Connect with us

রূপচর্চা

‘ড্রাই শ্যাম্পু’ তৈলাক্ত চুলে এক জাদুকরী সমাধান

Avatar of author

Published

on

সারাদিনের ধুলো ময়লায় চেহারার সাথে সাথে চুলের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে, হুটহাট কোনো অনুষ্ঠান বা মিটিং-এ যেতে হবে, কিন্তু চুলের অবস্থা যাচ্ছে তাই! কিংবা হাতে যেটুকু সময় আছে তাতে শ্যাম্পু করে যাওয়াও সম্ভব না। এমন অবস্থায় সহজ সমাধান হতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। ঝটপট স্প্রে করে নিলেই মিলবে ঝলমলে চুল।

বেশিরভাগ ড্রাই শ্যাম্পু’ই তৈরি হয় স্টার্চ উপাদান দিয়ে। এটি মাথার ত্বক শুষ্ক রাখে, ফলে দু-একদিন চুল না ধুলেও তৈলাক্ত দেখায় না। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ড্রাই শ্যাম্পু হতে পারে আপনার জন্য আলাদিনের চেরাগের মতো। যা সময় বাঁচিয়ে আপনাকে দেবে আত্মবিশ্বাস।  তবে,  ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে কিছু সাধারণ ভুল অনেকেই করেন, যাতে করে মাথার ত্বকে খুশকির মতো ফ্লেক্স, নিস্তেজ ও শুষ্ক চুলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়মাবলী জেনে নিন।

যেভাবে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন:

১. ঠিক রঙ বেছে নিন:
বাদামি চুলে কালো শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলে ফ্লেক্স দেখা যাবে আর চুলও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। যেকোনো রঙ নেওয়ার পরিবর্তে নিজস্ব চুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কাছাকাছি রঙের শ্যাম্পু বেছে নিন।

২. মাথার ত্বকের খুব কাছাকাছি স্প্রে করবেন না:
শুষ্ক চুলে ড্রাই শ্যাম্পু মাথা থেকে চার থেকে ছয় ইঞ্চি দূরে ধরে গোঁড়ায় স্প্রে করুন। ১২ ইঞ্চি দূরে রেখে স্প্রে করলেও ড্রাই শ্যাম্পু কাজ করবে। পাউডার বেসড শ্যাম্পু হলে স্কাল্পের কাছাকাছি ছড়িয়ে দিন। কিন্তু সরাসরি স্কাল্পে দেবেন না।

Advertisement

৩. ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিন:
শ্যাম্পু খোলার আগে অবশ্যই ভালো মতো বোতলটি ঝাঁকিয়ে নেবেন। স্টার্চ অনেক সময় বোতলের নিচের অংশে পড়ে থাকে। ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিলে মিশ্রণের সব উপাদান একই অনুপাতে থাকবে।

৪. ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করুন:
এক জায়গায় অনবরত স্প্রে না করাই ভালো। সম্পূর্ণ মাথায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্প্রে করুন। এক জায়গায় ক্রমাগত স্প্রে করতে থাকলে সেখানে স্পট বা সাদা হয়ে যায়।

৫. ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার শুধুমাত্র তেলতেলে স্থানে:
সারা মাথায় ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করা’টা ঠিক না, শুধু উপরের দিকে দিন। আপনার চুলের নীচের অংশটি তেলতেলে হয় না, তাই নিচের দিকে স্প্রে করবেন না। এতে চুল দুর্বল হয়ে যায়।

৬. অত্যাধিক ব্যবহার না করা:
হাতে যখন পর্যাপ্ত সময় নেই, তখনই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কারণ, সবসময় ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে সেটা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। সাময়িকভাবে চুল ঝলমল করলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল হয়ে পড়বে শুষ্ক, নিস্তেজ। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

৭. সেট হওয়ার সময় দিন:
ড্রাই শ্যাম্পু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল আঁচড়াবেন না। কিছুক্ষণ সময় দিতে হবে এটি কাজ করার জন্য।

Advertisement

৮. ম্যাসাজ করুন:
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তা না হলে এটি কেবল আপনার চুলের উপরে বসে থাকবে এবং স্কাল্পে গিয়ে কাজ করবে না। তারপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ফেলুন। এতে সাদা সাদা হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।

৯. প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না:
প্রতিদিন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার লোমকূপ বন্ধ হয়ে স্কাল্পের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি চুলের গোঁড়া দুর্বল করে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা, যেমন: ডার্মাটাইটিস ও ব্রণ হতে পারে।

Advertisement

রূপচর্চা

মেকআপের পর মুখ কালচে দেখালে যা করবেন

Published

on

মুখ

মুখে যেটাই ব্যবহার করছেন, ঘণ্টাখানেক পর কালচে দেখাচ্ছে। ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজড হয়ে যায়। ফলে স্কিন কালচে দেখায়। আমরা কি জানি, অক্সিডাইজেশনটা আসলে কী? একটা আপেল কেটে রাখলে যেমন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সেটা কালচে হয়ে যায়, স্কিনের উপর ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও তাই হয়। এই অক্সিডাইজেশনের জন্য কিন্তু কোন একটা স্পেসিফিক কারণকে শনাক্ত করা সম্ভব না। স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সাথে ফাউন্ডেশনের অয়েল এবং পিগমেন্ট কিভাবে রিঅ্যাক্ট করছে, স্কিনের উপরের লেয়ারের পিএইচ লেভেল (pH Level), বাতাসের আর্দ্রতা, সূর্যের প্রখরতা- অনেক কারণেই এটা সাধারণত হয়ে থাকে। ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ হয়ে যাচ্ছে?

১. স্কিন কেয়ারে ভুল এড়িয়ে চলুন 

নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী পারফেক্ট ক্লেনজার, টোনার আর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও অনেক সময় ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী ভালোমানের ক্লেনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আর সম্ভব হলে শিট মাস্ক লাগিয়ে নিন, এতে স্কিন ফ্রেশ দেখাবে, ইন্সট্যান্টলি ময়েশ্চার রিস্টোর হবে।

২. প্রাইমার ব্যবহার করা

প্রাইমার কিন্তু শুধু ত্বকের রোমকূপগুলোকে ভিজ্যুয়ালি মিনিমাইজ করতে সাহায্য করে না, সেই সঙ্গে স্কিন এবং ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটা লেয়ার তৈরিতেও সহায়তা করে, ফলে সেটা ফাউন্ডেশন আর স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সঙ্গে রিঅ্যাকশনকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্কিন ড্রাই হলে হাইড্রেটিং প্রাইমার, অয়েলি হলে ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। আর যদি কম্বিনেশন হয় অর্থাৎ পুরো মুখ ড্রাই বা নরমাল এবং টি-জোন আর অন্য সামান্য অংশ অয়েলি সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুষ্ক স্থানের জন্য হাইড্রেটিং প্রাইমার এবং তৈলাক্ত স্থানের জন্য ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। দেখে নিবেন প্রাইমারটি সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি কিনা। সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি প্রাইমার অক্সিডেশন প্রসেসে বাধা প্রদানে সহায়তা করে।

Advertisement

৩. ব্র্যান্ড চেঞ্জ করা এবং নিজের আন্ডারটোন দেখে কেনা

নিজের আন্ডারটোন না বুঝে ফাউন্ডেশন কিনলেও অনেক সময় এ সমস্যা হয়। আবার কিছু ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন এমনিতেই অক্সিডাইজড হয়। কাজেই নিজের আন্ডারটোন দেখে পারফেক্ট শেইডের ফাউন্ডেশন কিনুন। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ডটাও চেঞ্জ করে দেখতে পারেন।

৪. স্কিনকে ব্লট করা

প্রাইমার লাগানোর ৩-৫ মিনিট পর একবার একটা ভালো মানের ফেস্যিয়াল টিস্যু (দুই পরতের) থেকে একটি পাতলা লেয়ার খুলে স্কিনকে ব্লট করুন। আর ফাউন্ডেশন লাগানোর পর ব্লেন্ড করা শেষ করে আরেকটা যে পাতলা লেয়ার ছিল, ঐটা দিয়ে আরেকবার স্কিনকে ব্লট করুন। ত্বকের উপরিভাগের বাড়তি তেল দূর হবে, ফলে অক্সিডেশন প্রসেস রোধ হবে।

৫. সঠিকভাবে মেকআপ সেট করা

Advertisement

ট্যাল্ক বেইজড পাউডার রোমকূপগুলোকে বন্ধ করে ফেলতে পারে, এবং এগুলো স্কিনকে বেশি ড্রাই করে তুলতে পারে, ফলে স্কিন কেকি দেখাতে পারে। ভালো কভারেজ দেয়, লাইট ওয়েট ফর্মুলার কমপ্যাক্ট বা লুজ পাউডার ইউজ করুন।  সেই সাথে ভালো মানের মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ করাটাও জরুরি। আপনি ইনডোরে থাকেন, কিংবা আউটডোরে থাকেন, মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ না করলে মেকআপটা স্মাজ হতে পারে, প্রাণবন্ত দেখাবে না।

৬. স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করা

স্কিনের স্বাভাবিক পিএইচ (pH) লেভেল কোন কারণে কম/বেশি হলেও ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজড হতে পারে। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী অবশ্যই ভালোমানের টোনার ব্যবহার করবেন। অ্যালকোহল-সমৃদ্ধ টোনার অনেক সময় স্কিনকে ওভারড্রাই করে ফেলে। স্কিন টাইপ বুঝে টোনার ইউজ করা ভালো। ন্যাচারাল উপাদানযুক্ত টোনার স্কিনকে নারিশড ও হেলদি রাখতে হেল্প করে। চাইলে রোজ ওয়াটার স্প্রে করে নিতে পারেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী কখনোই ব্যবহার করবেন না। সবসময় হাতে সময় নিয়ে ফাউন্ডেশন কিনুন। নিজের আন্ডারটোন এবং পারফেক্ট শেইড বুঝুন। ফাউন্ডেশন ট্রাই করার জন্য সবসময় জ-লাইনের ঠিক ওপরের জায়গাটাকে বেছে নিন। দোকানে ফাউন্ডেশন ট্রাই করার পর সাথে সাথেই না কিনে একটু এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করুন, অন্যান্য প্রোডাক্ট দেখুন এবং কিনুন। ঠিক ১৫ মিনিট পর দিনের আলোয় বের হয়ে এসে দেখুন ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজ করেছে কিনা, স্কিনের ন্যাচারাল কালারের মত দেখাচ্ছে কিনা। যদি সব ঠিক থাকে, তবেই সেই ফাউন্ডেশনটি কিনুন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে যেসব প্রোডাক্টস থাকা চাই

Published

on

মেকআপ

বিয়ের দিনটি মেয়েদের জীবনের বিশেষ দিনগুলোর মধ্যে একটি। তাই বিয়ের মেকআপও হতে হবে একদম পারফেক্ট। অনেকেই আছেন যারা ঘরে বসে বিয়ের মেকআপ করতে চান, কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না যে ব্রাইডাল মেকআপ কিটে কী কী প্রোডাক্টস রাখলে মেকআপ লুক ফ্ললেস ও একইসাথে লং লাস্টিং হবে। শুধু বিয়ের দিনে না, বিয়ের পরেও তো দাওয়াত বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অ্যাটেন্ড করতে হয়। সেখানেও তো সুন্দর ও পরিপাটি করে সেজে যেতে হবে, তাই না? নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে কোন কোন প্রোডাক্টস না থাকলেই নয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের ফিচারে।

প্ল্যানিং করুন আগে থেকেই

১) বাজেট ঠিক করে ফেলুন

সবসময় মনে রাখবেন, অন্যান্য মেকআপ লুকের চেয়ে ব্রাইডাল মেকআপ বেশ ডিফারেন্ট হয়। তাই নিজের জন্য ব্রাইডাল মেকআপ কিট রেডি করার আগে থাকতে হবে এক্সট্রা কেয়ারফুল। শুরুতেই নতুন মেকআপ প্রোডাক্ট কেনার জন্য বাজেট কতটুকু সেটা ডিসাইড করুন, তাহলে বিভিন্ন রেঞ্জের প্রোডাক্ট থেকে নিজের পছন্দের প্রোডাক্টগুলো খুঁজে বের করা ইজি হবে।

২) কেমন লুক ক্রিয়েট করতে চান সেটা ঠিক করুন

Advertisement

তারপর আপনি কোন ধরনের লুক ক্রিয়েট করতে চাইছেন সেটা ঠিক করে ফেলুন। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই সবার মেকআপ লুকের প্রিফারেন্স এক হয় না। যেমন- অনেক ব্রাইড আছেন, যারা ম্যাট মেকআপ লুক পছন্দ করেন। আবার অনেকে ডিউয়ি লুক পছন্দ করেন।

একইভাবে আই মেকআপের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, কেউ কাটক্রিজ আইলুক প্রিফার করেন। আবার কারো পছন্দ বোল্ড গ্লিটারি আইলুক। কেউ কেউ সিম্পল সাজ পছন্দ করেন। যদি নিজের মেকআপ লুকের প্রিফারেন্সটা আগেই ডিসাইড করে ফেলতে পারেন, তাহলে ব্রাইডাল মেকআপ কিট রেডি করার সময় সেই অনুযায়ী প্রোডাক্ট ইনক্লুড করতে পারবেন। অর্থাৎ মেকআপ কিট রেডি করার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

নতুন বউয়ের মেকআপ বক্সে কী কী প্রোডাক্ট থাকবে?

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করার জন্য মেকআপ কিটে কোন প্রোডাক্টগুলো ইনক্লুড করা যেতে পারে সে সম্পর্কে।

১) ফেইস মেকআপ

Advertisement

প্রাইমার

ব্রাইডাল লুকের জন্য পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার বেস্ট অপশন, এতে মেকআপ বেইজ ফ্ললেস দেখাবে। তবে যদি আপনার ড্রাই স্কিন হয়ে থাকে, তাহলে হাইড্রেটিং প্রাইমারও নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন।

কালার কারেক্টর

মেকআপের সময় কালার কারেকশন সব সময় করা না হলেও ব্রাইডাল মেকআপে কালার কারেক্টর ইউজ করা মাস্ট। এক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে, আলাদা আলাদা কালার কারেক্টর না কিনে একবারে একটি প্যালেট কিনে ফেলা। তবে যদি আলাদা কিনতে চান, তাহলে একনে স্পট হাইড করতে গ্রিন আর পিগমেন্টেশন হাইড করতে অরেঞ্জ কারেক্টর ইনক্লুড করুন।

ফাউন্ডেশন

Advertisement

ম্যাট কিংবা ডিউয়ি, ফাউন্ডেশনের যে ফিনিশই প্রিফার করুন না কেন, চেষ্টা করবেন মেকআপ কিটে ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন রাখতে। ফাউন্ডেশনের শেইড ম্যাচ করার ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রথমেই শেইড মিলিয়ে নিন।

কনসিলার

ব্রাইডাল মেকআপ কিটে দু’টো শেইডের কনসিলার অ্যাড করতে হবে। এই কনসিলারগুলোর একটি হবে আপনার স্কিনটোনের, আরেকটি হবে আপনার স্কিনটোনের চেয়ে এক বা দুই শেইড ব্রাইট, যাতে সেই কনসিলার দিয়ে ফেইস হাইলাইটিংয়ের কাজটি করতে পারেন।

লুজ বা কমপ্যাক্ট পাউডার

ফাউন্ডেশন ও কনসিলার সেট করার জন্য দরকার লুজ বা কমপ্যাক্ট পাউডার। কারণ পাউডার অ্যাপ্লাই করলে মেকআপ ভালোভাবে সেট হয়ে যায়, আবার চাইলে রিটাচও করা যায় যখন তখন।

Advertisement

কনট্যুর, ব্লাশ, হাইলাইটার

বিয়ের দিন নিজের ফেইস শেইপ পারফেক্টলি ডিফাইনড দেখাতে কনট্যুরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। কোরাল, পিচ, মভ বা রোজি পিংক টোনের ব্লাশ খুব সুন্দর দেখায়। তাই এই ধরনের কালারগুলোই বেছে নিতে পারেন নিজের স্পেশাল দিনের জন্য। নতুন বউয়ের মেকআপ লুক কমপ্লিট করতে হাইলাইটার না থাকলে কি চলে? একদমই নয়! ব্রাইডদের গোল্ডেন টোনের হাইলাইটার দারুণ মানিয়ে যায়। এমন একটি ফেইস প্যালেট কিনে নিতে পারেন যেটাতে একই সাথে এই কনট্যুর, ব্লাশ, হাইলাইটার শেইডস আছে। অথবা আলাদা আলাদা করেও কিনতে পারেন।

লিপলাইনার ও লিপস্টিক

নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে লাল, মেরুন, ব্রাউন লিপস্টিক না থাকলে কি চলে? আমি জানি, অনেকেই হয়তো রেগুলার বেসিসে লিপলাইনার ইউজ করেন না। তবে ব্রাইডাল মেকআপ কিটে অবশ্যই লিপস্টিকের কালারের সাথে ম্যাচ করে লিপলাইনার রাখুন। বিশেষ করে যদি ডার্ক শেইডের লিপস্টিক হয়, তাহলে লিপলাইনার একদম ম্যান্ডেটরি। শাড়ির সাথে ম্যাচ করে নিজের পছন্দের শেইডের লিপস্টিক ও লিপলাইনার রেখে দিন মেকআপ কিটে!

সেটিং স্প্রে

Advertisement

মেকআপ লুক লং লাস্টিং করতে সেটিং স্প্রে কিন্তু স্কিপ করলে চলবে না। তাই একটি ভালো কোয়ালিটির সেটিং স্প্রে লিস্টে রাখতেই হবে, যাতে লম্বা সময়ের জন্য মেকআপ লুক ক্যারি করতে হলেও মেকআপ সেট হয়ে আছে কিনা এটা নিয়ে ভাবতে না হয়।

২) আই মেকআপ

আইব্রো পমেড

আইব্রো ডিফাইন করা থাকলে তা পুরো মেকআপ লুকটাই ডিফারেন্ট লেভেলে নিয়ে যায়। ব্রাইডদেরকে আমি সাজেস্ট করবো পেন্সিলের বদলে আইব্রো পমেড বেছে নিতে। কারণ এটি দিয়ে আরো সুন্দরভাবে আইব্রো ডিফাইন করা যায়।

আইশ্যাডো প্যালেট

Advertisement

ব্রাইডাল মেকআপ কিটের জন্য আইশ্যাডো হিসেবে এমন কোনো প্যালেট সিলেক্ট করুন, যেখানে ম্যাট ফিনিশের নিউট্রাল, ব্রাউন, পিংক এবং একইসাথে কয়েকটি শিমারি শ্যাডো থাকবে। এই কালারগুলো থাকলে ব্রাইডদের আই মেকআপ করা যায় সহজেই। আর যদি আপনার গ্লিটার বা লিকুইড আইশ্যাডো ভালো লাগে, তাহলে সেটাও কিনতে পারেন।

আইলাইনার, মাশকারা ও কাজল

আই মেকআপের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রোডাক্ট হলো আইলাইনার, মাশকারা ও কাজল। লিকুইড লাইনারের চেয়ে জেল লাইনার বেশি ডিপ ও লং লাস্টিং হয়। তবে স্ম্যাজ প্রুফ ডিপ ব্ল্যাক আইলাইনার দিয়ে সুন্দরভাবে আইলুক ক্রিয়েট করা যায়। মাশকারার ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ মাশকারা বেছে নিন। আর কাজলের ক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে ন্যুড ও ব্ল্যাক দু’টো কালারই ব্রাইডাল মেকআপ কিটে ইনক্লুড করার। স্ম্যাজ প্রুফ, ওয়াটার প্রুফ কাজল সিলেক্ট করুন অবশ্যই।

ফেইক ল্যাশ

নিজের চোখের শেইপ বুঝে তারপর ফেইক আইল্যাশ ব্রাইডাল মেকআপ কিটে ইনক্লুড করুন। স্পেশালি যাদের হুডেড আই, তারা ড্রামাটিক ল্যাশ এড়িয়ে চলুন এবং ন্যাচারাল লুক দেয় এমন ফেইক ল্যাশ সিলেক্ট করুন।

Advertisement

এটুকুই ছিলো ব্রাইডাল মেকআপ কিটের আদ্যোপান্ত। যেহেতু বিয়ের মেকআপ অনেক বেশি স্পেশাল, তাই ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ প্রোডাক্টস পারচেজ করুন। এতে যেমন ফ্ললেস মেকআপ লুক ক্রিয়েট করে সবার প্রশংসা পাবেন, একইসাথে নিজের স্কিনেরও ক্ষতি হবে না।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

ফেইস শেইপ অনুযায়ী বেছে নিন পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল

Published

on

পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল ছাড়া আপনার ওভারঅল লুকটা কিন্তু ইনকমপ্লিট থেকে যায়। নিজের ব্যক্তিত্বকে পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলতে মানানসই হেয়ার স্টাইলিং কিন্তু মাস্ট। আমরা জানি যে, মুখের গড়নের সাথে ঠিকঠাক হেয়ার কাট বা স্টাইল সিলেকশনের একটা সম্পর্ক আছে। কোন বিষয়গুলো মাথায় রেখে নিজের জন্য মানানসই হেয়ার কাট সিলেক্ট করতে হয়, সে বিষয়ে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না! ফেইস শেইপ অনুযায়ী পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল বেছে নেয়াটা কিন্তু বেশ জরুরি। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

মুখের গড়নের সাথে মানানসই হেয়ার স্টাইল

এই বিষয়টি একদমই পারসোনাল চয়েজ। কিন্তু ফেইসের শেইপ অনুযায়ী হেয়ার কাট সিলেক্ট করলে সেটা আপনার ন্যাচারাল বিউটিকে আরও এনহ্যান্স করবে। হালের ফ্যাশনে তাল মেলাতে কিংবা ট্রেন্ডি স্টাইলে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে, যেটাই আপনার করতে ইচ্ছা হোক না কেন; সেটা হওয়া উচিত ফেইস শেইপের সাথে মিলিয়ে! এর জন্য প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ফেইস শেইপ কেমন।

ফেইস শেইপ ও হেয়ার কাট

প্রথমেই আপনার সমস্ত চুল মুখের উপর থেকে সরিয়ে আঁচড়ে বেঁধে নিন। এবার আয়নার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়ান, আর খেয়াল করুন আপনার মুখের আকৃতি কেমন। পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল পাওয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে মানানসই হেয়ার কাট করানো। চুলের ভলিউম এবং লেন্থ কেমন, সেটার উপরও হেয়ার কাট ডিপেন্ড করে। জেনে নিন কোন ধরনের ফেইসে কোন হেয়ার কাট মানাবে।

Advertisement

১. রাউন্ড শেইপের জন্য

গোল শেইপের ফেইসের সাথে মিডিয়াম টু লং লেন্থের হেয়ার সবথেকে ভালো মানায়। এমন হেয়ার কাট সিলেক্ট করুন যাতে মুখের দুই পাশের অংশ কম ফোলা লাগবে। আপনার যদি রাউন্ড শেইপের ফেইস কাটিং হয় তাহলে লং বব কাট, সাইড লেয়ার, ব্যাংস কাট খুব ভালো মানাবে।

২. ওভাল শেইপের জন্য

ওভাল বা ডিম্বাকৃতির ফেইস শেইপে প্রায় সব ধরনের হেয়ার কাট স্যুট করে। আপনার চুল যদি স্ট্রেইট হয়, সেক্ষেত্রে বব কাট, ভলিউম লেয়ার, ফ্রন্ট ব্যাংস বা ফুল লেয়ার কাট দিতে পারেন। আর যদি কার্লি হেয়ার হয়, তাহলে পেছনের দিকে স্টেপ কাট বা ইউ শেইপে চুল ছেঁটে নিতে পারেন।

৩. স্কয়ার শেইপের জন্য

Advertisement

স্কয়ার শেইপের ফেইসে চুল একদম ছোট করে ফেললে মুখ আরও বেশি চওড়া দেখাবে। শোল্ডার লেন্থ যেকোনো কাটের সাথে সাইড ব্যাংস কাট দিন। এটা আপনার জ-লাইনকে ঢেকে দিতে সাহায্য করবে। লং লেয়ার বা ব্লান্ট কাট ইজিলি ক্যারি করতে পারেন, এতে মুখের স্কয়ার ভাবটা কম দেখাবে।

৪. লম্বাটে ফেইস শেইপের জন্য

লম্বাটে মুখ এমনিতেই একটু শুকনো দেখায়, গালে ফোলাভাব থাকে না। সেজন্য হেয়ার কাটিং এমন হতে হবে যাতে করে মুখ কিছুটা ভারী লাগে। এক ছাটের লম্বা চুলে এই ধরনের ফেইস আরও বেশি ফ্ল্যাট লাগবে। সাইড সোয়েপ্ট লং হেয়ার এড়িয়ে চলুন। আপনার চুল শোল্ডার লেন্থে রেখে সাথে লেয়ার বা স্টেপ কাট দিয়ে নিতে পারেন।

এগুলো সাধারণ কিছু গাইডলাইন মাত্র। আপনি যেকোনো হেয়ার কাট-ই ট্রাই করতে পারেন। কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারলে সব কিছুই মানিয়ে যাবে।

হেয়ার স্টাইলিং টিপস

Advertisement

আপনার রুচি ও আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আপনি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটার মাধ্যমে। কোন কোন বিষয় খেয়াল রেখে চুল বাঁধবেন বা আপনার ওভারঅল লুকটাকে কমপ্লিট করবেন, সেটা এখন জেনে নিন। স্টাইলিংটা এমন হওয়া উচিত যেটা আপনার পারসোনালিটিকেও পুরোপুরি কমপ্লিমেন্ট করবে। আপনি কোন প্রফেশনে আছেন, বয়স, আপনার আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই বিবেচনায় রাখবেন।

পারসোনালিটি অনুযায়ী হেয়ার কাট দিয়েছেন

ইউনিভার্সিটি বা অফিসে যাওয়ার জন্য পনিটেল ও ফ্রন্ট পাফ অনেকেই প্রিফার করেন। একটু ক্যাজুয়াল থাকতে চাইলে মেসি বান বা সাইড ব্রেইড করে নিতে পারেন। আবার ছোট চুল থাকলে ছেড়েও রাখতে পারেন। আপনি যেই স্টাইলই পিক করুন না কেন, সেটা যেন আপনার কাজে বাঁধা সৃষ্টি না করে, বরং আপনার নিজস্ব স্টাইল ও ব্যক্তিত্বকে যাতে ফুটিয়ে তোলে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে এটি যেন কমফোর্টেবল হয়! এই ছোটখাটো বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে এলিগেন্ট ও ক্ল্যাসি ওয়েতে আপনি নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবেন।

বিবেচনায় রাখুন আপনার বয়স

হেয়ার সেটিং করার সময় আপনার বয়সকে সবসময়ই প্রাধান্য দিতে হবে। টিনেজের হেয়ার স্টাইলের সাথে মধ্যবয়সী একজনের হেয়ার সেটিং কিছুটা হলেও আলাদা হওয়া উচিত। টিনেজাররা হেয়ার নিয়ে বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট বা ফিউশন স্টাইলিং করতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটু মোডেস্ট লুকে বেশি ক্ল্যাসি লাগে।

Advertisement

পোশাকের সাথে মানানসই হেয়ার স্টাইল

আউটফিটকে কমপ্লিমেন্ট করে এমন হেয়ার মেকওভার সিলেক্ট করতে হবে। শাড়ীর সাথে বা ট্র্যাডিশনাল লুকের সাথে খোঁপা, ব্রেইড হেয়ার স্টাইল খুব ভালো মানায় অথবা চুল স্ট্রেইট করে ছেড়েও রাখতে পারেন। কামিজ ও ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সাথে লুজ কার্ল, সাইড বান, ফ্রেঞ্জ বেনি করতে পারেন কিংবা সুন্দর একটা হেয়ার কাট দেওয়া থাকলে খোলা চুলেই ভালো লাগে দেখতে।

অকেশন বুঝে হেয়ার সেটিং

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কোন অকেশনের জন্য আপনি হেয়ার স্টাইলিং করছেন, সেটাও বিবেচনায় রাখুন। কোনো গ্ল্যামারাস পার্টি হলে হেয়ার ড্রেসিংয়ে আপনি আপনার লুকে ইনোভেশন বা বৈচিত্র্য আনতে পারেন। আপনার যদি স্টেইট হেয়ার হয়, তাহলে কার্ল করে নিয়ে স্টাইলিং করুন আর যদি এমনিতেই আপনার চুল কোঁকড়া হয়, তাহলে স্টেইটনার দিয়ে একটু টেনে নিন, চটজলদি লুকে একটা চেঞ্জ চলে আসবে।

ফ্রন্ট হেয়ার কীভাবে সেট করবেন?  

Advertisement

ফ্রন্ট হেয়ার সেটিং কিন্তু খুবই ইম্পরট্যান্ট। সময় কম থাকলে পাফ করে নিয়ে ছেড়ে রাখুন বা ব্লো ড্রাই করে নিন। নানা ধরনের স্টাইলিশ হেয়ার ব্যান্ড বা অ্যাকসেসরিজ দিয়েও চুলের সাজে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। তবে ফেইস শেইপ অনুযায়ী ফ্রন্ট হেয়ার সেট করুন। যেমন রাউন্ড শেইপের ফেইস হলে সামনের চুল পাফ করে বাঁধলে, এতে মুখ আরও গোল লাগবে। সেক্ষেত্রে জাস্ট এক সাইডে সিঁথি করে চিরুনি দিয়ে সামনের চুল সেট করে নিতে পারেন, অপরদিকে টুইস্ট করে ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে নিলে বেশ ভালো লাগবে। কপাল ছোট হলে ফ্রন্ট পাফ করতে পারেন, কপাল যদি চওড়া হয় তবে ব্যাংস কাট দিয়ে চুল খোলা রাখুন। এতে কপালের কিছু অংশ ঢেকে থাকবে, তার দেখতেও ভালো লাগবে।

তাহলে জেনে নিলেন, ফেইস শেইপ অনুযায়ী পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল নিয়ে দারুণ কিছু টিপস! যেকোনো স্টাইলই ট্রাই করতে পারেন, কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারলে তাতেই আপনাকে লাগবে গর্জিয়াস। আর অন্যদের কাছেও হয়ে উঠবেন ফ্যাশন আইকন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত