Connect with us

রংপুর

সিলেটের পর রংপুরেও বন্যার আশঙ্কা

Avatar of author

Published

on

রংপুর-বন্যা

সিলেটে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তবে অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি ঢল। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এবার রংপুরের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীবেষ্টিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। এতে নদীপাড়ের মানুষের মনে বাড়ছে আতঙ্ক।

বুধবার (১৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।

পাউবো রংপুরের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও সকাল ৯টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৬টা পর্যন্ত রংপুরে ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সঙ্গে রংপুরের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ও অতিভারী বর্ষণও হতে পারে।

অন্যদিকে বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ও টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দেখা দিয়েছে গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা। অনেকেই বন্যার আভাস পেয়ে গবাদি পশু অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। নিজেরাও নিরাপদে আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Advertisement

পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বাড়ছে। যা এখন বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। যার কারণে ভাটি অঞ্চলে নদীপাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে।

এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, তিস্তার পানিপ্রবাহ বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই পরিমাণ পানি চরাঞ্চলে প্রবেশ করেনি। তারপরও সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
Advertisement

রংপুর

শাক তুলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু

Published

on

রংপুরে মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজন মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। পরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- দেলোয়ারা বেগম ও তার ছেলে ইদা মিয়া এবং প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, সকালে দেলোয়ারা নামে এক নারী কচুশাক তুলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে ইদা ও প্রতিবেশী ইবলুল মিয়াও ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে দুটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

Published

on

কুড়িগ্রামে-বন্যা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় চিলমারী পয়েন্টে ২৬ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই নদের পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে গেলো তিনদিন ধরে ঘরের ভিতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। চৌকিতে রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত কাটছে তাদের। বাড়ির চারপাশে থৈথৈ পানিতে অসহায় দিন কাটছে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের।

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান, গেলো তিনদিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। ছেলে মেয়েকে উঁচু জায়গায় রেখে গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি।

একই ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের রমিচন জানান, ঘরে পানি। রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। গরুকেও কিছু খাইতে দিতে পারছি না। বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।

একই গ্রামের ফরিদা জানান, চারটে ভাত ফুটাচ্ছি। তরকারি নাই। লবন দিয়া খাইতে হইবো।

Advertisement

যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নে ১৫শ’ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদ শেখ জানান, আমার ওয়ার্ডে দেড়শ ঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে প্রায় ৮শ’ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে।

ফকিরের চরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিলেও তারা পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, আমি বিষয়টি জানলাম। এখনেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এক হাজার পরিবারকে ত্রান ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

বাস উল্টে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১০

Published

on

বাস

গাইবান্ধার সদর উপজেলার তুলসীঘাটে ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহণের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।  এসময় বাসের চাপায় নাফিজ শাহারিয়ার আকাশ নামে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন  আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট হেলিপ্যাড নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা।

তিনি জানান, সুন্দরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা পরিবহণের একটি বাস ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলো। দ্রুতগতিতে আসা বাসটি তুলসীঘাটের হেলিপ্যাডের সামনে পৌছিলে হঠাৎ করে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে বাসটি সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যান। এ সময় বাসের কমপক্ষে ১০জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশস্কাজনক।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠান।

বাসের যাত্রী  জহুরুল ইসলাম ও হাফিজা আকতার হাসি অভিযোগ করে বলেন,  শুরু থেকে বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। বারবার যাত্রীরা নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি চালক। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ওসি মো. মাসুদ রানা বলেন, বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্টে যাওয়া বাসটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।  বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত