Connect with us

জাতীয়

বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করছে বিভিন্ন দেশের বিমান, দিচ্ছে না কোনো রাজস্ব

Avatar of author

Published

on

বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করছে বিভিন্ন দেশের বিমান। তবে দিচ্ছে না কোনো রাজস্ব। অনেক ক্ষেত্রে আবার আকাশ ব্যবহারের প্রমাণ পেলেও বিল আদায় করতে হচ্ছে ম্যানুয়ালি। আধুনিক রাডার না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে দেশ। যদিও হাত গুটিয়ে বসে নেই পাশের দেশ ভারত। আধুনিক রাডার থাকায় এর পুরো ফায়দা লুটে নিচ্ছে দেশটি।

এ বিষয় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন বলছে, দেশের আকাশসীমার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত এক বছর। শূন্যে ভেসে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাত্রী ও পণ্য নিয়ে যায় বাংলদেশ বিমান। গন্তব্যে পৌঁছতে যেসব দেশের আকাশ ব্যবহার করতে হয়, আন্তর্জাতিক আইন মেনে সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার অর্থ পরিশোধ করতে হয় সেসব দেশকে। তবে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ দেশও কি পাচ্ছে আকাশ ব্যবহারের সব ভাড়া? এমন প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির আকাশে উড়া ছাড়া অন্য কোন ফ্লাইটের সরাসরি তথ্য পায় না সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, রাডারে কোনো ঘাটতি থাকলে সেটি যত দ্রুত সম্ভব কাটিয়ে উঠতে হবে। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের এভিয়েশন খাত। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে অবশ্য ৭ বছর আগে একটি রাডার বসানো হয় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। অথচ সেটি এখনও রয়েছে কমিশনিংয়ের বাইরে অর্থাৎ অকার্যকর।

বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণ শেষ হলে দেশের সব বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কন্ট্রোল রুমে বসেই কোন বিমানবন্দরে কোন কোন উড়োজাহাজ উঠানামা করছে, সেটি তদারকি করা যাবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের আকাশ কোন উড়োজাহাজ ব্যবহার করলে ভাড়া বাবদ ম্যানুয়ালি বিল পাঠায় বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। নতুন রাডার কার্যকর হলে দেশের আকাশ ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হবে রাজস্ব আদায়।

তথ্য বলছে, উচ্চ ক্ষমতার রাডার বসিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরে দেশের বাকি আকাশে চলাচল করা হাজার হাজার ফ্লাইটের তথ্য নিয়ে নিচ্ছে ভারত; আর আয় করছে সিংহভাগ রাজস্ব। তবে চোখের সামনে হাজার হাজার কোটি টাকা বাতাসে উড়ে গেলেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কেনো এতো ধীরগতি, এর কোন উত্তর নেই সিভিল এভিয়েশনের কাছে।

অন্যদিকে, হযরত শাহজালাল র. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯৮০ সালে বসানো হয়েছে প্রথম প্রজন্মের একটি রাডার। যেখান থেকে মেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আকাশসীমার তথ্য। সীমিত ক্ষমতার এ রাডারে চলছে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের আকাশ সুরক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বিরাট আকাশের বিশাল অংশ। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় রুট হিসেবে লাভজনক হওয়ায় অনেক এয়ারলাইন্স ব্যবহার করে বাংলাদেশের আকাশপথ। তাহলে কী এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে অন্য কেউ?

প্রসঙ্গত, গেলো অক্টোবরে প্রায় ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে থ্যালাসের চতুর্থ প্রজন্মের একটি রাডার। এর কমিশনিংও হয়েছে দুটি; মিলছে তথ্যও। কন্ট্রোল টাওয়ার প্রস্তুতির কাজ শেষ দিকে। এতে যেমন মিলবে সব বাণিজ্যিক বিমানের তথ্য, তেমনি সরাসরি কথা হবে পাইলটের সঙ্গে। অগ্রগতির এ তথ্য সিভিল এভিয়েশনের।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬ উপজেলায় চলছে গণনা

Published

on

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা। সন্ধ্যা নাগাদ ফলাফল আসতে শুরু করবে।

প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ভোটারের উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম চার ঘণ্টায় প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে পরের চার ঘণ্টায় সেই পরিমাণটা বাড়বে বলে আশা করছে কমিশন।

দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় গড়ে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাট মিলিয়ে ১৮টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর– এই দুই উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এসব উপজেলায় ভোট করার প্রয়োজন পড়ছে না।

এই পর্বে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি। ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন এবং নারী এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন। হিজড়া ভোটার ২৩৭ জন।

Advertisement

এই ধাপে মোট এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের জন্য তফসিল হয়েছিল ১৬১ উপজেলার। স্থগিত, ধাপ পরিবর্তন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ভোট হয় ১৫৬ উপজেলায়।

ষষ্ঠ উপজেলা ভোটে দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয় ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে ৩৬ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়ে।

এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২৪ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি; বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হবে।

২৯ মে তৃতীয় ধাপে ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দুইদিন বিঘ্নিত হবে ডেসকোর প্রিপেইড সেবা

Published

on

সিস্টেম আপগ্রেডেশনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ মে) থেকে শুক্রবার (২৪মে) পর্যন্ত ডেসকোর প্রিপেইড মিটার রিচার্জ সেবা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ডেসকো কর্তৃপক্ষ।

বার্তায় জানানো হয়, প্রিপেইড সিস্টেম আপগ্রেডেশন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রিপেইড রিচার্জ সেবা সাময়িক বিঘ্নিত হতে পারে। আপনার স্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রিপেইড মিটারে পর্যাপ্ত টাকা রিচার্জ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

২০২৩ সালে বৈশ্বিক বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ এসেছে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সাময়িক অসুবিধার জন্য ডেসকো কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অভিযোগের কোন প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র দিতে পারে নি : সাবেক সেনাপ্রধান

Published

on

আমি যে আমার ভাইদের কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, তার প্রমাণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দিক। আমি মেনে নেব। তথ্য প্রমাণ ছাড়া তো এটা প্রমাণিত না। আমি জোর দিয়ে বলছি, আমি তাদের কোনো কন্ট্রাক্ট দেইনি। বললেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাবেক সেনা প্রধান।

জেনারেল (অব.) আজিজ বলেন, ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিলো। তার সাথে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পৃক্ত ওতোপ্রতোভাবে। অভিযোগ দুইটা একই, কিন্তু এখানে বিস্তারিত বলা হয়নি।

ভাইয়ের প্রসঙ্গে সাবেক সেনা প্রধান বলেন, তিনি সেনাপ্রধান হওয়ার অনেক আগে থেকে তাঁর ভাই বিদেশে বসবাস করে। সে যদি বিদেশে গিয়ে থাকে তাহলে বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই গেছে। এখানে তিনি পদ-পদবী ব্যবহার করে দেশের আইন ফাঁকি দিতে সাহায্য করেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ মেনে নিচ্ছেন না। এটা সঠিক না।

তিনি বলেন,  চার বছর বিজিবি থাকাকালীন এবং তিন বছর সেনাপ্রধান থাকাকালীন কেউ যদি একটা প্রমাণ দিতে পারে যে, তিনি তাঁর কোনো ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন। তাহলে তিনি যেকোনো কনসেকুয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন। এসময়ে তিনি তাঁর ভাইদের কোন কনট্রাক্ট দেন নি বলে দাবি করেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত