Connect with us

আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইফতার পার্টি বাতিল, দুই দশকের মধ্যে কেন এমন হলো?

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত ইফতার পার্টি বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস।

স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন গণমাধ্যম  সিএনএন ও এনপিআর খবর প্রকাশ করেছিল, হোয়াইট হাউস মুসলিম কমিউনিটির জন্য ইফতারের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে গণমাধ্যমে ওই খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ঘোষণা দিয়ে ইফতার আয়োজনের বিষয়টি অস্বীকার করে। হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় বলা হয়, তারা ইফতারের আয়োজন নয়; শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মুসলিম কর্মীদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করবে। পাশাপাশি মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের আলাদা একটি সাক্ষাতেরও ব্যবস্থা করবে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউস কী বলছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভাবশালী মুসলিম আমেরিকান প্রতিনিধিদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। হোয়াইট হাউসে ইফতারের অনুষ্ঠানে  অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান আয়োজনেরই এক প্রতিফলন। এমন আয়োজন স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একধরনের উৎসবের অনুভূতি দেয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে এটি সংবাদকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইফতার আয়োজনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেনি।

তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে ইফতার আয়োজন বাতিলের বিষয়ে বলেন,  মঙ্গলবার মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দেখা করবেন। কেন ইফতারে অংশ নেবেন না জানতে চাইলে কমিউনিটির নেতাদের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা (মুসলিম নেতারা) ইফতারের পরিবর্তে সাক্ষাৎ আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের আরও বলেন,  মুসলিম নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকার বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন।  তাঁরা সাক্ষাৎ করার আয়োজনই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করেছেন। তাই আমরা মুসলিম নেতাদের কথা শুনেছি ও আয়োজনের ধরনে সমন্বয় এনেছি।’

কেন বাতিল হলো ইফতার আয়োজন?

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইফতার পার্টি বাতিলের বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন দুজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অলজাজিরাকে বলছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সর্বাত্মক  সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে মুসলিম কমিউনিটির বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণ সরাসারি প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে ইফতার পার্টি বাতিল করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই সূত্র আল-জাজিরাকে বলেছে, মঙ্গলবার ইফতারের আয়োজনটি বাতিল করার  আগে মুসলিম কমিউনিটির সদস্যরা হোয়াইট হাউসের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেন।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) উপপরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল বলেন, ইফতার অনুষ্ঠান বাতিল করার কারণ হলো, আমন্ত্রিত অনেকেই এতে অংশ নেওয়াকে পছন্দ করেননি। তাঁদের মধ্যে এমন অতিথিরাও আছেন, যাঁরা প্রাথমিকভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সম্মত হয়েছিলেন।

আল-জাজিরাকে আহমেদ মিচেল বলেন, আমেরিকান মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ আগেই বলেছিল, যে হোয়াইট হাউস গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধায় মারতে ও হামলা চালিয়ে মেরে ফেলতে ইসরায়েল সরকারকে সক্রিয় সমর্থন দেয়, তার সঙ্গে খাবার খাওয়াটা হবে একবারেই অগ্রহণযোগ্য।

ইসরায়েলের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিঃশর্ত সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে তিনি যে ঘামঝরানোর চেষ্টা করছেন, সেই বিষয়ই তুলে ধরেছে হোয়াইট হাউসের ইফতারের আয়োজন বাতিলের এ ঘটনা।

সমালোচকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আরব-আমেরিকান ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যকার এ ক্ষোভ দেশটিতে আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Advertisement

মুসলিম নেতারা কী বলছেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  মুসলিম আমেরিকান অধিকারকর্মী বলেছেন, সাক্ষাতের এ আয়োজন হবে একসঙ্গে ‘ছবি তোলার এক সুযোগমাত্র’। তাঁদের যুক্তি, মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোকজন ছয় মাস ধরেই তাঁদের অবস্থান জানিয়ে আসছেন।

আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের পরিচালক (উন্নয়ন) মোহাম্মদ হাবেহ বলেন, ‘আমাদের কটা বৈঠক হলো, তাতে কতজন গেলেন, কতটা আলাপ-আলোচনা চলছে—এসব কোনো বিষয় নয়। হোয়াইট হাউস (নীতি) বদলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করলে মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির প্রতি তিনি যে যত্নবান, সেটি দাবি করতে পারবেন না বলেও তিনি জানান।

আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির এই নেতা আরও বলেন, ‘ একত্রে তাঁরা যে ছবি তুলছেন, পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ করছেন—কোনো না কোনোভাবে এগুলোর উদ্দেশ্য, এটিই দেখানো যে, তাঁদের প্রতি মুসলিম জনগোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে।

‘এমগেজ ’নামের একটি মুসলিম রাজনৈতিক পরামর্শক গ্রুপ ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেন সমর্থন দিয়ে প্রচার চালিয়েছিলো ।এই গ্রুপটি বাইডেনের ইফতার আয়োজন বাতিলের বিষয়ে বলছে, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করতে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সমর্থন ও গাজায় মানুষের প্রাণহানি বাড়তে থাকায় সাক্ষাতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।

Advertisement

পরামর্শক গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ায়েল আলজায়াত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মর্মন্তুদ যন্ত্রণা ও দুঃখকষ্টের এই সময়ে আমরা হোয়াইট হাউসের প্রতি অনুরোধ করেছি, ইফতারের আয়োজন বাতিল করে একটি যথার্থ নীতিনির্ধারণী বৈঠক আহ্বানের; যেখানে মুসলিম কমিউনিটি তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবে, হোয়াইট হাউস নয়।’

Advertisement

আন্তর্জাতিক

ইরানি প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে? বাড়ছে গুজবের ডালপালা

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। সরকার স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় খোদ ইরানে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে-প্রেসিডেন্ট রাইসি হয়তোবা আর বেঁচে নেই।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুযায়ি, দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে।

হেলিকপ্টার  দুর্ঘটনাটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। হেলিকপ্টারটির কী অবস্থা তা পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি। আর ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ দ্বারা  কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরেছে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে ছিলেন।

Advertisement

তবে দুর্ঘটনার  কবলে পড়া হেলিকপ্টারে রাইসি ছিলেন কিনা  তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, রাইসি ওই সময় গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে স্থানীয় কয়েকটি ‍সূত্র তার হেলিকপ্টারে থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়। বিবিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো ওই হেলিকপ্টারে রাইসির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের প্রভাবশারী গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বোলছে-হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি স্থাপন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

তবে ইরানের  তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন বোলছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসির  সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। এমতাবস্থায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে, মাশহাদ শহরে লোকজন জড়ো হয়ে ইবরাহিম রাইসির জন্য প্রার্থনা করছেন।  প্রেসিডেন্ট রাইসির দুর্ঘটনার কবলে পড়ার  বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।  পাশাপাশি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

Advertisement

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, দলগুলো হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। হতে পারে দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ ছিল। অথবা এলাকাটিতে নেটওয়ার্ক নাও থাকতে পারে। তাই প্রেসিডেন্ট রাইসির   ভাগ্যে  কী ঘটেছে তা নিয়ে গুজবের ডালপালা ক্রমশ বাড়ছে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেটি জরুরি ভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।

ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইবরাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে কোনো বিৃবতি দেয়নি প্রেসিডেন্টের দপ্তর।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি।

ইরনার  প্রতিবেদনে বলা হয়,  ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে  হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

Advertisement

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে নিরাপদে ফিরেছেন।

ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

যে কারণে ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস

Published

on

ব্যবসা ভালো হওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্মীদের ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। সবশেষ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা অর্জন করায় এ ঘোষণা দেয়া হল।

শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে,  চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় ধরনের লাভের দেখা পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সিইও গোহ চুন ফং বলেন, তাঁদের সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাদের এই পরিশ্রমের কারণে মহামারির পরও বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত