সিলেট
সিলেটে বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
![সিলেট-বন্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/সিলেট-বন্যা-2.jpg)
সিলেটে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তবে অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি ঢল। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এর আগে ২০২২ সালে সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এবারের বন্যা দুই বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে সিলেটবাসীকে।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন প্রায় সাত লাখ মানুষ। সিলেটের সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের পাশাপাশি বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলায়। এসব উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত নগরের ২১টি ওয়ার্ড ও জেলার ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নগরের অর্ধলক্ষ লোক পানিবন্দি।
জেলা ও নগর মিলিয়ে ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৮০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯২ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে। এ ছাড়া সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.৯ সে.মি সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ।
ইতোমধ্যে নগরের শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া, মেজরটিলা ও দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, বরইকান্দি, আলমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেকের বাসাবাড়িতে গলা পর্যন্ত পানি উঠেছে। নিচু এলাকাগুলোর কলোনি বা বাসা-বাড়ি প্রায় পুরোটাই তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এতে চরম বিপাকে এসব এলাকার মানুষ।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব গণমাধ্যমকে জানান, সিলেটে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী কয়েক দিন সিলেটে টানা বৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গেলো ২৭ মে সিলেট বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন থেকে ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে সিলেট।
এসি//
সিলেট
ফের বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ, প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/সুনামগঞ্জ-বন্যা.jpg)
দুই দফায় বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় দফার বন্যার কবলে পড়েছে সুনামগঞ্জের মানুষ। ইতোমধ্যে বন্যঅর পানিতে ডুবেছে জেলার বিস্তীর্ণ অনেক এলাকা। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে পানি বৃদ্ধি পেলেও বুধবার (৩জুলাই) সকাল থেকে জেলা সদরের অনেক এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
গেলো ২৭ মে সুনামগঞ্জে আগাম বন্যা দেখা হয়। দুই সপ্তাহ স্থায়ী ওই বন্যায় পানিবন্দি ছিলেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রথম বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন ফের বন্যা দেখা দেয় এই জেলায়। বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিন ভোর থেকে অতিভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদরসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা। এই বন্যার পানি ক্রমেই বিস্তৃত হয়ে পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
তবে গেলো সপ্তাহ থেকে নামতে শুরু করে দ্বিতীয় দফার বন্যার পানি। এই দফা বন্যার পানি পুরো নামার আগেই সোমবার (১ জুলাই) থেকে সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি ঢলে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। টানা তিন দফা বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে এসব উপজেলার রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। অনেকের ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।
ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় অনেক রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। শহরের সুরমা নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ঢুকেছে। মূলত উজানে বেশি বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নেমে পরিস্থিতির অবনতি হয়।
নদী ও হাওরে পানির প্রবাহ আরও বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা। তাহিরপুর উপজেলায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে বেশি পানি উঠেছে।
নামগঞ্জ পৌর শহরের সুরমা নদীতীরবর্তী সড়ক, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। শহরের লঞ্চঘাট, জলিলপুর, মল্লিকপুর, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, নবীনগর, ওয়েজখালী, মল্লিকপুর ও বড়পাড়া এলাকা এখন জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর, কালারুকা, নোয়ারাই ও চরমহল্লা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, পাটনাই, রক্তি, বৌলাই, কুশিয়ারা, নলজুর, চেলা, চলতি, খাসিয়ামারাসহ সব নদীতে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
প্রতিটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছে প্রশাসন। জেলার ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উজানের ঢলে মঙ্গলবার (২ জুলাই) আবারও জেলা সদর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে।
টিআর/
সিলেট
সিলেটে ফের বন্যার চোখ রাঙানি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/সিলেটে-বন্যা.jpg)
গেলো ১৭ জুন থেকে সৃষ্ট বন্যার রেশ কাটাতে না কাটাতে আবারও বন্যার আতঙ্কে সিলেটে জনজীবন। সীমান্তের ওপারের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির অবিরাম ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল আবার ও প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুনামগঞ্জ সদরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। লোকালয়ে পানি উঠায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আবার ও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩১৩ মিলিমিটার।
এতে সুরমা নদীর তীরবর্তী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় পানি প্রবেশ করছে। শহরের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। তেঘরিয়া, বড়পাড়া,উত্তর আরপিন নগর, বাজার, কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, নবীনগর সুলতানপুর, ধোপাকালীসহ অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত লোকজন ইতিমধ্যেই অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ামারা নদী, চিলাই নদীর পানি বাড়ছে। তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা, রক্তি, মাহারাম, বৌলাই, পাটলাই নদীসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার ইউএনও মেহের নিগার তনু জানিয়েছেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন যেমন লক্ষীপুর, সুরমা, বোগলাবাজার মান্নারগাঁও ও সদর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও কেউ উঠেনি। তবে শুকনো খাবার বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও সালমা পারভীন ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের উপজেলার অনেক জায়গাতেই রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করার ফলে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ২২ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে ইতিমধ্যেই ৭টিতে মানুষ উঠেছে।
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন জানান, আনোয়ারপুর সড়ক প্লাবিত।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও মৌসুমী মান্নান জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত। তাদের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলার জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সভা করে সকল ইউএনওদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
টিআর/
সিলেট
সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার শঙ্কা
![সিলেট-বন্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/সিলেট-বন্যা.jpg)
ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে আবারও বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। রোববার (৩০ জুন) থেকে থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি। সোমবার (০১ জুলাই) ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে হু হু করে বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানি। শোনা যাচ্ছে তৃতীয় দফার বন্যার পদধ্বনি।
সোমবার সকালে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭ ঘণ্টায় সিলেটে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবারসহ আগামী কয়েকদিন আরও বৃষ্টি বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে- সোমবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এসময় পানি ছিল বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে ছিল। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি রয়েছে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু গেলো কয়েকদিন ধরে সিলেট ও ভারতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের পাহাড়ি ঢলও আসছে। তাই রোববার সকাল থেকে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। সোমবার পানি আরও বেড়েছে। দেখা দিয়েছে ফের বন্যার আশঙ্কা।
এসি//
- পর্যটন6 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম6 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড5 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ6 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- রংপুর7 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- ক্রিকেট6 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- অপরাধ4 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের