খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্দুকযুদ্ধে একজনের মৃত্যু

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি , জেএসএস–সন্তু লারমা ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট , ইউপিডিএফ, (প্রসীত খীসা) পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে জীবন ত্রিপুরা (২৬) নামের একজন মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে দুর্গম ধনপাতা বুদ্ধধন কার্বারিপাড়ায় এ বন্দুক যুদ্ধ হয়। নিহত জীবন ত্রিপুরা রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বটতলীর   বাসিন্দা। তিনি ইউপিডিএফের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতেন।

৫ নম্বর বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমা জানিয়েছেন, ‘বাবুছড়ার দুর্গম এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মারা গেছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

তবে ইউপিডিএফ তাদের সংগঠক নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছে।   হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা জেএসএস (সন্তু লারমা) পক্ষকে দায়ী করেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে দুর্গম বুদ্ধধন কার্বারিপাড়ায়  দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধ হয়। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ করে। ঘটনার পর এক যুবকের লাশ পড়েছিলো।

তবে ইউপিডিএফ দাবি করেছে, বন্দুকযুদ্ধ হয়নি। তাদের সংগঠনের কর্মীদের ওপর জেএসএস অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

গেল ১২ ও ১৯ জুন জেএসএস (সন্তু) পক্ষ ও ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছিলো। সেই ঘটনায় কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও কোনো পক্ষই স্বীকার করেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জেএসএস (সন্তু লারমা) ও ইউপিডিএফের (প্রসীত খীসা) উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সমঝোতা চুক্তি হয়েছিলো। ২০২০ সাল থেকে দুই পক্ষের মতবিরোধ দেখা দেয়।

ইউপিডিএফের উপজেলা সংগঠক সজীব চাকমা জানিয়েছেন ‘আজ সকালে জেএসএস (সন্তু) পক্ষের লোকজন তাদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ওই হামলায় জীবন ত্রিপুরা নামের একজন সংগঠক মারা গেছেন।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তারা।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম পেয়ার আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি অনেক দুর্গম এলাকায় ঘটেছে। সেখানে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গেছে।

 

Recommended For You