Connect with us

অপরাধ

‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’য়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

Avatar of author

Published

on

রাফসান-দ্য-ছোট-ভাই

অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাত করায় ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ খ্যাত জনপ্রিয় ইউটিউবার ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়।

গেলো মাসে নোংরা পরিবেশে কারখানায় ড্রিংকস ব্লু (BLU) তৈরির অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে ‘ব্লু’ এর অফিশিয়াল পেজে পণ্যটি প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে বাবা-মাকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় আসেন এই ইউটিউবার। সে সময় একটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় রাফসানের বাবা-মা ঋণখেলাপি। বাবা মায়ের ঋণ পরিশোধ না করে তিনি তাদের গাড়ি উপহার দিয়েছেন।

সে সময় বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ফেসবুক লাইভে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের ওই লাইভে রাফসান বলেন, ‘আমার গাড়ি কেনা নিয়ে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে তা ভুল। খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার গাড়ির দাম মোটেও ২ কোটি টাকা নয়।

Advertisement

রাফসান আরও বলেন, ‘আমার বাবা, মার একটি কোম্পানি আছে। ওই কোম্পানি লোনও নিয়েছিল। ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে সম্পত্তি মরগেজ দিয়ে টাকা নিতে হয়। আমরা আমাদের ১০ গুণ জমির দামে ১ টাকা লোন নিয়েছি ধরেন। এখন ব্যাংক চাচ্ছে, পুরো জমিটি হাতিয়ে নিতে। এজন্য আদালতে মামলা চলছে।’

এ সময় রাফসান আফসোস করে বলেন, ‘মামলায় দুই পক্ষের কথাই আদালত শুনবেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোর্টে সিদ্ধান্ত হয়নি আমরা ব্যাংককে কত টাকা ফেরত দেব। তাই ঋণ পরিশোধের বিষয়টি এখানে কীভাবে আসে?’

রাফসান আরও বলেন, ‘আমি বাবা-মায়ের সুসন্তান। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আমাকে শেখাচ্ছে, বাবা, মায়ের ঋণ পরিশোধ না করার, গাড়ি না কেনার। আমি বলতে চাই, আমার ভাই সামর্থ্য আছে গাড়ি কিনেও আমার বাবা মায়ের ঋণ পরিশোধ করার। সবাইকে বলে রাখা ভালো, কোভিডের সময় যখন আমার বাবা-মায়ের ব্যবসা ডাউন হয় ওই সময় থেকেই আমি আমার বাবা, মাকে সাপোর্ট করা শুরু করেছি। তাই ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছি না- বিষয়টি অদ্ভুত। আমাদের ব্যাংক ঋণের টাকাটা আগে আদালত জানাবে, তারপর আমরা তা পরিশোধ করব।’

সবশেষে রাফসান বলেন, ‘স্টোরির একদিক শুনে কখনও বিচার করা উচিত নয়। তাই আমি আমার ও আমার পরিবারের নামে যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, দ্রুত সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

Advertisement
Advertisement

অপরাধ

আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

Published

on

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দিন-দুপুরে সুরুজ মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার দুই ছেলেসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্য আহতরা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর এলাকার আলীপাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশাচালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

নিহত ও আহতের স্বজনরা গণমাধ্যমে জানান, উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই লোক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সালু ও হিরাকে শাসন করেন সুরুজ মিয়া।

Advertisement

স্বজনরা আরও জানান, শাসন এর জের ধরে আলীপাড়া মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু ও হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম গণমাধ্যমে জানান, বালু সিমেন্ট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসী সাল্লু ও তার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজ মিয়া ঢামেকে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, সাল্লু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আজীম হত্যার সুনির্দিষ্ট মোটিভ বলতে পারছি না : ডিবি প্রধান

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কিলিং মিশনে জড়িত সাতজনই গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে হত্যার সুনির্দিষ্ট মোটিভ কি? সে সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। তবে কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান সেটা আশা করি বের হবে। মোটিভ অবশ্যই আছে। সম্ভাব্য সব কারণ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বলেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম হত্যার ঘটনার খবর যখনই ডিবির কাছে আসে তখনই মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করি। এরপর তানভীর ও শিলাস্তিকে গ্রেপ্তার করি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর নিজেরা কলকাতায় গিয়ে সঞ্জীভা গার্ডেন পরিদর্শন করেছি। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুজনের নাম জানতে পেরেছি। তারা ফয়সাল ভুঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালীমন্দিরে লাল ধূতি পরে অবস্থান করছিল। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে পাতাল মন্দিরে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিল।

‘এই দুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবির একটি টিম ছিল ঝিনাইদহে, সুন্দরবনেও একটি গিয়েছিল। আর দুটি টিম খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ডে কাজ করছিল অনেকদিন ধরে। সবদিকে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে গতকাল সেই দুজনকে গ্রেপ্তার করি। শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের জন্য যা যা করার দরকার তারা তাই করেছে।’

ডিবি প্রধান আরও বলেন, এই সংসদ সদস্য কিলিং মিশনে জড়িত সাতজনের সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে। যেকোনো হত্যার পেছনে একটা মোটিভ থাকে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। তাকে টাকা-পয়সা লেনদেনের কথা বলে যান শাহীন। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? কারা লাভবান? কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান সেটা আশা করি বের হবে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় মোটিভ তো অবশ্যই আছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট মোটিভ বলতে পারছি না।

Advertisement

হারুন অর রশীদ বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সম্ভাব্য সব কারণ আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। সর্বশেষ গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নেয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হত্যার সম্ভাব্য সব মোটিভ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনর্থক কাউকে ডাকাডাকি করছি না। নির্দোষ কাউকে হয়রানি করছি না।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ অনুসন্ধানে দুদককে চিঠি

Published

on

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। এর আগে জাতীয় দৈনিকে ডিএমপির সাবেক কমিশনারের সম্পদের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ চিঠিটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

চিঠিতে এ আইনজীবী লিখেন, গেলো ১৬ জুন দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় ‘মিয়া সাহেবের যত সম্পদ’, ২০ জুন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘এবার আলোচনায় আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদ’ এবং ২১ জুন দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকায় ‘আছাদুজ্জামানের কত সম্পদ?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, জাতীয় দৈনিকের পাতা জুড়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও অনুসন্ধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

বিষয়টি দুদকের নিষ্ক্রিয়তা দাবি করে চিঠিতে সালাহ উদ্দিন রিগ্যান লিখেছেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

Advertisement

উল্লেখ্য,  এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এ আইনজীবী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত