রাজশাহী
চেয়ারম্যান কন্যার সাথে বাকবিতণ্ডায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
![বগুড়া](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/Bogra.jpg)
রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে এক জনপ্রতিনিধির কন্যার সাথে বাকবিতাণ্ডার জেরে বগুড়ায় দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু তার লোকজন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন রাতে বগুড়া শহরের গোয়ালগাড়ি এলাকায় একমুখী সড়কে প্রাইভেটকার দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপুর কন্যা। দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি রাখা নিয়ে টিপু কন্যা ও তার গাড়িচালকের সঙ্গে কয়েকজন যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাত দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান টিপু ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় যান।
নিহতের স্বজনদের দাবি, তার কন্যার সাথে কথা কাটাকাটি করার কারণে টিপু ওই এলাকার তিন যুবক শরীফ রুমন ও হোসেনের ওপর প্রথমে গুলি চালান। পরে তার সঙ্গে থাকা লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও রুমন প্রাণ হারায়। লোকজন এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকায় ঢুকেই প্যানেল চেয়ারম্যান টিপু ওই তিন যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে বের করেন। এরপর বাড়ির কাছেই গলির মধ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে তাদের দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখি দুইজন তরুণের লাশ পড়ে রয়েছে। তাদের বয়স আনুমানিক ২৪-২৫ হবে। তাদের গায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের দেহ রক্তাক্ত ছিল।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের গায়ে গুলির কোনো চিহ্ন ছিল না। এছাড়া প্রাথিমিকভাবে কিছু ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি। তদন্ত শুরু করেছি এবং মূল বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক রাউত গুলির খোসাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ওই এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরও ছিলেন।
রাজশাহী
নাটোরে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
![প্রবাসী](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-382.jpg)
নাটোরের লালপুরে শিউলি বেগম (২৫) নামে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীর হাত মোড়ানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে উপজেলার কামারহাটি তেনাচোরা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিউলি একই এলাকার দুবাই প্রবাসী সোহানুর রহমানের স্ত্রী।
জানা গেছে, গেলো ৩ দিন ধরে অপরিচিত এক ব্যক্তি তার সঙ্গে একই ঘরে ছিল। ঘটনার পর থেকে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের ধারণা ওই ব্যক্তির সঙ্গে নিহতের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এবং পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে পালিয়ে যায় অপরিচিত ব্যক্তিটি।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে শোবার ঘরে হাত মোড়ানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এদিকে অপরিচিত ওই মামাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, ‘নিহত শিউলি ও তার মেয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। ৩ দিন ধরে অপরিচিত একব্যক্তি শিউলির বাড়িতে ছিল। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিউলির মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি অপরিচিত ঐব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মাঠে নেমে পড়েছে।
অপরাধ
ঘরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ, সন্তান নিয়ে উধাও স্বামী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-363.jpg)
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সুফিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ৮ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ সুফিয়া বেগম উপজেলার জামনগর এলাকার আসমত আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা যায় যে, পারিবারিক কলহ-বিরোধ নিয়ে মাঝে মধ্যই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লাগতো। শুক্রবার সকালে স্বামী আসমত আলী ফোন করে তার ভাতিজা আনোয়ারকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে ভাতিজা বাড়িতে এসে দেখে ঘরের মেঝেতে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন বাড়িতে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর থেকেই তাদের ৮ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছেন।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আসমত আলী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএম/
রাজশাহী
পাবনায় অবৈধ তেল পাম্পের রমরমা ব্যবসা
![অবৈধ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-336.jpg)
পাবনায় একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ তেলের পাম্প। এসকল তেলপাম্পের নেই কোন অনুমোদিত কাগজপত্র। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এসব কার্যক্রম চালালেও দেখার কেউ নেই।
ছোট ছোট দোকানে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রল, অকটেন। অথচ এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিত মিনি পাম্প নামে।
পাবনার চাটমোহর ফরিদপুর ও ঈশ্বরদীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কের পাশে জ্বালানি তেল বিক্রির বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। আরও কয়েকটি দোকান চালুর অপেক্ষায়। এসব পাম্পে ভেজাল তেল সরবরাহের যেমন আশঙ্কা আছে, তেমনি আছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ধরনের মিনি পাম্প চলছে দুই বছরের বেশি সময় ধরে। স্থানীয় প্রশাসন, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
পাবনার ব্যাবসায়ী শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ সব তেলপাম্প সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে। এতে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। তাছাড়া এসব তেলপাম্প তৈরি করার কারণে বিপাকে রয়েছেন মূলধারার ব্যবসায়ীরা। তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও পাম্পের অনুমোদন পাচ্ছেনা। সরকারও কোনো রাজস্ব পাচ্ছেনা৷ এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা দরকার।
পাবনায় নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন বলেন, কিছু ব্যক্তি অসাধু উপায়ে বেশি অর্থ লাভের আশায় সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা প্রয়োজন। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিণতি দাঁড়াবে।
পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অনুমোদনহীন এসব তেল পাম্প স্থাপন করার কারণে কিছু জনগণের সাময়িক সুবিধা হলেও প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় এসব তেল পাম্প বেশিরভাগই বাসা বাড়িতে এবং দোকানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে সিগারেট খাচ্ছেন স্থানীয়রা। যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।
এ সকল তেল পাম্প কিভাবে চলছে জানতে চাইলে পাম্প কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে সেখানে থাকা কয়েকজন কর্মচারীদের কাছে জানা যায়, প্রত্যেকটি পাম্প থেকে প্রতিদিন প্রায় ২শ লিটার তেল বিক্রি করা হয়।
পাবনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক মো: শারফুল আহ্সান ভূঞা বলেন, এসব তেল পাম্পের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা প্রয়োজন। তাছাড়া যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, অনুমতি না নিয়ে কোন প্রকারের তেল পাম্প নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস/
- পর্যটন2 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম1 day ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- অপরাধ2 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া3 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি3 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর2 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়3 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- ক্রিকেট1 day ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা