বিএনপি
সরকারের নতজানু নীতির কারণেই মিয়ানমার গুলি করছে: ফখরুল
সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। মন্তব্য করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাস সুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
ফখরুল বলেন, বেনজীর আজিজ ও আনারের ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করেছে। ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিচার দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান ডাকাতের মতো সম্পদ অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
সরকার পতনের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
টিআর/
বিএনপি
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতেই বন্দি রাখা হয়েছে : ফখরুল
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে কেন বন্দি করেছেন? রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতেই বন্দি রাখা হয়েছে। আজ যারা দেশ শাসন করছে তারা দেশকে বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বাদ যায়নি সবগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তারা ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারাবিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য যেসব নেতা লড়াই-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের অন্যতম হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে খালেদা জিয়ার অবদান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ১৯৭১ সালে শিশু সন্তানদের নিয়ে এবং সমস্ত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি পাক সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাকে ৯ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই, যারা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল হিসেবে দেখতে চায়। তারপর থেকে গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করে রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। প্রতিদিনই তাকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। তিনি ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় বলেছিলেন, ‘আমি রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। তবে আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে পিছপা হবেন না’।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমান্তরাল। তাকে মুক্ত করা মানেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করা। আজকে দেশ নিয়ে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে। আমি বলব, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না। কী এনেছেন ভারত থেকে? পানির কথা তো কোথাও নেই। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যার সমাধান হলো না। সীমান্তে হত্যা নিয়ে কথা বলেন না। বিশ্বে কোন বন্ধু দেশ আছে যে তার বর্ডারে বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করে?”
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়। আমরা দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
তিনি বলেন, দেশ আজ চরম বিপদে পড়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়। সমগ্র জাতির আন্দোলন। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আসুন সবাই মিলে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
টিআর/
বিএনপি
ম্যাডামের অবস্থা খুব বেশি ভালো না : খালেদা জিয়ার পিএস
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছু উন্নতি হলেও অপারেশন পরবর্তী ঝুঁকি থেকে এখনো মুক্ত নন। সেই কারণে এখনো চিকিৎসকদের বাইরে অন্য কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে খালেদা জিয়া কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবক্ষেণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছেন চিকিৎসকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ম্যাডামের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। উনাকে কেবিনে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ম্যাডাম এমনিতে খাবার কম খান। এখন শুধু উনাকে তরল স্যুপ ও জাউ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে।
এর আগে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উনার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। উনার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। আগের মতোই আছেন তিনি।
বিএনপির চিকিৎসক একজন নেতা বলেন, অপারেশনের পর ম্যাডামের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু অপারেশন পরবর্তী ইনফেকশন হওয়ার একটা ভয় থাকে। যার কারণে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। কেবিনে চিকিৎসকদের বাইরে শুধু তার ব্যক্তিগত স্টাফরা রয়েছেন।
গেলো ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
গেলো ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি
দেশব্যাপী বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী তিনদিনের সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল জানান, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুলাই সারা দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই) সারা দেশের জেলা সদরে সমাবেশ হবে।
উল্লেখ্য, গেলো ২১ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
এএম/
- আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি8 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ23 hours ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
- ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- জাতীয়10 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা
- বাংলাদেশ3 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের