Connect with us

সিলেট

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন স্কুলছাত্রীর

Avatar of author

Published

on

অনশন

হবিগঞ্জে বাহুবল উপজেলার মিরপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রী অনশন করছে। ওই স্কুলছাত্রী প্রেমিকের মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

রোববার (২৪ মার্চ) উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রুপসংকর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

ওই স্কুলছাত্রী মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। প্রেমিক উপজেলার পূর্ব রুপসংকর গ্রামের কাছাই মিয়ার ছেলে এক্সকেভেটর চালক কাউছার মিয়া। কাউছার তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।

স্কুলছাত্রী জানায়, কাউছার মিয়ার সঙ্গে গেলো ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলেছে। কাউছার তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় হোটেলে গিয়ে দেখা করত বলত বলে জানান তিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলছাত্রী তার প্রেমিক কাউছারকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তারপর কাউছার নানা অজুহাতে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

সে আরও জানান, বাধ্য হয়ে কাউছারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করতে গেলে তার মা তাকে মারধর করে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন থেকে প্রেমিক কাউছারের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ওই স্কুলছাত্রী।

Advertisement

অভিযুক্ত প্রেমিক কাউছার ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে বার বার কল করলেও তাদের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করে কোনো একটা সমাধানের চেষ্টা করব।

সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খায়ের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, থানায় অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

সিলেট

বিপদসীমার ওপরে সিলেটে ৩ নদীর পানি

Published

on

সিলেট-পানি

সিলেটে বাড়ছে নদী, হাওর ও খাল-বিলের পানি। বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০।

এ ছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বুধবার দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

Advertisement

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য গণমাধ্যমকে বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের নদনদীর পান বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার দুপুরে তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

Published

on

মৎস্য

গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এর অর্থায়নে ‘কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারীজ এন্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ নামক প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর মৎস্য অফিসের  সহযোগিতায় এই শোভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৯মে) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আয়না মিয়ার বাড়িতে  মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন বিষয়ে পরামর্শ সভা ও স্কুল উদ্বোধন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভবানীপুর গ্রামের মুরুব্বি আয়না মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আল-আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শফি উল্লাহ্, জগন্নাথপুর উপজেলার টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির  উপজেলা মৎস্য অফিসার  মো. আল-আমীন বলেন, সমবেত মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্য এই মাঠ স্কুল গঠনের মাধ্যমে হাতে কলমে মাছ চাষের সকল সমস্যা সমাধানে এবং তৃণমূল মাছ চাষীদের প্রয়োজন পূরণের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান জানান। এলাকার মৎস্য চাষি, কৃষক, কৃষাণির উপস্থিতিতে উক্ত অন্যান্য বক্তব্য রাখেন, বিকাশ সরকার, উপেন্ড সরকার, মানিক দাস,নিখিল দাস, জানকী রানী সরকার, বানী রানী সরকার প্রমুখ। সভা শেষে ভবানীপুর গ্রামের কুয়ায় মাছ চাষ সিবিও’র ২৫ জন সদস্য সহ মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিসার আল আমিন মৎস্য চাষী মাঠ স্কুলের উদ্বোধন করেন।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

যুক্তরাজ্যে এবার চাষাবাদ হবে সিলেটের ধান

Published

on

চাষাবাদ

বছরের অধিকাংশ সময় তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া যেখানে বিরাজমান থাকে সেখানে ধান চাষাবাদ করা অসম্ভব এবং আশ্চর্যের বিষয়। এবার শীতল আবহাওয়ার দেশ বৃটেনের মাটিতে ধান চাষ করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সফল উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা। বৃটেনে ধান চাষের এই অবাক করা সংবাদটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বহুল আলোচিত ধান চাষের সফল উদ্যোক্তা হলেন আজম খান ও তার সহধর্মিণী সুলতানা চৌধুরী। এই দম্পতির বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের দড়ি কুচ্ছনপুর গ্রামে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বিশিষ্ট জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী একটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। নতুন আবিষ্কৃত ‘পঞ্চব্রীহি’ নামের এই ধানের মতোই নতুন জাতের ধান চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেন প্রবাসী উদ্যোক্তা আজম খান। বৃটেনের শীতল মাটিতে প্রথমবার আজম খান ও তার সহধর্মিণী সুলতানা চৌধুরী নতুন জাতের এই ধানের বীজ বপন করে সফলতার মুখ দেখেন।

আজম খান জানান, আমাকে বিশ্ববিখ্যাত জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী নতুন জাতের এই ধান বীজ দিয়েছিলেন। ধানের বীজ গুলো টবে আমি আমার সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম বার ২০২৩ সালের সাত জুলাই বৃটেনের প্রতিকুল  আবহাওয়ায় বীজ বপন করি, প্রায় তিন মাস নিবিড় পরিচর্যা করি  এবং শীতল আবহাওয়া আসলে চারা ধান গুলো গ্রীণ হাউজে সংরক্ষণে রাখি, শীতল আবহাওয়ায় ধানের চারা গুলো টিকে থাকার প্রায় সাত মাস পর চারা থেকে ধানের তুর আসে, এক পর্যায়ে একটি দু’টি  করে ধানের শীষ পাকতে শুরু করে, পাকা ধানের একটি ছরা কাটার পর অপর গুছিতে তুর আসে, আবার নিচ থেকেও ধানের শীষ গজিয়ে উঠে। তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় মাত্র একটি ধানের বীজ থেকে ৯৬টি ধানগাছ হয়েছে, তবে এই ধানের জাত ‘পঞ্চব্রীহি’ নয়, এটি পঞ্চব্রীহির মতোই  বছরে কয়েক বার ফলন দিবে। বৃটেনের শীতল আবহাওয়ায় এই ধানের চাষ করা সম্ভব হবে বলে আজম খান জানান।

আবেদ চৌধুরী জানান, বর্তমান বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় বৃটেনের মাটিতেও ধান চাষাবাদ করা সম্ভব হবে এবং সারা বছর না হলেও নির্দিষ্ট মৌসুমে ধান চাষ হবে। এখন থেকে সিলেটিরা বৃটেনে খাদ্য উৎপাদন করবেন এটি ঐতিহাসিক একটি মহূর্ত, সিলেটিরা বৃটেনকে এই টেকনোলজি দিয়েছে, একটি দুটি ধানের ক্ষণা থেকে একদিন লক্ষ লক্ষ টন ধান উৎপাদন হবে এবং বৃটেনের খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। নতুন এই জাতের ধানের বিষয় আবেদ চৌধুরী জানান, আজম খান যে ধান চাষ করেছেন এটি পঞ্চব্রিহি ধানের মতোই নতুন একটি জাত। এই ধান একবার রোপণ করলে আর মরবেনা জীবিত থাকবে এবং একবার কাটার পর আবার গুছা গজিয়ে ধানের ফলন দিবে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত