লাইফস্টাইল
গরমে বাড়ির গাছের খেয়াল কীভাবে রাখবেন? কতটা পানি দিতে হবে?
বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। মানুষের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাড়িতে থাকা সাধের গাছগুলোর কী হাল? এই সময় কিন্তু তাদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে রাখা গাছে কতটা পানি দেয়া প্রয়োজন? কতটাই বা সার দেবেন? জেনে রাখুন সে বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ছোট্ট ছোট্ট গাছ। তাতেই অন্দরমহলের সৌন্দর্য বেড়ে যায়। এদের খেয়াল রাখতে গিয়ে কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। গাছে পানি দেবেন, তবে অতিরিক্ত নয়। অনেকেই উচ্ছ্বসিত হয়ে গাছে ঘন ঘন পানি দিয়ে ফেলেন। এতে গাছের ক্ষতি হয়। প্রত্যেক গাছের আলাদা পরিমাণ পানি গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে। তা বুঝে তবেই পানি টবে দিন। এই গরমেও সময়ও এটা মাথায় রাখবেন।
পানির পাশাপাশি গাছের আলোরও প্রয়োজন হয়। কোনও গাছের জন্য রোদ প্রয়োজন, কোনও গাছ আবার শুধু ছায়ায় রাখা উচিত। এই বিষয়গুলি জেনেই গাছ কিনুন। অবশ্য যা গরম পড়েছে তাতে গাছের পাতা শুকোবেই। পারলে গাছগুলো একটু ছায়াতেই রাখার বন্দোবস্ত করুন।
ভুল সার ব্যবহার করলেও গাছ নষ্ট হয়ে যায়। আর বাজারের অনেক সারের মধ্যে রাসায়নিক উপাদান থাকে। তাতে গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই জৈব সারের উপর ভরসা রাখুন।
কোনও কোনও গাছের একটু বেশি আর্দ্রতা প্রয়োজন হয়। সে খেয়াল অনেকেই রাখেন না। এতে গাছের ক্ষতি হয়। চাইলে বাড়িতে স্প্রে রাখতে পারেন। যাতে পাতাগুলিতেও পানি দেয়া যায়।
খুব প্রয়োজন না পড়লে গাছের টব পালটানো উচিত নয়। এতে গাছের খুবই ক্ষতি হয়। প্রথমেই ঠিক করে নিন কোন টবে কোন গাছ রাখলে ভাল হয়।
পরামর্শ
পেটের ব্যথা হলে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? কখন হাসপাতালে যাবেন?
পেটের ব্যথা নানা ধরনের হয়ে থাকে। কিছু ব্যথা আছে যেগুলো হঠাৎ করে শুরু হয় এবং একটু পর ভালো হয়ে যায়। এই ব্যথা খুব তীব্র হয় না। আবার কিছু ব্যথা আছে হঠাৎ করে শুরু হলেও বেশ তীব্র ও কষ্টদায়ক হয়। আর কিছু ব্যথা একবার শুরু হলে সেটা সহজে ভালো হয় না বা বিরতি দিয়ে চলতে থাকে।
পেটব্যথা কী?
যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, পেট হল পাঁজর ও শ্রোণির (পেলভিস) মধ্যবর্তী জায়গা। এই জায়গাটা হল আমাদের পাকস্থলী, যকৃত, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয়, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের বাড়ি। এগুলোকে একসাথে পাচনতন্ত্র বলা হয়। এইসব অঙ্গের কোথাও যদি সামান্যতম অস্বস্তিও হয়, তাহলেই আমরা পেটে ব্যথা অনুভব করি।
যদিও, পেটে ব্যথা হলেই আমাদের দেশে ধরে নেয়া হয়, এটা হয়ত আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। বিষয়টা কিন্তু মোটেও তেমন না। পেটে ব্যথা পাচনতন্ত্রের যে কোনও অঙ্গ থেকে হতে পারে। পেটের কোনও অংশে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা গুরুতর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসা নেয়া না হলে এটি খারাপ থেকে খারাপতর হতে পারে।
পেটে তীব্র ব্যথা যে কারণে হতে পারে :
১. অ্যাপেনডিসাইটিস
২. গ্যাসট্রাইটিস
৩. কিডনিতে পাথর
৪. ওষুধ সেবন
৫. জীবাণুর আক্রমণ
৬. পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিস বা পিআইডি বা প্রদাহজনিত রোগ
৭. মানসিক চাপ
৮. আলসার
৯. ত্রুটিযুক্ত গর্ভধারণ
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
পেট ব্যথার সাথে নিচের উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
১. পেট ব্যথা যদি দ্রুত বাড়তে থাকে
২. পেট ব্যথা বা ঢেকুর তোলা থামছে না এবং একটু পর পর আবার শুরু হচ্ছে
৩. পেট ব্যথার সাথে খাবার গিলতে সমস্যা হচ্ছে
৪. চেষ্টা না করেও ওজন কমছে
৫. বার বার প্রস্রাব হচ্ছে কিংবা একেবারেই প্রস্রাব হচ্ছে না
৬. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হচ্ছে
৭. মলদ্বার বা মূত্রনালী থেকে রক্তপাত হচ্ছে বা অস্বাভাবিকভাবে অন্য কোনও তরল নির্গত হচ্ছে
৮. ডায়রিয়া হওয়ার কয়েক দিন পরও তা ভালো হচ্ছে না
কখন জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাবেন?
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য বলছে, পেট ব্যথার সাথে যদি নিচের লক্ষণগুলোও থাকে তাহলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে:
১. হঠাৎ করে পেট ব্যথা শুরু হওয়ার পর সেটা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে
২. পেটে স্পর্শ করলেই ব্যথা অনুভব হলে
৩. রক্ত বমি শুরু হলে বা বমির রঙ কফির মতো হলে
৪. মলের সাথে রক্ত পড়লে বা মলের রঙ কালো, আঠালো ও তীব্র দুর্গন্ধ হলে
৫. প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে
৬. মলত্যাগ বা বায়ু নির্গমন বন্ধ হয়ে গেলে
৭. নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হলে
৮. বুকের ব্যথা শুরু হলে
৯. ডায়াবেটিস থাকলে এবং বমি শুরু হলে
১০. অজ্ঞান হয়ে গেলে
জেএইচ
পরামর্শ
তেলাপোকা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
তেলাপোকার জীবনধারণ ক্ষমতা এতটাই বেশি, যার ফলে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঁচতে পারে সে। স্বাভাবিকভাবেই তাই আপনার বাড়ির অন্ধকার, নোংরা এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বংশবিস্তার করতে পারে তেলাপোকা।
বাড়িতে রান্নাঘরে এবং বাথরুমে সব থেকে বেশি তেলাপোকার উপদ্রব দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাতের বেলায় এদিক ওদিক ঘুরতে দেখা যায় এই প্রাণীটিকে। অপরিষ্কার জায়গায় জন্ম নিলেও সারা বাড়ির বিভিন্ন পরিষ্কার জায়গাতেও অবাধ বিচরণ করতে পারে এই প্রাণী।
তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য বাজার চলতি রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করেন অনেকেই, তবে তাতেও খুব একটা ভালো কাজ হয় না। তাই আজ এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের কথা জানানো হবে, যা আপনাকে এই অবাঞ্ছিত অতিথির হাত থেকে রক্ষা করবে।
রান্নাঘর পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন : রান্নাঘর যদি পরিষ্কার এবং শুষ্ক না থাকে তাহলে সেখানে শুধুমাত্র তেলাপোকা নয়, বাসা বাঁধতে পারে অন্যান্য কীটপতঙ্গও। আপনার রান্নাঘরে যে জায়গাগুলি অপরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমন কাউন্টার টপ, স্টোভ টপ, সেগুলি বারবার মুছে পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করুন। কোনও ভাবেই যাতে খাবারের টুকরো পড়ে না থাকে সেদিকে নজর দিন। এছাড়া সিঙ্ক এবং পাইপের ফুটো সঠিকভাবে বন্ধ আছে কিনা সেটাও দেখে নিন।
খাবার রাখুন সঠিক জায়গায়: যে সমস্ত খাবার বাইরে থেকে কিনে আনবেন অথবা বাড়িতে তৈরি করবেন সেগুলি সঠিক জায়গায় ঢাকা দিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।ফল, শাকসবজি ফ্রিজে রাখুন এবং রান্না করা খাবারগুলি সব সময় ঢাকা দিয়ে টেবিলের উপর রাখুন। রাতে খাওয়ার পর বেঁচে থাকা খাবারগুলি ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই পরিষ্কার করবেন খাবার-টেবিল।
পচনশীল বস্তু সরিয়ে দিন: উচ্ছিষ্ট খাবার হোক অথবা শাকসবজির খোসা, যে জিনিসগুলি পচনশীল সেগুলি প্রতিদিন ফেলে দিন ডাস্টবিনে। একদিনের বেশি পচনশীল বস্তু যদি আপনি বাড়িতে রেখে দেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই হবে আরশোলার উৎপাত।
এন্ট্রি পয়েন্ট সিল করে রাখুন: ছোট হোক অথবা বড়, যে সমস্ত জায়গায় গর্ত বা ফাটল রয়েছে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন। ইলেকট্রিকের কাজ হলে অনেক সময় বাড়িতে ফুটো করতে হয় যা পরবর্তীকালে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে থাকে। এমন কোনও স্থান থাকলে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন।
লাইফস্টাইল
বৃষ্টিতে জ্বর-সর্দি! শিশুর খেয়াল রাখবেন যেভাবে
দুর্যোগের দিনে শিশুদের শরীরের খেয়াল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হয়ে যেতে পারে। খেয়াল রাখবেন, তা যেন আবার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের পর্যায়ে না চলে যায়।
কীভাবে বুঝবেন শিশু অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে ভুগছে? কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যেমন –
- ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকা
- নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকা
- গলায় ব্যথা হওয়া
- সারা শরীরে ব্যথা-বেদনা
- বমি বমি ভাব থাকা
- পাতলা পায়খানা
- দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া
এমন উপসর্গ হলে ঘাবড়ে যাবেন না। শিশুকে বাড়িতে রেখেই যত্ন করুন। কীভাবে তা করবেন?
- শিশুকে বেশি পরিমাণে তরল খাবার খাওয়ান
- পাতলা পায়খানা হলে শিশুকে ORS দিন
- জ্বর হলে শিশুকে দিন প্যারাসিটামল (একবার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন এ বিষয়ে)
- ওষুধ খাওয়ার পরেও জ্বর না কমলে গা মুছে দিতে হবে
- শিশুর জ্বর, খাওয়ার পরিমাণ, প্রস্রাবের পরিমাণের কমছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখবেন
- প্রয়োজনে বাসক এবং তুলসী পাতার রস খাওয়াতে পারেন
তিনদিনের বেশি জ্বর, শিশুদের প্রস্রাব কমে যাওয়ার, সারাক্ষণ ঝিমুনি, স্বাভাবিকের থেকে দ্রুত শ্বাস নিলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিশু যাতে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে না ভোগে, তার জন্য আগাম সতর্কতা কীভাবে নেবেন?
- বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। শিশুকেও তা শেখান
- বাইরে থেকে এসে তাড়াতাড়ি জামাকাপড় বদলে নিন
- ভিড় থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
- হাঁচি, কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন
- শিশুকে বারবার হালকা গরম পানীয় খাওয়ান
কেএস/
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়7 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি