এ বিষয়ে আমাকে রিপোর্ট দিতে হবে।
বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানবো আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা বলছে টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলবো?
আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে। আমি চাই না ডেঙ্গুর কারণে আর কারও মা হারাক। তবে ডেঙ্গু নিয়ে একটা কথা বলি, এটা এমন একটা রোগ এটা নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না দুইটা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ না করতে পারি তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কিন্তু এটা বন্ধ হবে না। আশা করি আমাদের হাসপাতালের যে সক্ষমতা রয়েছে, আমাদের ডাক্তাররা ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ। আমি একটা অনুরোধ করবো জ্বর হলে সবাই যেন সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়। দেরি করলেই মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া এবার স্যালাইনের সংকটও হবে না। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি তারা দামও বাড়াবে না।
এসি//
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কারো মা যেন মারা না যায়
ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। ডেঙ্গু নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করবো যাতে আর কারো মা এতে মারা না যায়। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারো হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাই একসাথে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বরেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেয়া যায়, এমন যারা আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়।
এছাড়া আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও অপেনলি আলোচনা করবো।
টিআর/
স্বাস্থ্য
ভুল চিকিৎসা নির্ণয়-দাবির অধিকার কেবলমাত্র বিএমডিসি’র : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কেবলমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’র রয়েছে (বিএমডিসি)। বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
একই সাথে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।
চিকিৎসকদের সুরক্ষা আমি দেখবো, কিন্তু রোগীদের সুরক্ষা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সুরক্ষার বিষয় দেখবো। আপনাদের সঙ্গে কোনো অবিচার হলে আমি দেখবো। আমি আপনাদের সাথে থাকবো। কিন্তু আপনাদের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।
বক্তব্য শেষে দেশে বয়ে চলা তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কতজন হিটস্ট্রোকে মারা গেছে, তার সঠিক হিসাব এখনো আমার কাছে আসেনি। তবে আমরা হিটস্ট্রোকের প্রস্তুতি নিতে হাসপাতালগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু বেড খালি রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
- ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা