Connect with us

চট্টগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, রেখে গেলেন ৩ জমজ শিশু

Avatar of author

Published

on

এক সঙ্গে জন্ম নেয়া তিন শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখে চাঁদপুরের বাবুরহাট যাচ্ছিলেন ওমান প্রবাসী মোজাম্মেল হোসেন ও তার স্ত্রী পিংকি আক্তার। পথিমধ্যে ওই দম্পতিদের বহনকারী অটোরিকশার সঙ্গে একটি বালুবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রাণ গেছে আরও একজনের। আহত হয়েছেন অটোরিকশার আরও দুই যাত্রী।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে নিহত অন্য যাত্রী হলেন-বাকিলা গোঘরা হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে সবুজ হোসেন (৩০)।

আহতরা হলেন- নিহত সবুজ হাওলাদারের শ্যালক গোগরা গ্রামের ফরিদ হোসেন ও একই গ্রামের আকতার হোসেন। তারা বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ।

Advertisement

নিহতদের আত্মীয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, মোজাম্মেল হোসেন ওমান প্রবাসী ছিলেন। তিনি গেলো ২২ মে ছুটিতে দেশে আসেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন দুপুরে খাবার খেয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য বাকিলা থেকে সিএনজি যোগে বাবুরহাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের জমজ ৩টি শিশু সন্তান রয়েছে।

ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, বালুবাহী পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানের চালক ঘটনার পর পালিয়েছে। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

টিআর/

Advertisement

চট্টগ্রাম

সাজেকে আটকা ৭০০ পর্যটক

Published

on

সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে গিয়ে ৭০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। এতে আতঙ্ক বোধ করছেন আটকে পড়া পর্যটকরা ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়। ফলে সাজেকে ছোটবড় মিলে ১২৫ গাড়ির পর্যটক আটকা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক কটেজ মালিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা।

তিনি জানান, সোমবার (১ জুলাই) যেসব গাড়ি এসেছে তাদের সবাই সাজেকে অবস্থান করছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে আজকে গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে সকালে খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করতে পারেনি।

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, বাঘাইছড়িতে টানা ভারীবর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যাতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানি বন্দি। ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও এখনো কেউ আসেনি। আর বাঘাইহাট সড়কে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে ৭ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। পানি না সরা পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবে না।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ফেনীর দুই উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

Published

on

এইচএসসি-পরীক্ষা

ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আজকের পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এবার ফুলগাজীতে চারটি ও পরশুরামে দুইটি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হবে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।

Advertisement

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

আলুটিলায় পাহাড় ধস, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরের দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত