Connect with us

বরিশাল

আবাসিক হোটেলে মিলল সাবেক বন কর্মকর্তার নিথর দেহ

Avatar of author

Published

on

মরদেহ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এক আবাসিক হোটেল থেকে একজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম শফিকুর রহমান। তিনি সাবেক বন কর্মকর্তা ছিলেন।

বুধবার (১২ জুন) কলাপাড়ার আলীপুরের ‘ভাই ভাই হোটেল’ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শফিকুর চাঁদপুরের চান্দরা পাটোয়ারী বাড়ি এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি হোটেলের ১১ নম্বর রুমে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য তাকে ডাকাডাকি করা হলে রুমের ভেতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় হোটেলের জানালা দিয়ে তার মরদেহ খাটের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, হোটেলে এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমরা এখন ক্রাইমসিনের সদস্যদের জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের কাজ শেষ হলে, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

Advertisement

বরিশাল

ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মায়েরও

Published

on

বরগুনায়-সড়ক দুর্ঘটনা

অ্যাম্বুলেন্সে ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন পুষ্প বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা। এ ছাড়া দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার (৩৫) নিহত ও অপর আরোহী হাসান মিয়া (৪০) আহত হয়েছেন।

রোববার (৩০ জুন) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ডাক্তার বাড়ি নামক এলাকায় কুয়াকাটা-পটুয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন গণ্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার। শনিবার (২৯ জুন) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছেলের লাশ নিয়ে মা পুষ্প বেগম রোববার সকালে গ্রামের বাড়ি নিশানবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুষ্প বেগমের লাশ উদ্ধার করেন। তিনটি লাশকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

নিহত পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নের লাশ নিয়ে বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মোটরসাইকেল ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আমার বোন মারা গেছেন। বোনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া আমার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।

Advertisement

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুটি মরদেহসহ তিনটি মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

হাসপাতালের মেঝে পরিষ্কার করায় রোগীর মেয়েকে মারলেন আয়া

Published

on

হাসপাতালের মেঝে পরিষ্কার করায় আয়া কর্তৃক এক রোগীর মেয়েকে টয়লেটে আটকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার ওই ছাত্রী ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার কৈখালী এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি ব্রজমোহন কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম)  হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তাঁর মায়ের জ্বর বেড়ে যাওয়ায় পানি এনে তার মাথায় ঢাকার সময় কিছু পানি মেঝেতে পড়ে যায়। তখন টয়লেট থেকে ফ্লোর পরিষ্কার করার ন্যাকড়া এনে পরিষ্কার করে আবার টয়লেটে রেখে আসেন তিনি। ফেরার পথে ওয়ার্ডের আয়া হ্যাপির সঙ্গে দেখা হয়।

তিনি জানতে চান, ন্যাকড়া কেন আনা হয়েছে। তখন ওই ছাত্রী জবাব দিলে। আয়া বলেন, তাদের বললেই হতো।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তখন বলেন, আপনাদের দিয়ে পরিষ্কার করালেই ৫০ টাকা দিতে হতো। তাঁর কাছে অত টাকা নেই। এই কথা বলার সাথে সাথে ওই আয়া তাকে টেনে টয়লেটের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে ইচ্ছে মতো মারধর করেন।  তার থাপ্পড়ে ওই শিক্ষার্থীর কান, মুখমন্ডল প্রচণ্ড আঘাত পান। অনেকক্ষণ কানে কিছুই শুনতে পাচ্ছিলেন না তিনি। শুধু শো শো শব্দ হচ্ছিল।

Advertisement

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো মায়ের চিকিৎসা বন্ধ করে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন ওয়ার্ডের কর্মচারীরা।

হাসপাতাল প্রশাসন জানায়, হামলাকারী হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত কেউ নন। যে কারণে চাইলেই তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারে না। তবে বহিরাগত হয়ে রোগীর স্বজন মারধর করলে হাসপাতাল কি ব্যবস্থা নেবে এই বিষয়ে গণমাধ্যম জানতে চাইলে প্রশাসনিক দপ্তর থেকে কোনো উত্তর দেয়নি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জানান, রোগীর স্বজন মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিতে হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

দেশে চাইনিজ বিয়ারের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

Published

on

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮৮০ ক্যান নিষিদ্ধ চাইনিজ বিয়ারসহ ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বাংলাদেশে বিয়ারের সবচেয়ে বড় চালান জব্দের তালিকায় এটাই প্রথম। প্রতিটি ক্যানে ৩৩০ এমএল করে মোট বিয়ারের পরিমাণ ৮ হাজার ৮৭০ লিটার। জব্দকৃত এসব বিয়ারের অবৈধ বাজার মূল্য ২ কোটি ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিনগত রাতে পটুয়াখালী টোল প্লাজা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানসহ এসব মাদক জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাসিরুল ইসলাম (২৮), মেহেদী হাসান রাব্বি (২৩) ও রুবেল মুন্সী (২৭)। বাসিরুল ও মেহেদী পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল পার্লে বিভিন্ন পদে কর্মরত। রুবেল মুন্সী ওই কাভার্ডভ্যানের চালক।

বিষয়টি জানান পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

ধারণা করা হচ্ছে, চায়না থেকে নৌপথে এসব মাদক পায়রা বন্দর হয়ে কলাপাড়ায় আসে। এখান থেকে ঢাকায় পাচারকালে জব্দ করা হয়। স্বাধীনতার পরে দেশে অবৈধ বিয়ার জব্দের এটাই সবেচেয়ে বড় চালান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত