ধর্ম
হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া
![হজের-খুতবা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/হজের-খুতবা.jpg)
ইসলাম ধর্মের পঞ্চমতম স্তম্ভ হজ। শনিবার (১৫ জুন) পবিত্র নগরী মক্কায় এই হজ পালিত হচ্ছে। এবারের হজে মক্কার অদূরে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা পাঠ করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ মাহের বিন হামাদ।
হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনাসহ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
শনিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খুতবা শুরু হয়। চলে প্রায় আধাঘণ্টা। বাংলাসহ প্রায় ৫০টি ভাষায় এটি অনুবাদ করে শোনানো হয়।
খুতবায় ইমাম মুসলমানদের তাকওয়ার জীবন অবলম্বনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কেয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন।
হজের খতিব বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কুআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।
এর আগে সকালে মিনা থেকে লাখ লাখ হাজি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মিনা থেকে আরাফাত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ছেয়ে যায় ইহরামের শুভ্রতায়। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাসে করে আবার কেউ কেউ ট্রেনে যান আরাফাতের ময়দানে। এক সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের যাত্রার ফলে প্রচণ্ড ভিড় লাগে আরাফাতের রাস্তায়।
খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারোর অবস্থান দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর এবং আসরের নামাজ।
এর পর সূর্য ডুবে যাওয়ার পর হজযাত্রীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। এখানে এশার নামাজের সময় একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায়ের পর সেখানেই খোলা আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে রাত যাপন করবেন। এরপর তারা যাবেন মিনায়।
মিনার জামারায় বড় শয়তানের উদ্দেশ্যে প্রতীকী সাতটি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি এবং রাসুলুল্লাহর (সা.) আদর্শ অনুসরণে পুরুষরা মাথা মুণ্ডনের পর গোসল করবেন। নারীরা চুলের অগ্রভাগ থেকে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটবেন। এরপর হাজিরা সেলাইবিহীন ইহরাম খুলবেন। এরপর হাজিরা মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবেহ সাদিকের পর থেকে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। কাবা শরিফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাই’ (দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার ফিরে যাবেন মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে।
১১ জিলহজ আবার জামারায় গিয়ে জোহরের নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। একইভাবে ১২ জিলহজ আবারও ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে তারা মিনা ত্যাগ করবেন। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কাবা শরিফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
ধর্ম
কাবার নতুন চাবিরক্ষক হলেন যিনি
![কাবা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-319.jpg)
কাবার নতুন চাবিরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাহাবি ওসমান ইবনে তালহার (রা.) ১১০তম উত্তরসূরী ৭৮ বছর বয়স্ক শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি।
সোমবার (২৫ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পবিত্র কাবাঘরের চাবি তুলে দেয়া হয়। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির খবর সরবরাহকারী ওয়েব পোর্টাল ‘হারামাইন শরিফাইনে’ এ তথ্য জানানো হয়।
চাবি প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ আব্দুল ওয়াহাব এ সৌভাগ্য লাভ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পবিত্র কাবা ঘরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর সেবায় তার পূর্বসূরিদের উত্তরাধিকার তিনি অব্যাহত রাখবেন।
এর আগে গেলো শনিবার (২২ জুন) কাবার চাবিরক্ষক ড. সালেহ আল শাইবা ইন্তেকাল করেন। নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কা বিজয়ের পর থেকে পবিত্র কাবার ১০৯তম অভিভাবক বা চাবিরক্ষক ছিলেন তিনি। নতুন দায়িত্ব পাওয়া শায়েখ আবদুল ওয়াহাব পবিত্র কাবার ১১০তম চাবিরক্ষক।
ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগ থেকেই পবিত্র কাবার চাবি থাকতো শাইবা গোত্রের কাছে। মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর নির্দেশে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শাইবা গোত্রের ওসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছেই চাবি সংরক্ষণের ভার ন্যস্ত করেন এবং বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি আপনাদের হাতেই থাকবে; জালিম ছাড়া আপনাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নেবে না।’
কেএস/
ধর্ম
কাবার চাবি সংরক্ষক শায়েখ সালেহ আল শাইবার মৃত্যু
![কাবা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-275.jpg)
পবিত্র কাবার চাবি রক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ জুন) সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হারামাইন শরিফাইনের তথ্যভিত্তিক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পেইজে বলা হয়, মক্কা বিজয়ের পর থেকে ড. সালেহ বিন জাইন কাবাঘরের ১০৯তম অভিভাবক ছিলেন। তিনি হজরত উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধর ছিলেন। বায়তুল্লাহয় জানাজা শেষে তাকে জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হবে।
জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন।
এসময় তিনি বলে দেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। কাবাঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নির্মাণ কারখানায় বানানো হয়। কাবাঘরের চাবি কখনো হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করেছিল। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে কাবাঘরের চাবি ফেরত নেয়া হয়।
আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে।
কেএস/
ইসলাম
প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছেছে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/হজ-1.jpg)
৪১৭ জন যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট। আজ শুক্রবার ভোর (২১ জুন) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের হাজীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতারণ করে।
তাদেরকে স্বাগত জানাতে স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় হাজীদের। এয়ারপোর্টেই দেয়া হয় জমজমের পানি।
এসময় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিয়ে সন্তোষ জানান তারা। হাজীরা বলেন, নিজের গুনাহ মাফ চাওয়ার পাশাপাশি দেশ, পরিবার, ফিলিস্তিন ও পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বিমানের এমডি জানান, ফিরতি হজ ফ্লাইট ভোগান্তিহীন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, হাজীদের যাওয়া-আসার পথে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে, হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুচারুভাবে হবে।
জেএইচ
- আবহাওয়া2 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি23 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ2 days ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- আন্তর্জাতিক18 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- রংপুর18 hours ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- ঢালিউড2 days ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- জাতীয়1 day ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- টুকিটাকি2 days ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!