Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ১০, বাংলাদেশিসহ জীবিত উদ্ধার ৫১

Avatar of author

Published

on

ভূমধ্যসাগরে-নৌকা-ডুবি

লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসী নিয়ে যাত্রা করা একটি কাঠের নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিতে গ্যাসোলিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। জার্মান এনজিও রেসকিউশিপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা ইতালিয়ান কোস্ট গার্ড, জাতিসংঘের সংস্থা ও জার্মান একটি দাতব্য সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

জার্মান দাতব্য সংস্থা রিসকিউশিপ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার (১৭ জুন) ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তারা একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এ সময় নৌকার নীচের ডেকে ১০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

সংস্থাটি বলছে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার (১৭ জুন) সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।

Advertisement

একই দিনে পৃথক আরেক নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মতো শিশু রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন এই তথ্য জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া

Published

on

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন ফি দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। খবর রয়টার্স

গেলো কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড হারে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। এই অভিবাসনে লাগাম টানতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটির সরকার। সর্বশেষ আজ ভিসার আবেদন ফি বাড়ানোর মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলো।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে ভিসার আবেদন ফি বাবাদ এক হাজার ৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার ব্যয় করতে হবে। যদিও এত দিন এই ফির পরিমাণ ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলার ছিল। এ ছাড়া ভিজিটর ভিসাধারী এবং অস্থায়ী স্নাতক ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের অনশোর আবেদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নতুন করে ভিসার আবেদন ফি বাড়ানোর ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার চেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বেশি পয়সা গুণতে হবে। বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন ফি যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং ১১০ মার্কিন ডলার খরচ হয়।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের নির্বাচনে কে কত ভোট পেল?

Published

on

ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর- র‍য়টার্স 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে দেশটির অতি কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

অন্যদিকে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বল অ্যালায়েন্স সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

গেলো রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়। এবারের ভোটে আরএন বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে এবং ম্যাক্রোঁর জোটের পরাজয় হবে, এমনটা আগেই বলা হয়েছে। ভোটের পরপর বুথফেরত জরিপেও একই তথ্য উঠে আসে।

ন্যাশনাল র‌্যালি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেরিন লে পেনের শিষ্য ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা। ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে চলেছে দলটি।

Advertisement

ভোটের পরপর উদযাপনরত সমর্থকদের উদ্দেশে মেরিন লে পেন বলেন, অবমাননাকর ও বিনাশকারী শক্তিকে বদলে দিতে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ফরাসি জনগণ।

তবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বেশ জটিল। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৫৭৭ আসনের মধ্যে ২৮৯ আসন প্রয়োজন। প্রথম ধাপে ন্যাশনাল র‌্যালি সরকার গঠনে এগিয়ে থাকলেও কে শেষ হাসি হাসে, তা জানতে ৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। তখনই চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ধেয়ে আসছে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বিরল হারিকেন ‘বেরিল’

Published

on

বেরিল

ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯-২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে।

রোববার (০১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় বেরিল ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছে এবং স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে

কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির ঘূর্ণিঝড়-বিষয়ক গবেষক ফিলিপ ক্লটজবাচের মতে, স্থানীয় সময় রোববার সকালে ক্যাটাগরি ৩ হারিকেনে রূপ নিয়ে ‘রেকর্ড’ (জুন মাসে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের হিসেবে) গড়ে বেরিল।

স্যাম লিলো নামে আরেক বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপ থেকে বড় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে বেরিলের লেগেছে মাত্র ৪২ ঘণ্টা। আর আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে মাত্রা ছয়বার।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘বেরিল’ এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুনমাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।

Advertisement

হারিকেন এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বিশেষজ্ঞ মাইকেল লোরির মতে, ‘বেরিল এই অঞ্চলে বছরের এই সময়ের জন্য একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং বিরল হারিকেন। আঘাত হানার আগেই এটি ঐতিহাসিক হয়ে উঠেছে।’

ঘূর্ণিঝড় বেরিল রোববার রাত কিংবা সোমবার (১ জুলাই) ভোরে ক্যারিবীয় উইন্ডওয়ার্ড উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করে এনএইচসি বলছে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ এলাকায় যেখানে মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝড়ের ‘বড় প্রভাবের’ জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন ব্রেনান।

Advertisement

বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ, গ্রেনাডা ও টোবাগোতে হারিকেন সতর্কতা জারি রয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত