Connect with us

বাংলাদেশ

ইলিশে সয়লাব কমেছে দাম

Published

on

চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট সাগর আর উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশে দিয়ে সয়লাব। প্রতিদিন গড়ে ২-৩ হাজার মণ ইলিশের সরবরাহ হচ্ছে এই ঘাটে। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলের ইলিশের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম।

ঘাটে উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ যেখানে দিনে ২-৩ হাজার মণ আসছে সেখানে চাঁদপুরের স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আসছে ১০-১২ মণ। এজন্য দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান আড়তদাররা। 

গেলো শনিবার (২৩ জুলাই) দিনগত মধ্যরাতে শেষ হয় সাগরে জেলেদের ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। তারপর থেকে জেলেদের দাবি, সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে ভালো পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। চাঁদপুরে ইলিশের তুলনামূলক দাম একটু বেশি পাওয়ার আশায় তারা এখানে ছুটে আসছেন। মৌসুমের সবচেয়ে বেশি ইলিশ এখন ঘাটে আসছে।

চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটের আড়তদার সম্রাট বেপারী ও মাসুদ খান জানান, দুদিন আগেও ঘাটে মাছের আমদানি ছিল এক হাজার মণের মতো। সেখানে গতকাল থেকে ইলিশের সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাটে আসা ইলিশগুলো সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের দাম কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসা ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকা, ৭০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ৭৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও ১০০-১৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হতো। তবে পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম এখনো কমেনি। 

 

Advertisement

বিপ্লব আহসান 

Advertisement

আইন-বিচার

আইনজীবী মহসিন রশিদ ও বাদলের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

Published

on

আইনজীবী-সমি-মহসিন-রশিদ-ও-শাহ-আহমেদ-বাদল

প্রধান বিচারপতিকে দেয়া আদালত বর্জনের কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠিতে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে আদালত অবমাননার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমি মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

রোববার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, আমরা মাফ চাচ্ছি। খুবই দুঃখিত। এ ধরনের চিঠি আর লিখবো না।

গেলো বছরের ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গেলো ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেয়। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।

Advertisement

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।

পরে গেলো ৩ জানুয়ারি এ দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।

১১ জানুয়ারি তাদেরপক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের

Published

on

ব্যারিস্টার-সৈয়দ-সায়েদুল-হক-সুমন

আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টা সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনদিন ধরে ‘চার থেকে পাঁচজনের একটি টিম’ মাঠে নেমেছে। প্রাণনাশের আশঙ্কায় তিনি রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় এ জিডি করেন তিনি।

সাধারণ ডায়েরিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন, গেলো ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারীর মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেন। ফোনে আমাকে জানান, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে চার থেকে পাঁচজনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।

এ সময় আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

শেরে বাংলা নগর থানার এসআই শরিফুজ্জামান শরীফ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তিনি জিডি করেছেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Advertisement

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার সুমন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে: এমপি হাফিজ উদ্দিন

Published

on

প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারবো। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে? কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। বলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচনের সময় হলফনামা দিতে হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে।

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা প্রথমে চাকরিতে ঢুকেন- তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হত। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হত। না হলে বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

Advertisement

এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত