Connect with us

চট্টগ্রাম

টেকনাফ সীমান্তে আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ

Avatar of author

Published

on

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) চলমান সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ওপার থেকে ভেসে আসা গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।  কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

শনিবার (০৬ এপ্রিল) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রেজাউল করিম রেজু বলেন, থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।  মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচুর গোলাগুলি হচ্ছে। মনে হচ্ছে তাদের অপারেশন আরও বেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। এছাড়া গোপন সূত্রে জানতে পেরেছেন ট্রলারে করে কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তে ঢুকে যাচ্ছে। তবে তাঁরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন, কারো বাসা-বাড়িতে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে কিনা। রোহিঙ্গা পেলে তাঁরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।

স্থানীয়রা জানান, সাবরাং ইউনিয়ন, সেন্ট মার্টিন, শাহপরীরদ্বীপ, হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী, ঝিমংখালী, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, পুরানবাজার, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, টেকনাফ সদরের আলীখালি, লেদা, মুচনী, জাদীমুড়া, দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া, চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া, জালিয়াপাড়াসহ অন্তত ৩০টি সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা দিন মজুর আব্দুল লতিফ বলেন, কি এক অদ্ভুত আওয়াজ ভেসে আসে, বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। ক্ষেতে কাজ করতে গেলে ভয়ে ভয়ে কোদাল চালান। কোন সময় গুলি এসে গায়ে লাগে এ ভয়ে থাকেন তিনি।

Advertisement

টেকনাফ সদরের জালিয়া পাড়ার রহমতুল্লাহ নামের এক বাসিন্দা বলেন, ঘুমের মধ্যে বাচ্চা জেগে উঠছে মিয়ানমারের গুলির শব্দে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. খুরশেদ আলম বলেন, গোলাগুলির শব্দ কিছুদিন তেমন শোনা না গেলেও এখন আবার থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মিয়ানমারে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

 

 

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো রাঙ্গামাটি

Published

on

-ভূমিকম্প

রাঙ্গামাটিতে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার।

রোববার (২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে এর স্থায়ীত্বকাল ছিলো ৩ সেকেন্ড। জানিয়েছেন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা।

 

তিনি জানান, মিয়ানমারে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করেছে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ৪৪২ কিলোমিটার দূরে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

দুই লাখ ইয়াবা নিয়ে রোহিঙ্গা যুবক আটক

Published

on

ইয়াবা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার (২ জুন) সকালে বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অভিযানের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, শনিবার (১ জুন) রাত সোয়া ৯টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কাস্টমস মোড় নামক এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

আটক জিয়াবুল আলম (৩৮) উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. জমির হোসেনের ছেলে বলে জানান তিনি।

মেজর আনোয়ার বলেন, রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। পরে বিজিবির একটি দল ঘুমধুম কাস্টমস মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে সীমান্তের দিক থেকে একটি ছোট বস্তা কাধে সন্দেহজনক ৩-৪ জন লোক আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা। প্রথমে তাদের থামার জন্য নির্দেশ দেন।

Advertisement

এতে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকগুলোর সাথে থাকা বস্তাটি ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যান।

পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাচারকারিদের ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার করা হয়। বস্তাটি খুলে পাওয়া যায় ২ লাখ ইয়াবা। আটক রোহিঙ্গা যুবকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির ভারপ্রাপ্ত এ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ক্যাম্পে পুলিশের ওপর হামলা, ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পুলিশ সদস্যকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে শফিউল্যাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পে অভিযানে গেলে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১ জুন) পৃথক অভিযানে উপর্যুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নাজির হোসেন, মো. সাকের, নুর ইসলাম, সৈয়দ আলম ও আমেনা খাতুন। এরা সবাই উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শফি উল্লাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর বলেন, পুলিশ ক্যাম্পের টহলদল বের হলে মাঠের উত্তর পাশে ৫ থেকে ৭ জন রোহিঙ্গা বসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের হাতে একটি ওয়ান শুটারগান দেখতে পেয়ে তাকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একই সময় রোহিঙ্গারাও পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

Advertisement

এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা উখিয়ার ১৬ নম্বর ক্যাম্পের বি/৫ ব্লকের বাসিন্দা সাবেক রোহিঙ্গা নেতা কালুর ছেলে মো. আমিন (২০) চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের শেড থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা দা-লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।

কালুর স্ত্রী সেতারা বেগম তার হাতে থাকা দা দিয়ে টহল দলের এপিবিএন কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেনের মাথায় কোপ মারে। এতে মাথার বাম পাশে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিক আহত কনস্টেবল শাখাওয়াতকে উখিয়ার জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত