Connect with us

চট্টগ্রাম

এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন

Avatar of author

Published

on

স্মার্ট-ফোন

বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই  নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে জরুরি এ ডিভাইসটি। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। কথাটা শুনে অদ্ভুত একটা মানসিক ধাক্কা লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।

তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন । কিন্তু আজ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।

বিজ্ঞানী লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনো সমস্যাই হবে না। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।

লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়। এর আগে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!

উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে এই ‘ব্রেন ইন্টারফেস’। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।

Advertisement

 

এসি//

Advertisement

চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর

Published

on

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে এবার প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নজির হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫) ও তার স্ত্রী মায়মুনা আক্তার (২০)।

স্থানীয়রা জানান, মায়মুনা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন। রাত ১০ টা থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। পাহাড়ের পাদদেশে তাদের বাড়ি ছিল। পাহাড় ধসে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত আনোয়ার হোসেনের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক (রা.) জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন। রাতে যখন ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল আমি পাশে আমার বাড়িতে চলে আসার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু সে সমস্যা হবে না বলে ঘুম যাওয়ার জন্য চলে যায়। আমি কি জানতাম তার এই ঘুম জীবনের শেষ ঘুম হবে।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। রাত ৪ টার দিকে আমরা কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যায়। গিয়ে দেখা যায় মাটির নিচে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ। এলাকার লোকজন ডেকে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিই।’

Advertisement

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘দুদিন ধরে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ মি. মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে গত ১৯ জুন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজারে একদিনের ব্যবধানে পাহাড় ধসে মোট ১২ জনের নির্মম মৃত্যু হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

পানি নেমে যাওয়ায় টেকনাফে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষত

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠছে। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  গেল বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল নেমে না আসার কারণে প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান।

সরজমিনে দেখা যায়,  টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপর দিয়ে পানি নেমে গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফসলি জমিতে  পানি রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বসত ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে ঘরে ফিরছেন।

হ্নীলার বাসিন্দা সৈয়দ আলম জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের পানি তার বাড়িতে কোমর সমান পানি ঢুকে পড়েছিল। গতকাল বিকেলের পর থেকে আর বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে যাচ্ছে। বাড়ির অধিকাংশ জিনিসপত্র ভিজে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে পাশাপাশি নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী  জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে না পারায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। নাফনদীর কয়েকটি সুইচগেট নির্মাণাধীন থাকায় পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পরে বাঁধের বিভিন্ন অংশে কেটে দিলে পাহাড়ি ঢলের পানি নাফনদীতে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

Advertisement

হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে নাফনদীর তীরে নির্মাণাধীন সুইচগেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। গতকাল জোয়ারের পানির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও  ১ জনের মৃত্দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৮জন রোহিঙ্গা।

বুধবার (১৯ জুন) ভোরে উখিয়ার ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর ফুতুনী (৩৪),ক্যাম্প-১০ ব্লক এফ/১০ এর মোহাম্মদ কালাম, সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, ক্যাম্প -৯,ব্লক বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং স্থানীয় বাঙালি থাইংখালি’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল করিম ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০)।

নিহত আব্দুল করিমের (১২) বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে তাঁদের ঘরের ওপরে পড়ে। তখন তাঁরা কয়েকজন বের হতে পারলেও তাঁর ছেলে বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তারাও আহত হয়েছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে চলমান ভারী বর্ষণে উখিয়ার চারটি পৃথক ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অন্য পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত