বাংলাদেশ
চালককে খুন করে ৫০০ টুকরো করলেন চিকিৎসক!
Published
2 years agoon
By
অনন্যা চৈতীসমাজে চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গাটি বরাবরই অনেক উপরে। কিন্তু সেই চিকিৎসকই যদি প্রাণ কেড়ে নেন, তা হলে মানুষ কি আর তাদের আগের মতো ভরসা করতে পারবে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভারতের ভোপালের বুকে এমনই এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে যা কিনা মধ্যপ্রদেশবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
সময়টা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। মধ্যপ্রদেশের ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন সুনীল মন্ত্রী। অস্থিসংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে সকলে সুনীলের উপরেই আস্থা রাখতেন। হাসপাতালে সবচেয়ে সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে প্রচুর নামডাক ছিল তার।
দুই ছেলেমেয়ে কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকায়, স্ত্রী সুষমা তার সঙ্গেই ভোপালে থাকতে শুরু করেন। আনন্দনগর এলাকায় দোতলা বাড়িতে থাকতেন সুনীল দম্পতি। সময় কাটানোর জন্যে বাড়ির নীচেই একটি বুটিকের দোকান খোলেন সুষমা। একা হাতে সব সামলাতে পারবেন না বলে দোকানে রানি বলে এক মহিলাকে নিয়োগ করেন তিনি। ২০১৭ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় সুষমার। স্ত্রীর শেষ স্মৃতি হিসাবে সুষমার নিজের হাতে তৈরি করা বুটিকের দোকানটি বন্ধ না করার নির্দেশ দেন সুনীল।
কর্মচারী রানিকেই দোকান সামলানোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেন সুনীল। এরপর হঠাৎ করেই রানির হাতে প্রচুর টাকাপয়সা আসতে থাকে। পরিবর্তন আসে তার পোশাকআশাক, হাবভাবে। হঠাৎ এমন আমূল পরিবর্তন লক্ষ করে সন্দেহ হয় রানির স্বামীর।
বীরেন্দ্র পচৌরী ওরফে বীরু ভাবেন তার স্ত্রীর কি তবে ডাক্তার সুনীলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে? না হলে হঠাৎ এত টাকা আসে কী করে? এ সন্দেহের বশেই তিনি রানির ফোনের কল রেকর্ড দেখেন। দেখতে পান, সুনীলের সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়েছে রানির। এমনকি, টাকাপয়সার আদান-প্রদান নিয়েও কথা হয়েছে দু’জনের।
সব জানতে পেরে বীরু সোজা চলে যান সুনীলের বাড়িতে। পাড়াপড়শিকে সুনীলের ব্যাপারে সব খোলসা করে দেবেন বলে ভয় দেখাতে থাকেন বীরু। শুধু তাই’ই নয়, রানির সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে হাসপাতালে গিয়েও সুনীলের আসল রূপ কী, তা জানিয়ে আসবেন এমন হুমকিও দেন।
সুনীল বার বার বোঝালেও বীরু কিছুতেই তার কথা মানতে নারাজ। দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ে কিনা এ আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত সুনীল বীরুকে তার গাড়ি চালাতে অনুরোধ করেন। এ সুযোগে দিনের বেশির ভাগ সময় তার সঙ্গেই থাকতে পারবেন বীরু।
যদি সুনীল ও রানির মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়ে থাকে, তবে তা খুব সহজেই ধরা পড়বে বীরুর চোখে। একই সঙ্গে তার মাসিক রোজগারও হবে। এমন চিন্তা করে অবশেষে ১৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে সুনীলের গাড়ি চালাতে রাজি হন তিনি।
চাকরি পাওয়ার পরেও তিনি সুনীলকে হুমকি দিতেন মাঝে মাঝেই। বার বার এ হুমকির কারণে সুনীল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বীরু তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন, এই ভেবে তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন সুনীল।
হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সুনীল খুব ভাল করে জানতেন, কী করে খুন করার পর প্রমাণ গায়েব করতে হয়। পরিকল্পনা মাফিক প্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করতে শুরু করেন তিনি।
অবশেষে সেই সুযোগও পেয়ে গেলেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় বীরু জানান, তার দাঁতে অসহ্য যন্ত্রণা করছে। সুনীল তাকে বাড়ির ভিতর আসতে বলেন এবং ব্যথা কমানোর জন্য ইনজেকশন দেন। আসলে ব্যথা কমানোর ওষুধের বদলে বীরুকে তিনি অজ্ঞান করার ওষুধ দিয়েছিলেন। বীরু সম্পূর্ণ অচেতন হলে সুনীল তাকে দোতলার বাথরুমে নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তার গলার নলি লক্ষ করে ছুরি চালিয়ে খুন করেন বীরুকে।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রাত ৯টা নাগাদ খুন করা হয় বীরুকে। এর পরেই শুরু হয় ভয়ঙ্কর ঘটনা। বীরুর মৃতদেহকে বাথরুমের মেঝেতে ফেলে টুকরো টুকরো করে কাটতে শুরু করেন সুনীল। দেহের টুকরোগুলি দেখে যাতে শনাক্ত করা না যায়, তাই তিনি ড্রাম-ভর্তি অ্যাসিডের মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন টুকরোগুলি।
অ্যাসিড, ড্রাম এবং বড় আকারের বাসন সুনীল আগে থেকেই কিনে রেখেছিলেন। সোমবার সারা রাত ধরে বীরুর দেহ কাটতে থাকেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বীরুর পরনের জামা-সহ রক্তে মাখা সমস্ত কাপড়ই তিনি বাড়ি থেকে কিছু দূরে ফেলে আসেন।
কেউ যাতে তাকে সন্দেহ না করে, তাই মঙ্গলবার সকালেও তিনি হাসপাতালে যান। দুপুর অবধি থেকে তিনি আবার বাড়ি ফিরে আসেন। আবার শুরু হয় মৃতদেহ কাটা। কিন্তু এর মধ্যেই প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসককে রক্তমাখা জামা গায়ে বাড়ির মধ্যে হাঁটাচলা করতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, তার বাড়ির দিক থেকে আসা অদ্ভুত পোড়া গন্ধে তাদের সন্দেহ আরও বেড়েছে।
পুলিশ খোঁজ পেয়েই তার বাড়িতে তল্লাশি করতে আসে। বাড়ির ভিতর এসে তারা হাতেনাতে প্রমাণও পেয়ে যায়। ঘর জুড়ে রক্ত, মাংসের টুকরো ছড়ানো। বড় ড্রাম ও বাসনের ভিতরেও মাংসের টুকরো ভেসে রয়েছে।
পুলিশ আধিকারিক অরবিন্দ সাক্সেনা সেই মুহূর্তে ঘরের ভিতর উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে জানান, পুলিশরা যখন ঘরে ঢুকে, তখনও সুনীল মৃতদেহের কোমরের নীচের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটছিলেন। আচমকা পুলিশদের দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।
অ্যাসিডে দেহের টুকরোগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শনাক্ত করা যাচ্ছিল না, কাকে এভাবে খুন করেছেন সুনীল। পরে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তিনি নিজেই সব স্বীকার করেন।
কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহ করতেন বলে একজনকে এত নৃশংস ভাবে খুন করা যেতে পারে, তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পুলিশ। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ টি টুকরো উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কেন এমন নৃশংস ভাবে হত্যা?
তদন্তকারীদের অনুমান, হয়তো রানির সঙ্গে তার সত্যিই সম্পর্ক ছিল, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই সুনীল খুন করেছেন, অথবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন সুনীল।
খুনের কারণ যাই হোক না কেন গোটা মধ্যপ্রদেশকে নাড়িয়ে দেয়এ ভয়ানক হত্যাকাণ্ড। চিকিৎসক হয়ে তিনি কী করে এক জন নির্দোষ ব্যক্তিকে এ ভাবে খুন করতে পারেন, তার উত্তর মেলেনি আজও।
অনন্যা চৈতী
অন্যরা যা পড়ছেন
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী নিজেই জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, যেহেতু আমি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করছি, সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভা শেষ করি। পরে রাতে হোয়াইক্যংয়ের কম্বনিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মুরব্বি এবং মেম্বারদের সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক আমাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আলমের দাবি, আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন।
গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বদি।
তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আলম চেয়ারম্যান বিভিন্ন কৌশলে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহম্মদের সঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি জাফর আহাম্মদের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নুরুল আলম চেয়ারম্যানের কিছু কর্মী জোরপূর্বক আটকে রেখেছে।
পরে জাফর আহম্মদসহ আমরা হোয়াইক্যং এলাকায় তাকে উদ্ধারের জন্য যাই। এ সময় পাশের একটি বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে চলে আসার পর তারা ওই আতশবাজির আওয়াজকে গুলিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বদি গুলি করেছে মর্মে খবর ছড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এ বিষয়ে একটি জিডি দায়ের করেছেন। তার জিডি’র অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এএম/
জাতীয়
বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
Published
25 mins agoon
মে ৪, ২০২৪By
Anik Mahmudবাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের বন্ধু। তারা এড্রেস করে দেন। আমরা কাজ করতে পারি। সব সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। বললেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপসাংবাদিকতার চর্চা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোর অনলাইনের লিস্ট, অনলাইন পোর্টালগুলোর লিস্ট তিনি চেয়েছেন। এর বাইরে আরও অনেক নিবন্ধনহীন গণমাধ্যম আছে। সবার দাবি,এগুলো বন্ধ করা। এপ্লিকেশন করা থাকলে চালু থাকবে। না হলে বন্ধ। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মাদ আলী বলেন, সাংবাদিকরাই বলেন সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকসহ সব স্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, তাই সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করা হবে।
তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এ দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সরকারের অগোচরে অনেক ঘটনা ঘটে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয়,মুক্ত গণমাধ্যেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতেও সরকার কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা করলেই জেলে নেয়া হতো। এখন সেটি নেই। সিএসএতে অপসাংবাদিকতায় কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়, তারও সহায়তা চাওয়ার অধিকার আছে। পেশাদার সাংবাদিকতার সুরক্ষা দেয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। অপব্যবহার হলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রাটেজি উন্মুক্ত হয়ে গেলে সেটা সমস্যার। সরকার আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বজার রাখবে, বিশ্বের অন্যান্য বাংক কীভাবে সেসব মেইন্টেইন করে। তাদের আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে।
আই/এ
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এবং কেনই বা তাদেরকে টর্চার সেলে এনে পেটাতেন সবকিছুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন তদন্ত করে জানানো হবে।
বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।
পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
টিআর/
জাতীয়
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার...
বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের...
মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ...
বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় বেড়ে যায় খাবার ওরস্যালাইনের চাহিদা। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কারখানা স্থাপন...
বাড়ছে ট্রেনভাড়া, কোন রুটে কত জেনে নিন
ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম...
ট্রেন দুর্ঘটনা: শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়
গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতভর চলেছে অভিযান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ।...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে পোশাক শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই এলাকাসহ আশপাশের...
বনানী সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে করে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব...
লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির...
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে নার্সের ৭৬০ বছরের কারাদণ্ড
বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাবা-মা-ভাই রাজনীতিতে যুক্ত, যে কারণে এতে আসতে চান না সোনাক্ষী
কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন কোর্তোয়া
নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ হলেই ভোট স্থগিত হবে: ইসি রাশেদা
বাংলাদেশে ফের ৪০ বিজিপির প্রবেশ
মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন
শিক্ষকের বেতনের বিষয়ে সরকার কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
হাসপাতালে একই সঙ্গে শয্যাশায়ী ভিকি-অঙ্কিতা!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- আবহাওয়া7 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- ঢাকা4 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- অপরাধ3 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- টুকিটাকি5 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- আন্তর্জাতিক2 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- দেশজুড়ে3 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- খুলনা6 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- তথ্য-প্রযুক্তি1 day ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি