Connect with us

ঢাকা

কলা চুরির ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫

Avatar of author

Published

on

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বাগান থেকে কলার ছড়ি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছয়সূতি ইউনিয়নের কলাকূপা ও মধুয়াচর গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে দেড় ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে  এ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান।

সারোয়ার জাহান বলেন, ‘কলার ছড়ি চুরির ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য শনিবার দুপুরে সালিশে বসেছিলেন এ দুই গ্রামের লোকজন। এ সালিশে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, কলাকূপা গ্রামের একটি বাগান থেকে কলার ছড়ি চুরির ঘটনায় মধুয়াচর গ্রামের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেন কলাকূপা গ্রামের লোকজন। এলাকার আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ আর কলাবাগান থেকে ছড়ি চুরির ঘটনায় এ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল। বিষয়টি সমাধানে আজ সালিশ চলাকালে কথা কাটাকাটি থেকে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুগ্রামের শতশত মানুষ দেশীয় তৈরি অস্ত্র টেঁটা, এক কাটিয়া, হলঙ্গা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement

আই/এ

Advertisement

ঢাকা

বসুন্ধরায় এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ১ জনের মৃত্যু

Published

on

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা, সন্তান ও বোনের পর মারা গেছেন দগ্ধ রকসি আক্তার (২০)। এ নিয়ে ঘটনাটিতে দগ্ধ পরিবারটির ৪জনই মারা গেলেন।

রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যাান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রকসি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ।

তিনি জানান, রকসির শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।

এর আগে গেলো ১২ জুন ভোরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও ১৩ জুন বিকেলে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান রকসির বোন ফুতু আক্তার (১৮)। আর গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান। তার ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

Advertisement

গেলো সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রকসি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। আয়ানের বাবা সিরাজুল মোস্তফা দুবাই প্রবাসী। আয়ানের মা রকসির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে তারা সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালটির পাশের ওই ভবনের নিচ তলায় একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন।

তিনি আরও জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় বাসার এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমের মধ্যে থাকা শিশুসহ পরিবারটির চারজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

শেষ মুহূর্তে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ

Published

on

বাড়ি-ফেরা

আগামীকাল সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) ভোর থেকে রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়। কমলাপুর থেকে আগাম টিকিট না পেয়ে ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া কিছু রুটে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।

কমলাপুর রেলস্টেশনেও যাত্রীর চাপ রয়েছে। ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা।

বাস টার্মিনালগুলোরও একই অবস্থা। সকাল থেকে সময় মতোই উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ভাড়া আদায় বা ভোগান্তির অভিযোগ যাত্রীদের। বিকেল নাগাদ ভিড় কমে যাবে বলে ধারণা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

Advertisement

তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে রাজধানীর বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালের বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। এতে অনেকে বাস, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে ব্যাগ হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন টার্মিনালের দিকে। টার্মিনালগুলোর সামনে রয়েছে বাসের লম্বা সারি। এসব সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও অন্য সময়ের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি। দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পূর্ণ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

প্রস্তুত শোলাকিয়া ময়দান, এবার ইমামতি করবেন না যিনি

Published

on

উপমহাদেশের প্রাচীন ও সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া। ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত জন্য প্রস্তুত ঈদগাহ ময়দান। এবারের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। জামাতে ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ইমামতি করার কথা ছিল। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় ইমামতি করবেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আব্দুর রউফ।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান।

জেলা প্রশাসকের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অজুর পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুসল্লিদের কোনো শারীরিক সমস্যা হলে এখানে মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখানে কাজ করবেন। ওয়াচ টাওয়ার ও মাঠের আশপাশে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যসহ আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

ডিসি আরও বলেন, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ভৈরব থেকে ছাড়বে ভোর ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায়, ভৈরব পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে ভোর পৌনে ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়।

Advertisement

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকার ফুটেজগুলো আমরা সংগ্রহ করবো। নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো ধরনের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে মুসল্লিদের। এছাড়া প্রত্যেককে সার্চ করার জন্য মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আশপাশে যেসব স্থাপনা রয়েছে, প্রত্যেকটিতে পুলিশ ডিউটিতে থাকবে। এরইমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন। আশপাশের যে হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে, সেগুলোকেও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এবার কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই।

র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ঈদগাহে আসা-যাওয়ার গেটগুলোতে র‌্যাব সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। ওয়াচ টাওয়ারে স্বয়ংক্রিয় স্নাইপার রাইফেল থাকবে, যাতে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়। বেশকিছু প্যাট্রোল কার থাকবে। সেগুলো শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে। এ মাঠে ২৬৫টি কাতার আছে। প্রতিটি কাতারে ৫০০ মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন। মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জামাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত