Connect with us

অপরাধ

এমপি আজীমকে বহনকারী লাল রঙের গাড়ি জব্দ

Avatar of author

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে বহনকারী একটি লাল রঙের গাড়ি জব্দ করেছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার (২২ মে) গাড়িটি পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউন থানার সামনে রাখা হয়। নম্বর- ডব্লিউবি 18AA5473।

পুলিশ জানায়, এই গাড়িটি নিয়ে আনোয়ারুল আজীম আনার নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে আর কে ছিল তার খোঁজ করছে পুলিশ। মালিক ভাড়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন গাড়িটি। এ ঘটনায় গাড়ির মালিককেও আটক করে নিউটাউন থানায় আটক করা হয়েছি।

এ বিষয়ে রাতেই গুরুত্বপূর্ণ নানা নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম। কলকাতা পুলিশ জানায়, এই লাল রঙের গাড়িতে একাধিক মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে। এছাড়া গাড়ির ভেতরের বেশকিছু ফটোগ্রাফিসহ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব আলামত থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে জানায় পুলিশ।

গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য। এরপর ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সংসদ সদস্যের পরিচিত ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর আনোয়ারুল আজীম আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। বুধবার কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যার তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ।

টিআর/

Advertisement
Advertisement

অপরাধ

মতিউর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক-বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

Published

on

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের আটটি ব্যাংক হিসাব ও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শেয়ার বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।

চিঠিতে যাদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফান।

এতে, আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এলে তাকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের প‌রিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আজীম হত্যার ফুটেজ থাকায় মোবাইল ফেলে দেয় বাবু : হারুন

Published

on

ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর পরামর্শে গ্যাস বাবু তার মোবাইল নালায় ফেলে দেয়। এসব মোবাইলে এমপি আনার হত্যার আগে-পরের বিভিন্ন টেক্সট ও ফুটেজ আছে। বললেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোদের ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান।

ডিবি প্রধান জানান, এমপি আজীম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু তার তিনটি মোবাইল নালায় ফেলে দিয়েছেন। তাই আলামত উদ্ধারে গ্যাস বাবুকে নিয়ে অভিযান চালানো হবে।

তিনি জানান, এমপি আনার হত্যায় আরও অন্তত ৭ জন গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে । তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে গেলো ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

সন্ধান মিলেছে বেনজীরের ৭ পাসপোর্টের

Published

on

বেনজীর

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নামে সাতটি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে কয়েকটি পাসপোর্টের নম্বর হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও 800002095। এছাড়া, তার আরও দুইটি পাসপোর্ট রয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, তার পাসপোর্টগুলো যাচাই-বাছাই করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দুইজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও দুইজন পরিচালকসহ ১৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি টিম।

সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার পুলিশ পরিচয় পাসপোর্টে আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সে সময় তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেওয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে। তবে, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এসব ম্যানেজ করেন। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধা।

Advertisement

এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, গেলো ২০ জুন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবার ২৩ ও ২৪ জুন দুদকে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

বিভিন্ন সূত্রে তথ্যানুসারে, বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি। অন্যদিকে, বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে গেলো ৬ জুন ও স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি বা তারা দেশে নেই। যদিও দুদক থেকে তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।

গেলো ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

Advertisement

বিভিন্ন সূত্রে জানায়, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের জব্দ জমি বিক্রি, হস্তান্তর বন্ধে আদালতের আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জমি অন্য কারোর নামে যাতে নামজারি না করা হয়, সেজন্য আদালতের রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিসে পাঠানো হয়। এছাড়া, কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর বন্ধে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে আদালতের ওই আদেশ পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকে জমা থাকা টাকা উত্তোলন বন্ধে অবরুদ্ধের আদেশ সোনালী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যাংকে পাঠানো হয়।

গেলো ২৩ মে আদালতের আদেশে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। অন্যদিকে গেলো ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। গেলো ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।

এরই ধারবাহিকতায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ কার্যকর চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

দুদক গেলো ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত