আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মার্কিন সিনেটর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন দেশটির রাজনীতিবিদ ও আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটের প্রভাবশালী সদস্য বার্নি সার্ডার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক বার্তায় তিনি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন জানান।
তুরস্কের বহুল প্রচারিত ও প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্মির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এক্সে শেয়ার করা বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই সিনেটর লিখেছেন, ‘১৯৬২ সালে শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে বর্ণবাদী নীতিমালার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিলাম। ’৬৩ সালে আমরা পৃথক গাত্রবর্ণের লোকের জন্য পৃথক স্কুলের বিরোধিতা করে আন্দোলনের সময় আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিক ছিলাম।’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে বার্ ৮৩ বছর বয়সী বার্নি সার্ডার্স আরও লিখেছেন, ‘আমি গর্বিত বোধ করছি, শিক্ষার্থীরা আজ গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করছে।’
আন্দোলনকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য হাসিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাও। তোমরা ইতিহাসের পাতার সঠিক পৃষ্ঠাতেই আছ।’
ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া বার্নি সার্ডার্স পারিবারিক পটভূমিকর কারণে অল্প বয়সেই রাজনীতিতে অগ্রহী হয়েছিলেন।১৯৪০ এর দশকে জার্মান-অধিকৃত পোল্যান্ডে তার অনেক আত্মীয়কে হলোকাস্টে হত্যা করা হয়েছিলো।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর বার্লিংটনের নগরপাল বা মেয়র নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনবার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের একজন সদস্য ছিলেন।
২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ওইসময় তিনি তরুণ ভোটার শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রায় ৪৩% ডেলিগেট বা প্রতিনিধির ভোট অর্জন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যান।
এমআর
আন্তর্জাতিক
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ছাগলের মুখ থেকে এই নকল দাঁত খোলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
গেলো শনিবার (১৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির গুলবার্গ চৌরঙ্গী এলাকায়। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। খবর- টাইমস অফ ইন্ডিয়া
পাকিস্তানি পুলিশ বলছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই তারা এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।
পুলিশ আরো বলছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। পবিত্র ঈদুল আজহায় ছাগল বিক্রি করতে করাচিতে যান। এ ছাড়া এই বিষয়ে আরও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আগামীকাল সোমবার ১৭ জুন পাকিস্তানে উদযাপিত হব ঈদুল আজহা।
এনএস/
আন্তর্জাতিক
গাজায় নেই ঈদ আনন্দ
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে আজ রোববার (১৬ জুন) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ফিলিস্তিনেও আজ ঈদ। তবে এই ঈদের সময়ও গাজা উপত্যকায় অভিযানে কোনো বিরতি দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।
রোববার (১৬ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার (১৫ জুন) গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার গাজা সিটির তিনটি পৃথক বাড়ি থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। এরা সবাই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত হয়েছেন।
এছাড়া এই দিন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা এবং গাজার সিটির শরণার্থী শিবিরেও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
গেলো প্রায় দেড় মাস ধরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। মে মাসের শুরুর দিকে যখন এই অভিযান শুরু হয়, সে সময় এতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই অভিযান চলছে রাফায়। কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) যুক্তি— রাফায় শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে হামাসের এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে রাফায় অভিযান চালানো জরুরি।
এদিকে রাফায় অভিযান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তির মূল কারণ ছিল সেখানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক ফিলিস্তিনির উপস্থিতি। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এই সীমান্ত শহরটিতে আশ্রয় নেন।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে।
জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা এখনও চলছে। অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৬৬ জন মানুষ, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
আন্তর্জাতিক
আড়াই লাখের বেশি হজযাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব
অবৈধ হজযাত্রী মোকাবিলায় সৌদি আরবের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের ফলে আড়াই লাখের বেশি মুসল্লি হজ করতে পারেননি। এসব হজযাত্রী ভিজিট ভিসা নিয়ে হজ পালনের চেষ্টা করছিলেন। হজের আনুষ্ঠিকতা শুরুর আগেই তাদের মক্কা থেকে ফেরত পাঠায় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হজ মৌসুমে সৌদি কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে, ভিজিট ভিসা নিয়ে কেউ হজ পালন করতে পারবেন না।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল তালাল আল শালহুবের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর ভিজিট ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে হজের চেষ্টা করা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮১ জনকে ফিরিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ১৬০টি ভুয়া হজ প্রচারাভিযান ধরা পড়েছে এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮টি অননুমোদিত গাড়ি মক্কার প্রবেশমুখ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৫০ হাজার ৩৮১ জন অনাবাসীকে ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, হজের আনুষ্ঠানিকতা চলা পবিত্র স্থানগুলোতে ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কহীন স্লোগান উঠতে দেবে না সৌদি আরব। তিনি বলেন, হজ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পবিত্র স্থানগুলোর চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী বজায় রাখবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর হজ পালনকারীদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সৌদি সরকার। গত ২ জুন থেকে সৌদি আরবে কার্যকর হচ্ছে পবিত্র হজবিষয়ক আইন ও নির্দেশনা অমান্য করার শাস্তি। ২১ জুন পর্যন্ত এটি চলবে। হজ পালনের অনুমতি ছাড়া মক্কা ও মদিনায় কোনো হজযাত্রীকে পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করছে। এর আওতায় রয়েছেন সৌদি নাগরিক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও।
এছাড়া, কেউ অনুমতি ছাড়া হজযাত্রীদের পরিবহন করলে তাকে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার বেশি।
পবিত্র হজবিষয়ক আইন ও নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি যথাযথ অনুমতি ছাড়া হজযাত্রীদের পরিবহনে ধরা পড়ে, তবে তাকে শাস্তি ভোগ করার পরে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে আর সৌদি আরবে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এমআর//
- ঢালিউড7 days ago
‘এ তো দেখি স্বপ্নে খাবার খাওয়ার মতো ঘটনা’ মিমের উদ্দেশ্যে পরীমণি!
- বলিউড6 days ago
বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সোনাক্ষী সিনহা!
- টুকিটাকি6 days ago
৩ দিন নিখোঁজের পর অজগরের পেট থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
- বাংলাদেশ4 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
- টুকিটাকি4 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
- ঢালিউড7 days ago
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন অভিনেতা টুটুল চৌধুরী
- টুকিটাকি6 days ago
৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, না পেয়ে পুলিশের ছেলেকে খুন
- দেশজুড়ে5 days ago
রাজনীতিতে আসছেন এমপি আনারের মেয়ে ডরিন