লাইফস্টাইল
দই-কিশমিশের উপকার জানালেন কারিনার পুষ্টিবিদ
তীব্র দাবদাহে অতিষ্ট জনজীবন। আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে গরম কমার কোনো সম্ভাবনাও নেই। গরমের তীব্র দাবদাহের হাত থেকে শরীর বাঁচাতে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই। প্রোবায়োটিক ভাল উৎস দই। তবে জানেন কি দই পাতার সময়ে কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে দিলে উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ?
বলি অভিনেত্রী কারিনা কাপূরের পুষ্টিবিদ ঋতুজা দিবেকর নিজের ইনস্টাগ্রামে দই-কিশমিশের গুণাগুণের কথা শেয়ার করেছেন সকলের সঙ্গে। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই গরমের দিনে জব্দ হবে নানা রোগ-ব্যাধি। ঋতুজা জানিয়েছেন, তার ঠাকুরমার এই রেসিপি কিন্তু গরমের দিনে অনেক সমস্যারই দাওয়াই হতে পারে।
যেভাবে তৈরি করবেন কিশমিশ দেয়া দই-
প্রথমে একটি বাটিতে গরম ফুল ফ্যাট দুধ নিন। এবার তার মধ্যে দিয়ে দিন চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ। এরপর সামান্য দই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন যেন পাত্রের সারা গায়ে দইয়ের মিশ্রণ ভাল করে লেগে যায়। তারপর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আট থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।
কী কী গুণ রয়েছে কিশমিশ মেশানো দইয়ে-
গরমে হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট ভাল থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই দই রাখলে বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা থাকলেও এটি খাওয়া যেতে পারে।
যারা পাইরিয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যেও এটি খুব উপকারী। এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। মাণড়ির রক্তপাত কমায়।
একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেকেই। এক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।
এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দুপুরের দিকে হালকা খিদে পেলে এই দইয়ের মিশ্রণ খেতে পারেন। অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। হজম ভাল হয় বলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
লাইফস্টাইল
মানসিক চাপে উড়েছে রাতের ঘুম…
ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত কাজের চাপ। পেশাগত, ব্যক্তিগত জটিলতাও কম নেই। যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, সর্বত্রই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে মনের উপরেও চাপ পড়তে শুরু করে।
শুধু কাজই নয়, মাথায় টাক পড়তে শুরু করা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করা—অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়ার জন্য এই কারণগুলিই যথেষ্ট।
মানসিক চাপ মাত্রাতিরিক্ত হতে শুরু করলে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেককেই ওষুধ খেতে হয়। ঘুম না হলে শরীরে উপরেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই সামলে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কী ভাবে মন শান্ত করবেন, উদ্বেগ বশে রাখবেন, রইল তারই টিপস-
রাত জেগে ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা দেখার স্বভাব রয়েছে অনেকের। এমন কোনও ছবি, সিনেমা বা সিরিজ দেখবেন না, যা দেখলে আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। সারা দিনের পর বাড়ি ফিরে পরিবারের ভাল-মন্দ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন অনেকে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন আলোচনার পর্যায়েই থাকে। উত্তেজনা বাড়িয়ে না দেয়।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিনিট দশেক ধ্যান করার অভ্যাস করতে পারেন। হালকা কোনও বাদ্যযন্ত্র বা মেডিটেশন মিউজিক শুনতে শুনতেও ধ্যান করতে পারেন। নিজের মনকে শান্ত করার এই প্রক্রিয়া এক দিনে রপ্ত করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে হবে।
অনেকেই রাতে ঘুমোনের আগে ডায়েরিতে সারা দিনের যাবতীয় কাজ, কেউ কেউ আবার মনের কথা লিখে রাখেন। মনোবিদরা বলছেন, নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ভয়, উদ্বেগের কারণগুলি লিখে রাখতে পারলেও অনেকটা হালকা লাগে। রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যায়। বই পড়ার অভ্যাসও কিন্তু আপনার মনকে শান্ত করতে পারে।
মানসিক চাপ, উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ হল, ডিজিটাল দুনিয়ায় অতিরিক্ত আনাগোনা। কাজ থেকে ফিরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর থেকে ফোন, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস এবং ডিজিটাল যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত নীলচে আলো মেলানিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা জরুরি। অন্যান্য শরীরচর্চার তুলনায় যোগাসন করলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
লাইফস্টাইল
তালশাঁসের যত গুণ
গরম পড়তেই বাজারে শুরু হয়েছে তালশাঁসের আনাগোনা। পাড়ার মোড়ে, রাস্তায় ধারে যে ফল বিক্রেতারা বসে থাকেন, তাদের ঝুড়িতে এখন তালশাঁসের দেখা মিলবেই। পেকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তালশাঁসের দানা বা বীজটি খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে। নরম, শাঁসযুক্ত এবং সুমিষ্ট এই ফলটি খেলে শরীরও ঠান্ডা হয়। ভিটামিন সি, কে, ই, আয়রন, কার্বোহাড্রেট, ক্যালশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এই ফলে।
চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি আর কী উপকার হয় এই ফল খেলে-
শসা, তরমুজের মতোই তালশাঁস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এই ফল। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতেও তাল শাঁস খাওয়া যায়।
ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিন রয়েছে তালশাঁসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।
তালশাঁসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এই ফল। পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব কাটাতেও তালশাঁস খাওয়া যায়।
অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়ীদের জন্য এই ফল বেশ কাজের। তালশাঁসের মধ্যে নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। হবু কিংবা নতুন মায়েদের হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে এবং শরীরে নানা রকম পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে তালশাঁস।
গরমে, রোদে বেরোলেই মুখে অ্যালার্জি হয়, মুখ জ্বালা করে? তালশাঁস কুরে বা মিক্সিতে বেটে মুখে মেখে রাখুন। ত্বকের প্রদাহ নিরাময়ে ঘরোয়া উপাদান হিসাবে তালশাঁস দারুণ কাজের।
লাইফস্টাইল
সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক এক সময়ে ক্লান্তির ছাপ পড়ে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও। একে অপরের প্রতি উত্তেজনা, আবেগে মরচে পড়তে শুরু করে। তখন সম্পর্কে উদাসীনতা আসে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, প্রেম যেন কোথাও হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের প্রতি অহংবোধ তৈরি হওয়া, আকর্ষণ কমে যাওয়া- এই সব সমস্যার সঙ্গেই চোরাপথে হাজির হয় অশান্তি। মতের অমিল থেকে ছোটখাটো কথাতেও যেন জোর করে অশান্তি ডেকে আনা।
যতই ভিতরে ভিতরে ভালবাসা থাক, প্রকাশের অভাবটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ আর টের পাওয়া যায় না তখন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে কিন্তু সম্পর্ককে টেনে আনতেই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ভাল আছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ভাল থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকেও। অশান্তি এড়াতে ও আগের মতো সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে মেনে চলুন কিছু বিষয়-
সময়
এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
রোম্যান্স
একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ দেয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে কাজ
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজে নিন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া
পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য জীবন।
এসি//
- বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- বলিউড5 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
- আইন-বিচার7 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
- জাতীয়3 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
- অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
- আন্তর্জাতিক5 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
- অপরাধ14 hours ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন