Connect with us

রাজশাহী

বগুড়ায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩

Avatar of author

Published

on

সংঘর্ষ

বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরশ্রমিক নেতাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ফাহিম হোসেন (৫০)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টিউ নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম।

তিনি জানান, প্রাইভেটকারটি বগুড়া থেকে নওগাঁ যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে নওগাঁ থেকে বগুড়া গামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটি কেটে হতাহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহত তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণে বগুড়া- নওগাঁ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।

Advertisement
Advertisement

রাজশাহী

স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজন আটক

Published

on

হত্যা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর গলা কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ র মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার (১৮ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু’জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের মরদেহ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শিকতা দেখে মনে হয়েছে যে আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহ আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে তার গলা সামান্য কেটে দেয়া হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

Published

on

জমজ

পাবনা চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০)। তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে।

আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২)। তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের পিতা রেজাউল করিম রিজু।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে  লাম তাকে গিয়ে বলে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার জমজ বোন মিম এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে জমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে।

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। সন্ত্রাসিমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।

Advertisement

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানিনা। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং  আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।

এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।

Advertisement

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত