Connect with us

বরিশাল

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পিরোজপুর, নিহত ১

Avatar of author

Published

on

ঝড়, বৃষ্টি

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পিরোজপুরের কয়েকশ বাড়িঘর। এ সময় গাছচাপায় রুবি বেগম (২৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মেহজাবীন নামে ওই নারীর ৬ বছরের মেয়েসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে এ আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা বিদ্যুৎ সংযোগ। গাছপালা পড়ে বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।

মৃত রুবি বেগম পিরোজপুর পৌরসভার হুলারহাট এলাকার মিরাজ সরদারের স্ত্রী।

 

জানা যায়, ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়া ওই নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলী বলেন, ঝড়ের পর রুবি বেগম নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওই নারীর মেয়েও আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত আহত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

Advertisement

বরিশাল

স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূর অনশন

Published

on

বরিশাল

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে উঠেছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল থেকে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ চম্পা বেগম উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মৃত আব্দুল মন্নান ফরাজির মেয়ে। তার স্বামী রিপন খান চাঁদপুরা এলাকার দেলোয়ার খানের ছেলে।

ওই গৃহবধূর অভিযোগ, মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২১ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি তখন তার স্বামী পরিবারের অন্য সদস্যদের জানায়নি। কিছুদিন সংসার করার পরে তার স্বামী ওমানে চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রিপন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নান্নু মিয়াকে অবহিত করেন তিনি। পরে রিপনের পরিবারের সঙ্গে মেম্বারের মধ্যস্ততায় একাধিক সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো প্রকার সমঝোতা হয়নি। গেলো ২৩মে রিপন দেশে ফেরেন। এরপর শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে রিপনের বাড়িতে যান তিনি। তাকে দেখে রিপন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আর তার শ্বাশুড়ি ও দেবররা তাকে মারধর করার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

গৃহবধূর বড় বোন রেহানা বেগম জানান, রিপন বিদেশে যাওয়ার সময় আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। এরপরও কয়েক দফা আমার বোনের টাকা চেয়েছে সে। যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় সে আমার বোনের সঙ্গে এমন করতেছে। রিপনের মা ও ভাইয়েরা আমার বোনকে মারধরের হুমকি দিতেছে।

এ বিষয়ে গৃহবধূ চম্পা বেগমের স্বামী রিপন খান বলেন, মেম্বারকে দায়িত্ব দেও হয়েছে। সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

Advertisement

স্থানীয় নাচনমহল ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নান্নু মিয়া বলেন, চম্পা বেগম স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার বিকেল থেকে রিপনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

পটুয়াখালীর দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী সফরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন লাখ ২৭ হাজার মানুষ। এছাড়া ২৩৫ ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ১৮৬৫ বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত এবং কৃষির ২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য খাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার।

জেলা প্রশাসক জানান, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সব মানুষ বাড়িঘরে ফিরে গেছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

বরগুনায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

Published

on

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া নামক এলাকায় তিনটি ও সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা নামক এলাকায় দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, পায়রা ও বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বরগুনা সদর ও আমতলী উপজেলায় এ প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তীব্র চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এর ফলে প্লাবিত  এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সিকদার জানান, এলাকার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই দুর্বল ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে বেড়িবাঁধ ভিজে নরম হয়ে যায়। পরে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে তাঁদের এলাকায় পানি প্রবেশ করে।

উত্তর ডালভাঙ্গা ও মাছখালী গ্রামের দুই বাসিন্দা জানান, দুপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। রাতে জোয়ারের চাপ বেশি থাকলে আবারও  গ্রামে পানি প্রবেশ করবে। এ ছাড়া রাতে যদি বাতাস ও বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

Advertisement

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বরগুনার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধই সংস্কার করা হয়েছে। তবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত