টুকিটাকি
১৬ বছরের কিশোরের প্রেমে পাগল ২৫ বছরের যুবতী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/যুবতী.jpg)
যুবতীর বয়স ২৫ বছর। ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরের বাড়িতে ওই যুবতী জোর করে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। তার দাবি তাকে বিয়ে করতে হবে। আসলে মাস কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ব্লক করে দিয়েছিল ওই কিশোর। তারপর থেকেই ওই তরুণী রেগে যান। এরপর তিনি কার্যত বেপরোয়া হয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে চলে যান।
কথায় বলে প্রেম অন্ধ। বয়স মানে না। যা আরও একবার প্রমাণ হলো ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায়। ১৬ বছরের এক কিশোরের প্রেমে পাগল ২৫ বছরের যুবতী। শুধু তাই নয়, ওই নাবালকের সঙ্গে লিভ ইন করবেন বলে জেদ ধরে বসেন যুবতী। এমনকী হুমকি দেন, নাবালকের সঙ্গে থাকতে না দিলে আত্মহত্যা করবেন। ওই যুবতীর নাছোড়বান্দা আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশও।
জানা গেছে, ওই যুবতী মিরুটের বাসিন্দা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয় ওই নাবালকের সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব, তার পর অসমবয়সী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। সেই ভালোবাসার টানেই যুবতী সটান হাজির হন শামলিতে নাবালকের বাড়িতে। ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, ওই যুবতী বেশ কয়েকদিন তাদের বাড়িতে থাকেন। তার পর তাকে চলে যেতে বললে বেঁকে বসেন। জেদ ধরেন তিনি এখানেই লিভ ইন করবেন ওই নাবালকের সঙ্গে। যদি তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ছেলেটির বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা প্রথমে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মেটাতে না পেরে তারা জেলা শাসকেরও দ্বারস্থ হন।
ওই কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, আমার ছেলে পড়াশোনা জানে না। কোনও কাজকর্মও করে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ছেলের। আর এখন সেই মহিলা এসে হাজির হয়েছেন আমার বাড়িতে। এখন তিনি বলছেন বাড়ি থেকে বের করে দিলেই আত্মহত্যা করব।
এদিকে গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পুলিশ প্রশাসন। ওই মহিলাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই মহিলাকে তার বাড়ির লোকজনও ফিরিয়ে নিতে চাননি। কারণ তিনি বদনাম করে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি আর ফিরতে চাননি তার বাড়িতে। এরপর তিনি ফের ফিরে আসেন। আপাতত ঠিক করা হচ্ছে এভাবে তার বাড়ির লোকজন যদি নিতে না চান তবে তাকে কোনও সেল্টার হোমে পাঠানো হবে।
এদিকে ওই মহিলার পরিবারের লোকজন হকারি করেন। মীরাটেরও বাসিন্দা তারা। কিন্তু এভাবে বার বার ওই নাবালকের কাছে চলে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশও পড়ে গেছে মহা আতান্তরে।
জেএইচ
টুকিটাকি
‘স্ত্রী’র দেহ পুড়িয়ে আসার পর তাকে খুঁজে পেলেন স্বামী!
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/দেহ-1.jpg)
বাপের বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু চার দিন পরেও স্বামীর কাছে ফেরেননি তিনি। পরে পুলিশের কাছে স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ স্বামী। এরপর অজ্ঞাত মরদেহের সন্ধান পেয়ে শনাক্তকরণের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাকে। পরে এটি নিজের স্ত্রীর দেহ বলে শনাক্ত করে শবদাহের কাজও সম্পন্ন করেন ৬০ বছরের এই বৃদ্ধ। কিন্তু কিছু দিন পর স্ত্রীর খোঁজ পান তিনি। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাঁশগাও এলাকায় ঘটেছে। বৃদ্ধের নাম রাম সুমের। তার স্ত্রীর নাম ফুলমতী।
পুলিশ জানায়, বাপের বাড়ি যাবেন বলে ১৫ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ফুলমতী। চার দিন কেটে যাওয়ার পরেও আর ফেরেননি তিনি। স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন ভেবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রাম। ১৯ জুন উরুভা বাজার এলাকা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রামকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়া হয়। দেহ শনাক্তকরণের পর রাম জানিয়েছিলেন, সেই মহিলা তারই স্ত্রী। দেরি না করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়। রিপোর্টে জানা যায়, গলা টিপে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
শবদাহের কাজ সম্পন্ন হলেও তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকে পুলিশ। তদন্তে নেমে ফুলমতীর ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে যে, ফুলমতী এখনও জীবিত রয়েছেন। গোরক্ষপুর থেকে ৬শ’ কিলোমিটার দূরে ঝাঁসিতে রয়েছেন তিনি। পুলিশের দাবি, শুভম নামে এক জনের সঙ্গে বার বার ফোনে কথাও হয়েছে ফুলমতীর। সুলতানপুরের বাসিন্দা শুভমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ফুলমতীর ঠিকানা জানতে পারে। শুভমের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে ফুলমতীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ফুলমতীর সঙ্গে শুভমের কী সম্পর্ক, যে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার আসল পরিচয় কী- এ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/পুলিশ-1.jpg)
ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) কৃপাশঙ্কর কানৌজিয়াকে কনস্টেবল পদে পদাবনতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একটি হোটেলে এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরাপড়ার তিন বছর পর তাকে এই ‘শাস্তি’ দেয়া হলো।
কৃপাশঙ্কর আগে উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের বিঘাপুরের সার্কেল অফিসার (সিও) পদে ছিলেন। এখন তাকে পদাবনতি দিয়ে রাজ্যের গোরখপুরের ২৬তম প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে। পারিবারিক কারণে কৃপাশঙ্কর ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি নিয়ে তিনি বাড়ি যাননি। পরে তিনি ‘নিখোঁজ’ হন। পরে জানা গেলো- গিয়েছিলেন রাজ্যের কানপুরের একটি হোটেলে। হোটেলে তার সঙ্গে ছিলেন এক নারী কনস্টেবল।
সামাজিকমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৬ জুলাই উন্নাওয়ের তৎকালীন সার্কল অফিসার পদে কর্মরত কৃপাশঙ্কর পারিবারিক কারণ দেখিয়ে এসপির কাছে ছুটির আবেদন করেন। ছুটি মঞ্জুরও হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পরিবর্তে তিনি এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে কানপুরের একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। হোটেলে পৌঁছেই ফোন সুইচ অফ করে দেন তিনি।
অন্য দিকে, স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে কৃপাশঙ্করের স্ত্রী এসপির দ্বারস্থ হন। এর পর কৃপাশঙ্করের মোবাইল নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে কানপুর পৌঁছয় পুলিশ। কানপুরের ওই হোটেলে গিয়ে তার এবং ওই মহিলা কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যায়। প্রকাশ্যে আসে কৃপাশঙ্করের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। সেই সময়ই লখনউ রেঞ্জের তৎকালীন আইজিপি কৃপাশঙ্করের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তিন বছর পর সেই ঘটনার জেরেই পদাবনতি হল তার।
জেএইচ
টুকিটাকি
আইসক্রিমে মানুষের কাটা আঙুল! খেতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন যুবতী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আইসক্রিম.jpg)
হাঁসফাঁস গরমে প্রাণওষ্ঠাগত অবস্থা। তাই গরমের দিনে সাধ করে একটি দোকান থেকে আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন মুম্বাইয়ের এক যুবতী। অনলাইনে তিনটি আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু আইসক্রিমের মোড়ক খুললেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তার। আইসক্রিমের কোনের মধ্যে যে কাটা একটা আঙুল! কোনওমতে নিজেকে সামলে মালাড থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।
ঘটনাটি ভারতের মুম্বাইয়ের মলাড এলাকার। সেখানকার বাসিন্দা ২৬ বছরের ব্রেন্ডন ফেরাও। তিনি পেশায় চিকিৎসক।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে জনপ্রিয় সংস্থার আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন তিনি। একটি খেতে খেতে মাঝপথে গিয়ে মুখে শক্ত কিছু বাঁধে।
তিনি জানান, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, আইসক্রিমের ভেতর বড় কোনও বাদাম রয়েছে হয়তো। সেটাই তার মুখে লেগেছে। কিন্তু কাছ থেকে দেখতে গিয়ে তিনি আঁতকে ওঠেন। দেখেন, তার ভেতরে রয়েছে মানুষের নখ। তার পর বুঝতে পারেন, আস্ত একটি কাটা আঙুল আইসক্রিমের ভেতরে রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পেশায় চিকিৎসক ওই যুবতী পশ্চিম মালাডের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে তিনি একটি স্থানীয় দোকান থেকে এক নামী কোম্পানির আইসক্রিম কোন অর্ডার করেছিলেন অনলাইনে। কিন্তু যেই এক কামড় বসাতে যাবেন তখনই দেখেন আইসক্রিমের মধ্যে নখ সমেত একটি কাটা আঙুল। সেটির ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
তার পরই ওই যুবতী মালাড থানায় গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, এখনও ওই কোম্পানির তরফে কিছু জানানো হয়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই কাণ্ডে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। বাইরে থেকে খাবার অর্ডার ক্ষেত্রে সাবধান থাকার কথা বলেছেন অনেকে।
জেএইচ
- বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ6 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
- বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
- টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
- বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
- অপরাধ19 hours ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা