Connect with us

বাংলাদেশ

ঢাকায় পদযাত্রা, মৃত্যুর মিছিল বন্ধের দাবি

Published

on

সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছে রাজধানীতে পদযাত্রা করেছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)। তারা এই পদযাত্রা থেকে সড়ক নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছে। 

আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে, ছাত্র আন্দোলনের চতুর্থ বার্ষিকীতে রাজধানীর খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের পদচারী সেতুর নিচ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা থামে এমইএস বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন কুর্মিটোলা এলাকায়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। কিছু শিক্ষার্থী সাদা কাপড় পরে সড়কে লাশের মিছিল লেখা ব্যানার নিয়ে পদযাত্রার সামনে অংশ নেন। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বি অ্যালার্ট, রোড ইন বিডি ইজ নট সেফ, গণপরিবহন বৃদ্ধি কর, জেব্রা ক্রসিংয়ের সংখ্যা বাড়াও, যানজট মুক্ত সড়ক চাই, আইন প্রয়োগে সরকার ব্যর্থ কেন? ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়ে স্লোগানও দেয়। তাদের স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল—নিরাপদ সড়ক চাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, সড়কে ছাত্র মরে—প্রশাসন কী করে?, পুলিশের গাড়িতে ছাত্র মরে—প্রশাসন কী করে?, প্রশাসন করে কি খায়-দায়-ঘুমায় না কি?, যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত ভেঙে দাও।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই কুর্মিটোলা এলাকায় ফুটপাতে বাসচাপায় নিহত হয়েছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া। তাদের নিহত হওয়ার স্থানে সড়কে নিহত সবার স্মরণে আজ একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়।

Advertisement

সহপাঠীর মৃত্যুর পর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমেছিল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই শুরু হওয়া আন্দোলন ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বড়দের ভুল-বিশৃঙ্খলা ধরিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনীতিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, শিশুরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে, বিবেককে জাগ্রত করেছে। তখন দায়িত্বশীল সবাই সড়ক নিরাপদ ও বিশৃঙ্খলমুক্ত করতে নানা আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়। তবে সড়কে আগের মতোই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে আমরা ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। সেই আন্দোলনের চার বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। কোনো দফা এখনো পূরণ হয়নি। তাই বারবার আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হচ্ছে।

শাহীদুল ইসলাম বলেন, গেলো বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশের রেকার গাড়ির চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। যে পুলিশের দায়িত্ব নাগরিকদের রক্ষা করা, সেই পুলিশের গাড়ির চাপায় যদি শিক্ষার্থী নিহত হয়, তাহলে তারা কার কাছে বিচার চাইবে? এই দায় সরকারের, প্রশাসনের। সরকার–প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে আর কোনো শিক্ষার্থী সড়কে নিহত হতো না।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন নীপা ওয়াহিদ নামের এক অভিভাবক। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

নীপা বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি যদি আমার সন্তানের ন্যায্য দাবির এই আন্দোলনে শামিল না হই, তাহলে সাধারণ মানুষ সচেতন হবে না, সড়কে মৃত্যুও বন্ধ হবে না। পাশাপাশি আমাদের সন্তানদের সড়ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

Advertisement

জাতীয়

হটলাইনে কল পেয়ে ৯৪ স্থানে পানি অপসারণ করলো ডিএনসিসি

Published

on

হটলাইনে কলের সূত্র ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর ৯৪টি স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া

সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে অতি ভারী বর্ষণে ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে মোট ১০০জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-তে প্রাপ্ত কলের সূত্র ধরে ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র গণমাধ্যমে বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এত ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসির পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পাশাপাশি কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। হটলাইন নম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের ৩ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ে ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১০০টিরও বেশি আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপরাশেনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে গেলো রোববার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা ওই সেলের আইএসপি অপারেটরদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গাছপালা ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ১০০ এর অধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আইএসপি অপারেটরদের প্রায় ৩২০টি ইন্টারনেট গেটওয়ে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) রয়েছে। ঝড়ের কারণে বর্তমানে প্রায় ২২৫টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ আইএসপি গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

Advertisement

তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত