Connect with us

ক্রিকেট

কোহলি-রোহিত ওপেনিং জুটি চান পন্টিং

Avatar of author

Published

on

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভিরাট কোহলির থাকা উচিত, নাকি না? এমন এক প্রশ্ন উত্থাপিত হতে থাকে ইদানীং। কোহলিকে নিয়ে যে আপত্তি অন্যরা করেন, তা সাধারণত স্ট্রাইক-রেট বিষয়ক। আধুনিক বিশ ওভারের ম্যাচে সাধারণত যে ধরনের দাবি থাকে- সেখানে কোহলি কিছুটা ব্রাত্য কি না, এমন আলাপ দিতে চান অনেকেই। তবে এসব অনেকটা উড়িয়ে দিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং।

টপ অর্ডারের ব্যাটাররা এখন ‘পাওয়ার ক্রিকেট’ খেলে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এবারের আইপিএলে এর পরিমাণ দেখা গেছে আরো বেশি। অবশ্য আইপিএলে এখন পর্যন্ত শীর্ষ রান সংগ্রহকারী ব্যাটার কোহলি। তিনি ১৪ ইনিংস ব্যাট করে ৭০৮ রান সংগ্রহ করেছেন।

আইসিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেন, “৩-৪ বছর আগে একটা দলের জন্য মন্ত্র ছিল এমন যে, টপ অর্ডারে কেউ ৮০ বা ১০০ করবে, যদি এটা ৬০ বলও দরকার পড়ে- অসুবিধা নেই। তবে এখন এটা বদলে গেছে কিছুটা, অনেকটা স্ট্রাইকরেট নির্ভর খেলা হয়ে গেছে। যেখানে আপনি ১৫ বলে ৪০ রান করে বিশাল প্রভাব রাখতে পারেন, ৫৫ বলে ৮০ রান করার বিপরীতে।”

ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বাঁহাতি ব্যাটারের সংকট রয়েছে। যে চিন্তা থেকে রোহিত শর্মার সাথে ওপেনার হিসেবে যসশ্বী জাইসাওয়ালকে দেখা যাবে বলে অনেকে ভাবেন। তবে পন্টিং মনে করেন, এখানে কোহলিকে চিন্তা করবে ম্যানেজমেন্ট এবং এই সাবেক ক্রিকেটার নিজেও তাই চান।

“তাদের জাইসাওয়ালকে নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কিন্তু আমার অনেকটাই মনে হয়, তারা কোহলি ও রোহিতকেই ভাবছে (ওপেনার হিসেবে)।”

Advertisement

পন্টিং কোহলিকে নিয়ে আরো বলেন, “ভিরাটের ব্যাপারে এটা বেশ মজার। আমার মনে হয় ভারতের মানুষেরা, সবসময় একটা কারন খোঁজে তাকে না নেওয়ার অথবা এমন হয়তো যে টি-টোয়েন্টি খেলায় অনেকের চেয়ে সে ভালো না।”

 

এম/এইচ

Advertisement

ক্রিকেট

বড় হারে সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

Published

on

সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচেও পরাজয়ের গ্লানি নিতে হলো বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়ার পর এবার ভারতের বিপক্ষে হারতে হয়েছে তাদের। প্রতিপক্ষের দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানে।

ভারতের বিপক্ষে এই হারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টিকে থাকার স্বপ্ন শেষ হলো টাইগারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাকি থাকা একটি ম্যাচের ফল আর তেমন কোনো ব্যবধান রাখবে না বাংলাদেশের সমীকরণে।

স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় তারা। আর ভারত সেই সুযোগে বড় লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দেয় বাংলাদেশের সামনে। রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস কিছুটা থিতু হয়ে বাউন্ডারি বের করার চেষ্টায় ছিলেন।

লিটনও হাত খুলে শট খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে দলীয় ৩৫ রানে, হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও বড় শট খেলতে গিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ১০ বলে ১৩ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার।

তানজিদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত তখন ক্রিজে। তবে খেলছিলেন অনেকটা ধীরলয়ে। কুলদীপ যাদবের শিকার হয়ে তানজিদ ফিরেছেন ৩১ বলে ২৯ রান করে।

Advertisement

মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা কোনো সহায়তা করতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলীরা হতাশ করেছেন। অধিনায়ক শান্ত ফিরেছেন জাসপ্রীত বুমরাহর শিকার হয়ে ৩২ বলে ৪০ রান করে।

শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ব্যাটিং দেখে কিছুটা হয়তো উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের মুখ। এই ব্যাটার ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১০ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ধুঁকে ধুঁকেই হেরেছে এই ম্যাচ।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ মারমুখী দেখা যায় ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলিকে। এরপর একে একে বাকি ব্যাটাররাও দাপট দেখিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। পাওয়ারপ্লেতে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি ছাড়িয়ে যেতে থাকে রোহিত ও কোহলির শট।

প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করতে সক্ষম হয় ভারত। রোহিতের উইকেটে কিছুটা স্থিরতা এসেছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় ওপেনার ফিরেছেন ১১ বলে ২৩ রান করে। তবে একপ্রান্তে কোহলি ঠিকই ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন।
বাংলাদেশ দল শেখ মেহেদী হাসানকে বোলিংয়ে এনে ওভার শুরু করে। এর পরের ওভার দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানকে। কিছুটা অবাক করেছে এই সিদ্ধান্ত।

সে যাইহোক, কোহলির উইকেট বগলদাবা করতে সক্ষম হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। পরের ডেলিভারিতে সূর্যকুমার যাদবের কাছে ছক্কা খাওয়ার পর, এর পরের বলেই দারুণ এক এক্সট্রা বাউন্সে সূর্যকুমারকে ফিরিয়েছেন তানজিম।

Advertisement

তবে ততক্ষণে রিশাব পান্ট নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছেন। থিতু হয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এই ব্যাটার। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। পান্টকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। আগ্রাসী হয়ে ওঠা পান্ট রিভার্স করে শট খেলতে যান, আর তাতে শর্ট থার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন। পান্টের ব্যাটে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান।

এরপর আবার কিছুটা ধীর হয় ভারতের রান। তবে তা বেশিক্ষণ থাকেনি। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে মিলে ফুঁসে উঠতে থাকেন। দুবে নিজের হাত খুলে ওভার বাউন্ডারি খেলছিলেন, রিশাদের ডেলিভারিতেই একটি ছক্কা হাঁকান, তার পরের বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার।

৩ ছক্কায় দুবে ফিরেছেন ২৪ বলে ৩৪ রান করে।

বাকি কাজটুকু হার্দিক পান্ডিয়া একাই করেছেন, ফিরেছেন ফিফটি করে। নিজের জাত আরেকবার চিনিয়ে দিলেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি করে ফিফটি পূর্ণ করেন। মাঠ ছেড়েছেন ২৭ বলে ৫০ রান করে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

ফুঁসে ওঠা ভারত থামলো ১৯৬ রানে

Published

on

সুপার এইটের ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে উইকেট ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে তারা। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ মারমুখী দেখা যায় ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলিকে। এরপর একে একে বাকি ব্যাটাররাও দাপট দেখিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর।

পাওয়ারপ্লেতে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি ছাড়িয়ে যেতে থাকে রোহিত ও কোহলির শট। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করতে সক্ষম হয় ভারত। রোহিতের উইকেটে কিছুটা স্থিরতা এসেছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় ওপেনার ফিরেছেন ১১ বলে ২৩ রান করে। তবে একপ্রান্তে কোহলি ঠিকই ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন।

বাংলাদেশ দল শেখ মেহেদী হাসানকে বোলিংয়ে এনে ওভার শুরু করে। এর পরের ওভার দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানকে। কিছুটা অবাক করেছে এই সিদ্ধান্ত। সে যাইহোক, কোহলির উইকেট বগলদাবা করতে সক্ষম হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। পরের ডেলিভারিতে সূর্যকুমার যাদবের কাছে ছক্কা খাওয়ার পর, এর পরের বলেই দারুণ এক এক্সট্রা বাউন্সে সূর্যকুমারকে ফিরিয়েছেন তানজিম।

তবে ততক্ষণে রিশাব পান্ট নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছেন। থিতু হয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এই ব্যাটার। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। পান্টকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। আগ্রাসী হয়ে ওঠা পান্ট রিভার্স করে শট খেলতে যান, আর তাতে শর্ট থার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন। পান্টের ব্যাটে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান।

এরপর আবার কিছুটা ধীর হয় ভারতের রান। তবে তা বেশিক্ষণ থাকেনি। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে মিলে ফুঁসে উঠতে থাকেন। দুবে নিজের হাত খুলে ওভার বাউন্ডারি খেলছিলেন, রিশাদের ডেলিভারিতেই একটি ছক্কা হাঁকান, তার পরের বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার।

Advertisement

৩ ছক্কায় দুবে ফিরেছেন ২৪ বলে ৩৪ রান করে।

বাকি কাজটুকু হার্দিক পান্ডিয়া একাই করেছেন, ফিরেছেন ফিফটি করে। নিজের জাত আরেকবার চিনিয়ে দিলেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি করে ফিফটি পূর্ণ করেন। মাঠ ছেড়েছেন ২৭ বলে ৫০ রান করে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পাওয়ারপ্লেতে উড়ন্ত শুরু ভারতের

Published

on

সুপার এইটের ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ মারমুখী দেখা যায় ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলিকে। পাওয়ারপ্লেতে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি ছাড়িয়ে যেতে থাকে তাদের শট। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করতে সক্ষম হয় ভারত।

বাংলাদেশ দল স্পিনার দিয়ে ওভার শুরু করে। শেখ মেহেদী হাসানের প্রথম ওভারে আসে ৮ রান। পরের ওভার করতে আসেন সাকিব আল হাসান। এই ওভারে চার ও ছক্কা খেয়ে ১৫ রান আসে। তৃতীয় ওভারে পেসার আনা হয়। তানজিম সাকিবের সেই ওভারে একটি বাউন্ডারির ফলে ৬ রানের বেশি আসেনি।

সাকিব আবারও পরের ওভার করতে আসেন। রোহিতের ব্যাটে ছক্কা ও চার খাওয়ার পর উইকেটটিও বগলদাবা করতে সক্ষম হন তিনি। এই ব্যাটার ফেরেন ১১ বলে ২৩ রান করে। মেহেদীর পঞ্চম ওভার এবং মোস্তাফিজুর রহমানের ষষ্ঠ ওভারে কিছুটা রান আটকানো সম্ভব হয়।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত