Connect with us

চট্টগ্রাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে প্রাণ হারালো ৯

Avatar of author

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) সকালে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর পুটনী (৩৪),ক্যাম্প-১০ ব্লক এফ/১০ এর মোহাম্মদ কালাম, সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, ক্যাম্প -৯,ব্লক বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং স্থানীয় বাঙালি থাইংখালি’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে ৯ জনের মধ্যে চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী রয়েছেন। ঘটনার পরপরই পাহাড়ে বসবাসরত সব মানুষদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে, মাইকিং করে করা হচ্ছে সচেতন।

Advertisement

কক্সবাজার ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে নিহতদের মরদেহ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্যে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টিআর/

Advertisement

চট্টগ্রাম

মর্গের পাশে পড়ে আছে উপহারের অ্যাম্বুলেন্স

Published

on

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের দেয়া লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে মর্গের পাশে। প্রয়োজনীয় গতি তুলতে না পারা এবং আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত হলেও  পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগী বহনে কাজে আসছে না এটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)  সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২১ সালে কোভিড মহামারির সময় উপহার হিসেবে বিশেষ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখান থেকে এটি গত ১৭ নভেম্বর ২০২১ সালে  কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে দেয়া হয়। যদিও অ্যাম্বুলেন্সটি চিকিৎসায় ব্যাপক অবদান রাখবে বলা হলেও এটি রোগী পরিবহনের কোনো কাজে আসেনি। গত ৩ বছরে অ্যাম্বুলেন্সটি ভিআইপি ডিউটিসহ ১৪ বার ব্যবহার করা হয়েছে।

ওসমান গণি নামে এক রোগীর স্বজন জানান, তার চাচার খুবই খারাপ অবস্থা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু লাইফ সাপোর্ট সংযুক্ত কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে চাচাকে নিয়ে তিনি ঢাকা যাচ্ছেন।

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসেন জানান, সাধারণত জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স ১০০ থেকে ১২০ এ চালাতে হয়। কিন্তু এ গাড়িতে গতি ওঠে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫। তাই এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে গাড়ি সচল রয়েছে।

Advertisement

হাসপাতালের মুখপাত্র ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, নামে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হলেও এর মধ্যে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। হাসপাতালে থাকা কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে এটিকে আইসিইউ এম্বুল্যান্সে পরিণত করার চেষ্টাও তাঁরা করেছিলেন। কিন্তু সফল হন নি। ফলে এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জরুরি সেবা দেয়া সম্ভব নয়।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বলেন, লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্সটির খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পরিপূর্ণ একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তার কিছু নেই এটিতে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিশেষায়িত স্ক্যান ও আইসিইউ সেবা চালু করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ফের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

Published

on

টেকনাফ

সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর ফের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে কাঁপল সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। কখনও দিনে আবার কখনও রাতে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় রাখাইনের মংডু টাউনশিপের দক্ষিণ-পশ্চিমের বাসিন্দারা। নাফ নদের তীরে টেকনাফ পৌরসভা, হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়।

টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যমতে, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গতকাল  সকাল থেকে ওপার থেকে মর্টারশেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। যা আজ পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে।

তারা আরও জানান, টেকনাফের নাফ নদের পূর্ব পাশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রাম। ওই সব এলাকায় মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর রয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গুলির  শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। বাড়ির বের হতে ভয়ে শরীর কেঁপে উঠে। এমন কি শিশু পর্যন্ত ঘুম থেকে চমকে উঠতেছে। মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙে পড়ছে মাথার উপর।

Advertisement

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, কিছুদিন বিকট শব্দ শুনা না গেলেও গতকাল থেকে আবারও শুনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। গতকাল সারাদিন থেকে শুরু হয়ে আজ সকাল পর্যন্ত অনেক বেশি গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। যার কারণে প্রতিনিয়ত জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি।

টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। পাশাপাশি রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, সপ্তাহ খানেক কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল থেকে আবারও বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। তবে এটি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হলেও এপারের মানুষগুলো শান্তিতে থাকতে পারছে না। তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত