Connect with us

আন্তর্জাতিক

আরবের যে দেশে সবচেয়ে বেশি সিনেমা হল

Avatar of author

Published

on

আরব দেশ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিনেমা হল রয়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে ২০১৮ সালে সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করা হয়। আর নতুন করে সিনেমা হল খুলে দেওয়ার ৬ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে সৌদি আরব।

দেশটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিনেমা হল এবং সিনেমা প্রদর্শনীর স্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সৌদিতে সিনেমা হল রয়েছে ৬৬টি। খবর-গালফ নিউজ 

এসব হলে রয়েছে ৬১৮টি পর্দা। ২২টি শহরজুড়ে থাকা এসব সিনেমা হলে ৬৩ হাজার ৩০০ আসন রয়েছে। যা আরব বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ছয় বছরে সৌদিতে প্রায় ১ হাজার ৯০০ সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টি সৌদির নিজস্ব। এসব সিনেমা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন রিয়াল। শুধুমাত্র গত বছর দেশটিতে ১৬ হাজার ৬০০ মিলিয়ন টিকেট বিক্রি হয়েছে।

 

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

ইরানে কে হতে চলেছেন খামেনির উত্তরসূরি?

Published

on

সংগৃহীত ছবি

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির নিহতের ঘটনায় অস্থির অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্য। ক্ষমতায় আসার পর কঠোর হাতে দেশ সামলানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে বেশ শক্তিশালী প্রভাব বলয় সৃষ্টি করেছিলেন রাইসি। হামাস, হুথি ও হিজবুল্লাহসহ প্রক্সি যোদ্ধাদের কাছেও রাইসি ছিলেন-তুমুল জনপ্রিয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এই নেতাকে হারানোর পর ইরানের ভবিষ্যৎ কী? ৮৫ বছর বয়সী খামেনির মৃত্যুরে পর কে হচ্ছেন তার উত্তরসূরি? এটাই এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। একই সঙ্গে টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

 

ইরানের যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে দেশটির সবোর্চ্চ নেতার হাতে। শুধু তাই নয় সেনাবাহিনী, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড-আইআরজিসি, পররাষ্ট্রনীতি সব সেক্টরেই সর্বোচ্চ নেতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত। সম্প্রতি ইসরায়েলের ড্রোন ও মিসাইল হামলাও দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির আদেশেই হয়েছে।  প্রেসিডেন্ট রাইসি কিন্তু সংঘর্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। তাই খামেনির আসনে ভবিষ্যতে কে আসবেন বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইরানর উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার চূড়ার খুব কাছাকাছি অবস্থানে ছিলো ইবরাহিম রাইসি। ৮৫ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে তাকে ভাবা হচ্ছিলো।  খামেনি দীর্ঘদিন ধরে রাইসিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ ও প্রেসিডেন্সি। এটি  সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তাকে গড়ে ওঠার সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত ছিলো বলে বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা। তবে রাইসির আকস্মিক মৃত্যুতে পাল্টে গেছে সব হিসাবনিকাশ।

বেঁচে থাকলে রাইসি শীর্ষ নেতা হতে পারতেন কিনা তা নিয়ে অবশ্য মতবিরোধও রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক ড.আলি ভায়েজের মতে, ইরানের দুর্বোধ্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাইসি ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ নেতা হতে পারতেন কিনা তা শীর্ষস্থানীয় অল্প কয়েকজন নেতা ছাড়া কারও জানার কথা নয়।  কিন্তু তাকে যদি এই দায়িত্বের জন্য বিবেচনা করা হয়ে থাকে তাহলে তার মৃত্যু খামেনির উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে বড় প্রশ্ন হাজির করেছে।

Advertisement

রাইসি বাদে সর্বোচ্চ নেতার উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় যার নাম রয়েছে তিনি হলেন খামেনির ছেলে মোজতবা। ৫৪ বছর বয়সী মোজতবাকে প্রকাশ্যে খুব দেখা যায় না। তবে পর্দার আড়ালে তিনি খুব প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়।  তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আয়াতুল্লাহর আলী খামেনীর ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র মোজতবা খামেনি । তিনি একজন রক্ষণশীল হার্ড-লাইনার হিসেবে পরিচিত।  রাজনৈতিক কৌশলে  তুখোড় পারদর্শী মোজতবার রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উপর বড় প্রভাব। এছাড়া, ইরানের গোয়েন্দা বাহিনী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে মোজতবা খামেনির উচ্চ-স্তরের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তবে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন,খামেনি তার ছেলেকে উত্তরসূরী করবেন না। কারণ নিজের ছেলেকে উত্তরসূরি করলে তাতে মনে হতে পারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনে গণতন্ত্র বজায় নেই এবং এখানে বংশানুক্রমিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ইরানের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে পারিবারিক শাসন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। শাহের শাসনকে উৎখাত করার সময় ইসলামি বিপ্লবীরা পারিবারিক শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন।

তারপরও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, ইরানের বর্তমান প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ভিন্ন ও জটিল। এমতাবস্থায় রাইসির মৃত্যুতে খামেনির উত্তরসূরি হওয়ার পাশার দান উল্টে গেছে। মনোযোগ এখন খামেনিপুত্র মোজতবার ওপর ফিরে এসেছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্স

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনকে আজই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে আয়ারল্যান্ড

Published

on

ফিলিস্তিনকে-রাষ্ট্রের-স্বীকৃতি-দিচ্ছে-আয়ারল্যান্ড

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। বুধবারই (২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিতে পারে আইরিশ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা। সমন্বিতভাবে এ ঘোষণা দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।

১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩৯ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আইরিশ সরকার বলেছে, তাদের এই স্বীকৃতি শান্তিপ্রচেষ্টার পরিপূরক এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করবে।

তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে ইসরায়েল। গেলো মঙ্গলবার (২১ মে) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই স্বীকৃতি ‘সন্ত্রাসবাদ আরও বাড়িয়ে দেবে, অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে এবং শান্তির জন্য যেকোনো সম্ভাবনাকে বিপণ্ন করবে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইরিশ সরকার জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে কী বিষয়ে কথা বলবেন, তা জানানো হয়নি।

এর আগে, চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানিয়েছিল স্পেন।

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য সম্প্রতি কূটনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। গেলো এপ্রিলে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনাও করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সানচেজ জানিয়েছিলেন, ইইউর সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে।

বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সুইডেনসহ- নয়টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

Advertisement

বেলজিয়ামও নিশ্চিত করেছে, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে সমর্থন দিতে তারা প্রস্তুত।

এর আগে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের চমকপ্রদ ঘোষণা নরওয়ের

Published

on

নেতানিয়াহু

পরোয়ানা জারি হলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। দেশটি বলছে, আইসিসির ওয়ারেন্ট জারি হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে তারা ‘বাধ্য’।

বুধবার (২২ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইতোমধ্যেই আইসিসিতে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকদের প্যানেল পরোয়ানা জারি করলে নরওয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে গ্রেপ্তার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১ মে) নরওয়ে এই ঘোষণা দিলো।

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে এবং তারা নরওয়েতে আসলে তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে তার দেশ। নরওয়ের একটি অনলাইন সংবাদপত্র বলেছে, নেতানিয়াহু নরওয়ে সফরে আসলে তাকে (গ্রেপ্তার করে) প্রত্যর্পণ বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পনের ঝুঁকি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে।

মূলত গাজায় যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)। আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। সোমবার করিম খান জানান, তিনি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। এছাড়া হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাসের অন্য দুই নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন তিনি।

Advertisement

এখন হামাস ও ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয় বিবেচনা করবেন আইসিসির বিচারপতিদের একটি প্যানেল। মূলত করিম খানের অফিসের উপস্থাপিত প্রমাণগুলো মূল্যায়ন করবেন তারা। পরোয়ানা জারি হলে আদালতের রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো সুযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করতে বাধ্য থাকবে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত