Connect with us

দেশজুড়ে

কন্যা সন্তানকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করলেন নারী

Avatar of author

Published

on

পঞ্চগড়ে এক মাসের কন্যা সন্তানকে বাজারে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ২ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করেছিলেন ইসমাইল হোসেন নামে স্থানীয় এক মেকানিকের কাছে । তবে কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে আবার ফিরিয়ে নেন ওই নারী।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সন্তান বিক্রি করতে আসা ওই নারী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। তিনি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ভবঘুরে হয়ে বেড়ান। তার বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায় বলে জনিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, এক নারী তার এক মাস বয়সী কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে মেডিসিন রোডে এসে বিক্রি করতে চান। দামও হাকান। এ সময় শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন নামের এক বৃদ্ধের সঙ্গে তার দাম নিয়ে দর কষাকষি হয়। পরে ২ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে শিশুটিকে কিনে কোলে নেন ওই ব্যক্তি। আবার বিক্রির বেশ কিছু সময় পর এসে শিশুটিকে ফেরত নেন ওই নারী।

ঘটনাটি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

Advertisement

শিশুটিকে কিনতে যাওয়া বয়স্ক ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি শহরের মেকানিকের কাজ করেন। বাজারে এসে দেখেন এক নারী তার কোলের শিশুকে বিক্রি করতে চাইছেন। তার নিজের ভাগ্নির কোনো সন্তান নেই। তাই তার জন্য শিশুটিকে প্রথমে ২ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে চান। কিন্তু ওই নারী দাম বেশি চাইলে আরও ৫শ টাকা দিয়ে বাঁচাটিকে কিনে নেন। তবে শিশুটিকে কিনে রাখতে পারেননি তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ওই নারী আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যান।

বিষয়টি নিয়ে ওই সময় জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত নই। তারপরেও বিষয়টি দেখতে সমাজসেবা অফিসারকে অবগত করেছি।

 

 

Advertisement
Advertisement

রাজশাহী

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

Published

on

শহীদ-জিয়াউর-রহমান-মেডিকেল-কলেজ,-বগুড়া

স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুরে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে  মারা যান তারা।

নিহতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার নিমগ্রামের হেফজুল (৪০) ও তার স্ত্রী আফরোজা। তারা আড়িয়াবাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হেফজুল এই এলাকায় ভাড়া থেকে বগুড়া শহরের আশপাশে গাছ কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।

বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলাম জানান, হেফজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে দুই বছর আগে তার বাড়ি ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী সব সময় মিলেমিশে থাকতেন। হেফজুলের স্ত্রী আফরোজার বাবার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলায়। আজ সকালে হেফজুল তার ভায়রার সঙ্গে গাছ কাটা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। স্বামী-স্ত্রী বাজার করেও নিয়ে এসেছেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এরপর আমার অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে শুনে ওদের ঘরে গিয়ে দেখি দুজনই ছটফট করছে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়।

হেফজুলের ভায়রা জুয়েল জানান, আফরোজার সঙ্গে হেফজুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। শুরু থেকেই তিনি গাছের ব্যবসা করেন। আজ সকালে তাকে ফোনে জানিয়েছেন শহরের পুলিশ লাইনস এলাকায় গাছ কাটা হবে। এরপর খবর আসে তারা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান জুয়েল।

Advertisement

মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা বিষপান করে মারা গেছেন এটা বলা সম্ভব না। কারণ চিকিৎসা দেয়াই সম্ভব হয়নি। তবে মৃত্যুর আগে তারা দুজনই ছটফট করছিলেন। মৃত্যুর লক্ষণে ধারণা করা যায় তারা আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর পুলিশ স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে

Published

on

বায়ুদূষণে

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে)  সকালে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২০৩। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৭০, ১৬৭ ও ১৫০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।

বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘ভালো’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মোটামুটি’, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

খেলার সময় ওড়নায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

Published

on

ঢাকা মেডিকেল

ওড়না নিয়ে খেলার সময় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। মৃতের নাম নুসরাত জাহান (১০)।

বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর দনিয়ার আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নুসরাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের নলচর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। নুসরাত একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

নুসরাতের মামা মো. রিয়াজ বলেন, নুসরাতের মা-বাবা তাকে বাসায় রেখে দরজায় তালা দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে বাসায় এসে তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে নুসরাত।

Advertisement

তিনি বলেন, পাশের লোকজন জানান ওড়না নিয়ে নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ওড়না গলার সঙ্গে প্যাঁচ লেগে ঝুলে থাকে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত