অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৩
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৯৫১ পিস ইয়াবা, ৭৪.১ গ্রাম হেরোইন, ১৯ কেজি ৯৫৫ গ্রাম গাঁজা ও ১৮৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৯টি মামলা রুজু হয়েছে।
অপরাধ
এমপি আজীম হত্যা মামলায় একটি কনক্লুসিভে এসেছি: ডিবি প্রধান
প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কলকাতায় উদ্ধারকৃত মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এলে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। জানালেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এমপি আজীমের হত্যার তদন্ত শেষে বিকেলে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ আর ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের আলামতসহ সব মিলিয়ে এমপি আজীম হত্যা মামলায় একটি কনক্লুসিভে এসেছি।
অপরাধ
এমপি আজীম হত্যা: সাফল্য নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন ডিবি হারুন
কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটের সেফটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ খণ্ডাংশ উদ্ধারের সাফল্য নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ৩ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয়টি গাড়ি বহর নিয়ে ডিবি হারুন নিউটাউনের দ্য ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। ডিবি হারুন তাদের জানান, এমপি আনার হত্যার অন্যতম দুজন আসামি নেপাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ও কলকাতা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত মাংসের দ্রুত ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতীয় প্রশাসনের কাছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে বিভিন্ন খাল ও জলাভূমি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন সিআইডি, বিধান নগর কমিশনারেটের নিউ টাউন থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডুবুরি ও কর্মীরা। এজন্য সবাই ধন্যবাদ জানাই।।
আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিবি হারুন বলেন, এই খুনের কিনারা হবে খুব দ্রুত এবং যা যা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এভিডেন্স আছে সেগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেই তদন্ত চলবে।
অপরাধ
তিন বছর পর পুলিশ জানালো চিকিৎসক সাবিরার খুনি তার স্বামী
তিন বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানালো চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানের খুনি তার নিজ স্বামী এ কে সামছুদ্দিন আজাদ। পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিকিৎসক সাবিরার খুন হওয়ার কথা জানা গেলেও খুনি কে তা জানানো হয়নি। অবশেষে এ ঘটনার প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর খুনির সন্ধান দিলো পিবিআই। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সাবিরা হত্যায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সামছুদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি সাবিরা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সামছুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সাবিরা ও সামছুদ্দিনের আগের পক্ষের সন্তান ছিলো। কিন্তু স্বামীর সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি সাবিরা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ মে সকালে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় শোবার ঘর থেকে চিকিৎসক সাবিরা রহমান ওরফে লিপির (৪৬) রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলা কাটা, পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পোড়া ছিল। তিনি রাজধানীর বেসরকারি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সনোলজিস্ট) ছিলেন।
পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাবিরার বাসায় তিনটি কক্ষ ছিল। একটি কক্ষে সাবিরা নিজে এবং বাকি দুটিতে কানিজ সুবর্ণা ও নুরজাহান নামে দুই তরুণী থাকতেন। সাবিরাকে আরবি পড়াতেন নুরজাহান। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়তেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আবার সাবিরার সঙ্গে বিয়ের আগে সামছুদ্দিন আরও দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি একটি বিয়ের তথ্য গোপন করেন। বিষয়টি জানার পরই স্বামীর সঙ্গে সাবিরার বিরোধ চরমে পৌঁছায়। সাবিরা কলাবাগানে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে তার ওপর সামছুদ্দিনের ক্ষোভ ছিল। এ কারণে তিনি সাবিরাকে খুন করেছেন। তার সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।
সূত্র বলছে, স্বামীর সঙ্গে সাবিরার কলহের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার দিনও রাত ১০টা ২৮ মিনিট থেকে দীর্ঘ সময় মেসেঞ্জারে দুজনের ঝগড়া হয়েছিল। ওই দিন সামছুদ্দিনের গাড়িচালক সাইফুল তার শান্তিনগরের বাসায় ছিলেন। এর আগে গাড়িচালক কখনো সামছুদ্দিনের বাসায় ছিলেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক জুয়েল দেওয়ান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পিবিআই নিশ্চিত, সাবিরাকে তার স্বামীই হত্যা করেছেন। আগের দিন রাতে দুজনের মেসেঞ্জারে ২৬ মিনিট ঝগড়া হয়। পরদিন মরদেহ উদ্ধারের সময় সামছুদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ ছিল। তিনি গোপনে কলাবাগানে সাবিরার বাসায় যেতেন। তদন্ত শেষে মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে পিবিআই।
টিআর/
- বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
- বলিউড3 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১