Connect with us

বাংলাদেশ

ফিল্মফেয়ার থেকে মনোয়ন বাতিল হলো কঙ্গনার

Published

on

ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিল্মফেয়ার। সেই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাইত। আর এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তার মনোনয়ন বাতিল করেছে ফিল্মফেয়ার ।

ফিল্মফেয়ার তাদের অফিসিয়াল সাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে কঙ্গনারে করা অযৌক্তিক অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিল্মফেয়ারে আজকে মিসেস কঙ্গনা রানাউতের অযৌক্তিক বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হওয়া আমাদের যন্ত্রণাদায়ক। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ও ফিল্মফেয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম যা নিরপেক্ষভাবে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিভাবনদের সম্মানিত করে। 

‘এটি আমাদের দৃঢ় নৈতিকতা, যা আমাদের দর্শকদের এবং চলচ্চিত্র শিল্পের আস্থা অর্জনে সাহায্য করেছে। পুরস্কারের সময় প্রথা অনুযায়ী, ফিল্মফেয়ারের নির্বাহী সম্পাদক সেরা অভিনেতার জন্য মনোনীত করার বিষয়ে  মিসেস রানাউতকে জানান এবং আমন্ত্রণ পাঠানোর জন্য তার ঠিকানা চেয়েছিলেন।’

এরপর কঙ্গনাকে পাঠানো সেই বার্তাও বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘হ্যালো কঙ্গনা। ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনি এখানে আসলে আমরা খুশি হব। ৩০ আগস্ট হতে যাওয়া জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশনে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আপনি আসবেন কি না তা দয়া করে নিশ্চিত করুন। যা আপনার জন্য আসন নির্দিষ্ট করতে আমাদের সাহায্য করবে। আপনার বাড়ির বর্তমান ঠিকানাও আমাদের পাঠান যাতে আমরা আপনার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে পারি। শুভেচ্ছা।’

Advertisement

সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, ‘কোনো সময়ই তাকে পুরস্কার দেয়া হবে এমন কোনো ইঙ্গিত বা ইভেন্টে পারফর্ম জন্য অনুরোধ করা হয়নি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি স্পষ্টভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তার কাছে আমাদের আমন্ত্রণ ছিল এ জাতিকে একত্রিত করা। অর্থাৎ ভারতীয় সিনেমার সম্মিলিত উদযাপনে সবাইকে একত্রিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার হল সিনেমাগত শ্রেষ্ঠত্বের উদযাপন এবং পুরস্কৃত করা হয়। একজন মনোনীত ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন কি না বা পারফর্ম করবেন কিনা, তা দেখা হয় না।

‘আরও বলে রাখা ভালো, মিস রানাওয়াত যিনি ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন, এরমধ্যে দুইবার (২০১৪ ও ২০১৫ সাল) উপস্থিত না থেকেই পেয়েছেন। এটা জানা সত্ত্বেও তিনি আসবেন না বা পারফর্ম করবেন না এখানে। ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার সম্পর্কে মিসেস রানাউত যে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন, আমরা ‘থালাইভি’ সিনেমার জন্য তার সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করছি।’

সেই সঙ্গে কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, ‘আমরা তার বিদ্বেষপূর্ণ এবং মানহানিকর বিবৃতিগুলোর বিরুদ্ধে এবং আমাদের খ্যাতি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করায় যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সব অধিকার সংরক্ষণ করি।’

এর আগে গেলো রোববার (২২ আগস্ট) ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লেখেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমি ফিল্মফেয়ারের মতো অনৈতিক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতমূলক সংস্থাকে ব্যান করেছি। কিন্তু আমার কাছে ওদের অ্যাওয়ার্ড শোতে অংশ নেয়ার জন্য ক্রমাগত ফোন আসছে। এ বছর ওরা আমাকে থালাইভির জন্য পুরস্কার দিতে চায়। ওরা যে আমাকে এখনও মনোনয়ন দেয় সেটা জেনে অবাক হলাম। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে প্রশ্রয় দেয়াটা এটা আমার মর্যাদা ও নীতিবিরুদ্ধ। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফিল্মফেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করব।’

Advertisement

এসি

Advertisement

জাতীয়

হটলাইনে কল পেয়ে ৯৪ স্থানে পানি অপসারণ করলো ডিএনসিসি

Published

on

হটলাইনে কলের সূত্র ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর ৯৪টি স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া

সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে অতি ভারী বর্ষণে ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে মোট ১০০জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-তে প্রাপ্ত কলের সূত্র ধরে ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র গণমাধ্যমে বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এত ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসির পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পাশাপাশি কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। হটলাইন নম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের ৩ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ে ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১০০টিরও বেশি আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপরাশেনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে গেলো রোববার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা ওই সেলের আইএসপি অপারেটরদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গাছপালা ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ১০০ এর অধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আইএসপি অপারেটরদের প্রায় ৩২০টি ইন্টারনেট গেটওয়ে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) রয়েছে। ঝড়ের কারণে বর্তমানে প্রায় ২২৫টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ আইএসপি গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

Advertisement

তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত