শিক্ষা
পেনশনের আওতায় আসছে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সব ঠিক থাকলে বেসরকারি শিক্ষকরাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন পাবেন। ফলে বিদ্যমান অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পেনশনের আওতায় আনতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সূত্র জানায়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রতিনিধি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত এই কমিটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে কমিটি।
তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, গেলো এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গেলো ৬ মে বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।
কমিটি আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি করা হয়েছে। আজ প্রথম বৈঠকে বসছি। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেয়ার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুলকলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান না। পুরো চাকরি জীবনে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বেতন থেকে ১০ শতাংশ (আগে ৬ শতাংশ ছিল) জমা রাখেন। এর মধ্যে অবসর বোর্ড কাটে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ ট্রাস্ট কাটে ৪ শতাংশ। সেই আসল টাকা ও লাভের অংশের সঙ্গে সরকার কিছু টাকা প্রদান করে। অবসরে পর সেই টাকা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু টাকা উত্তোলনে শিক্ষকদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক শিক্ষক এই টাকার অপেক্ষায় মারা যান। কিন্তু শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনলে এই দুটি বোর্ড বাতিল হয়ে যাবে।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পেয়ে আসছে আর ২০০৫ সাল থেকে শুরু অবসর সুবিধা। এই দুই ফান্ড থেকে শিক্ষকরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কল্যাণ ট্রাস্টে বছরে গড়ে আবেদন পড়ে ১৬ হাজার ৮০০ থেকে ১৭ হাজার, যা নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ৭২০ কোটি টাকা। আর অবসর সুবিধা বোর্ডে বছরে ১০ হাজার ৮০০টি আবেদন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ১,৩২০ কোটি টাকা। দুই খাতে প্রতিবছর ৫৭০ কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। দুই বোর্ডে প্রায় ৬৭ হাজার পেন্ডিং আবেদন নিষ্পত্তি করতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
কেএস/
শিক্ষা
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে, একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সরকারি চাকরিতে একবার কোটা সুবিধা ভোগ করতে পারবে, অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এসি//
শিক্ষা
দ্বিতীয় দিনেও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত-উপাদানকল্প ১৯৮ কলেজের শিক্ষার্থী ও সেবাপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া।
এ শিক্ষক নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম কোনোভাবেই প্রত্যাশার বিষয় নয়। কখনো কোনো আইন এভাবে কেউ পাস করে? কৌশলে রাতারাতি একটি আইন তৈরি করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য না।
এদিকে চলমান এ আন্দোলনে বিপাকে পড়েছে ঢাবিতে আসা সেবা প্রত্যাশিরা।
মেহেদী হাসান বাপ্পি নামে ঢাকা কলেজের এক ছাত্র জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য এসেছেন। তাদের ফরম ফিলআপের ডেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্ত এখানে এসে দেখেন তালা মারা সবরুমে।
আসলাম হোসেন নামে আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, আজকেসহ তিনদিন এসে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তবুও সনদ তুলতে পারেননি। তাঁর ৪ জুলাই ভাইভা রয়েছে চাকরির,তাঁর সনদ খুবই প্রয়োজন। খুব বিপদে আছি।
এমন পরিস্থিতিতে অন্তত মার্কশিট, সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট শাখা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশিরা।
আই/এ
শিক্ষা
বৃষ্টি-বন্যার মাঝেই বুধবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
ফুরিয়ে এসেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টানা ২০ দিনের ছুটি। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন এ লম্বা ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল বুধবার (০৩ জুলাই) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে চলছে ভরা বর্ষা, মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। তবে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ছুটি আর বাড়ানোর চিন্তা নেই বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
উল্লেখ্য, গেলো ১৩ জুন শুরু হয় চলতি বছরের ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে আজ ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামীকাল ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে। এর আগে শিখন ঘাটতি পোষাতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গেলো ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হয়েছে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবারের পাশাপাশি এখন থেকে শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এসি//
- পর্যটন7 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম6 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড6 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ7 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- ক্রিকেট6 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
- অপরাধ5 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- বলিউড7 days ago
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা খান
- রংপুর6 days ago
স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন, গ্রেপ্তার ২